• ১৫ চৈত্র ,১৪৩০,29 Mar ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

সিরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে বৈঠক বর্জন করেছে রাশিয়া ও চীন

| ফেব্রুয়ারী 12, 2014 | 0 Comments

আন্তর্জাতিক: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশের মধ্যে দু’টি দেশ সিরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক বর্জন করেছে।

অস্ট্রেলিয়া, জর্দান ও লুক্সেমবার্গ সিরিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাবের ওপর আলোচনার জন্য সোমবার বিষয়টি নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করে।কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়া ওই বৈঠকে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকে। জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিতালি চুরকিন সিরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টার বিরোধিতা করে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, এ ধরনের প্রস্তাব সিরিয়া সংকটকে আরো জটিল করে তুলবে। তাই মস্কো এ ধরনের প্রস্তাবে প্রয়োজনে ভেটো দেবে।

সিরিয়ার ঘটনাবলী এবং জেনেভায় সিরিয়ার সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে আলোচনার ধরন দেখে বোঝা যায়, সিরিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টিতে বিদ্রোহী ও তাদের সমর্থকরা অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছে এবং এখন তারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সিরিয়াকে বসে আনার চেষ্টা করছে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও সিরিয়ার বিদ্রোহীরা ও তাদের সমর্থক দেশগুলো ভেবেছিল জেনেভা আলোচনায় অংশ নেয়া সিরিয়ার প্রতিনিধিরা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ছাড়াই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে রাজি হয়ে যাবে।কিন্তু বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সিরিয়ার সেনাবাহিনী একদিকে যেমন বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে অন্যদিকে দেশটির সরকার তার পূর্বের অবস্থানে অটল রয়েছে। অর্থাৎ আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাশার আল-আসাদের উপস্থিতির ওপরও ব্যাপক জোর দিয়েছে।

এ কারণে সিরিয়ার সরকার বিরোধী বিদ্রোহীদের জোট একদিকে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা জোরদার করেছে অন্যদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল বেছে নিয়েছে। একই সঙ্গে পাশ্চাত্যের গণমাধ্যমগুলোও সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের ব্যাপারে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে আন্তর্জাতিক সমাজকে সিরিয়ার বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। তবে এবার রাশিয়া ও চীন তাদের নীরবতা ভঙ্গ করে নিরাপত্তা পরিষদের মধ্যমে সিরিয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এমনকি এ দু’দেশ নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক আলোচনাও বর্জন করেছে। চীন ও রাশিয়ার এ অবস্থান থেকে বোঝা যায়, নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তারা যে ভেটো দেবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

রাশিয়ার অনেক দিনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর সিরিয়া বিষয়ে জেনেভা-দুই আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে বড় ধরনের কোনো সাফল্য অর্জিত না হলেও বিদ্রোহীরা হোমস শহরে তিনদিনের জন্য যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে রাজি হয়েছে যাতে সেখানে আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষের জন্য ত্রাণ সাহায্য পৌঁছে দেয়া যায়। উল্লেখ করা যায় বিদ্রোহীরা হোমস শহর দখল করে আছে। শহরটি অবরুদ্ধ থাকার পরও সিরিয়া সরকার আটকে পড়া সাধারণ মানুষের জন্য ত্রাণ পৌঁছে দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং এ থেকে বোঝা যায়, সেখানকার পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।

সিরিয়ার মতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে সিরিয়ায় যুদ্ধের আগুন আরো বাড়বে। এ কারণে চীন ও রাশিয়া সহিংসতা এড়িয়ে কূটনৈতিক উপায়ে সিরিয়া সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দিয়ে আসছে এবং আলোচনা প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করত পারে এমন যে কোনো  পদক্ষেপের তারা বিরোধী।

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, আন্তর্জাতিক

About the Author ()

Leave a Reply