• ১২ বৈশাখ ,১৪৩১,25 Apr ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

বাক-সংযমে রোযার ভূমিকা

| জুলাই 14, 2015 | 0 Comments

roja-haqধর্ম ও জীবন:

আবদুল হক: দয়াময় আল্লাহ মানুষকে গড়েছেন সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ করে। এ শ্রেষ্ঠত্বের প্রধান দুই চিহ্নায়ক: উন্নত চিন্তার ক্ষমতা ও সমৃদ্ধ ভাষার বৈভব। ভাষা বিনে চিন্তা চলে না, কথা ছাড়া চিন্তা ফলে না। মানুষের জ্ঞান, সম্পর্ক, সমাজ ও সভ্যতার সমস্ত নির্মাণের পেছনে নিয়ামকরূপে ক্রিয়মান তার সৃজনশীল বাকশক্তি। এদিকে ইশারা করেই পবিত্র কুরআনে মানুষের ভাবপ্রকাশের শক্তি উল্লিখিত হয়েছে মহান আল্লাহর অপার দয়ার নিদর্শন হিসেবে:

الرَّحْمَنُ. عَلَّمَ الْقُرْآنَ. خَلَقَ الإِنسَانَ. عَلَّمَهُ الْبَيَانَ.

“দয়াময় আল্লাহ, তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন; তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তাকে ভাবপ্রকাশ করতে শিখিয়েছেন তিনিই।” ––– কুরআন, ৫৫:১-৪।

 আমরা যারা কথা বলতে জানি, তাদেরকে দয়াময়ের দান এ বাকশক্তির মূল্য ও ইতিবাচক ভূমিকা জানানোর কিছু নেই। তবে তার নেতিবাচক দিক নিয়ে ভাবনার দরকার আছে। মুসলিম হিসেবে আমাদের জানার প্রয়োজন আছে বাকশক্তির অতিব্যবহার ও অপব্যবহারের পরিণাম কী এবং এ থেকে বেঁচে থাকার গুরুত্ব ও পদ্ধতি কী।

 সমাজে চলতে চলতে আর দিনরাত বলতে বলতে, কাজের কথার ফাঁকে ফাঁকে বিস্তর বাজে কথাও আমাদের বলা হয়ে যায়। সেইসব বাজে কথার বহু রূপ: নিন্দা, অপবাদ, গালি, অশ্লীল বাক্য, হুমকি, মিথ্যা কথা, চোগলখোরি, চাটুকারিতা, মিথ্যা সাক্ষ্য, প্রতিশ্রুতিভঙ্গ, দান করে খোঁটা দেওয়া, তাচ্ছিল্য, আত্মপ্রচার, অযথা কথা ইত্যাদি। কুরআন-হাদীসে এমন সমস্ত বাজে কথাকে ব্যাপক অর্থে “লাগ্‌ও” (لغو) ও “ক্বাউল আয্-যূর” (قول الزَور) শব্দে চিহ্নিত করা হয়েছে, এগুলি তাকওয়ার বিপরীত ও নিষিদ্ধ সাব্যস্ত হয়েছে, এসব অভ্যেস ছাড়তে তাগিদ করা হয়েছে এবং সেইসঙ্গে তাবৎ বাজে কথা ও কাজ এড়িয়ে চলবার অবিচল সামর্থ্য অর্জনের জন্যে সিয়াম সাধনার মতো আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংযমের কার্যকর ব্যবস্থাপত্র পেশ করা হয়েছে:

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ ـ

  “হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্যে রোযার বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান দেওয়া হয়েছিল তোমাদের পূর্বতনদের, যাতে তোমরা তাকওয়ার অধিকারী হতে পারো।” ––– কুরআন, ২:১৮৩।

 তাকওয়া মানে ভয় করা, আল্লাহকে; তাকওয়া মানে দূরে থাকা, আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ সমস্তকিছু থেকে। রোযার মূল উদ্দেশ্য এ তাকওয়ার অধিকারী হওয়া এবং এরই আলোকে পুরো জীবন পরিচালনার শক্তি লাভ করা। অন্যদিকে, ‘ক্বাউল আয-যূর’ মানে এমন কথাবার্তা যা সত্য ও ন্যায়ের বিপরীত। সাধারণভাবে ‘মিথ্যা’ অর্থে প্রযুক্ত হলেও এর অর্থ শুধু মিথ্যা কথা নয়, বরং উপরিউক্ত বাজে কথার সবগুলি প্রকারকেই তা শামিল করে। ফলে কুরআনে যেমন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সিয়াম সাধনার মূল উদ্দেশ্য হলো তাক্বওয়া হাসিল করা – ‘যূর’ বা বাজে কথা ও কাজ আমাদেরকে সেই উদ্দেশ্যে পৌঁছুতে দেয় না। এভাবেই বাজে কথা দাঁড়িয়ে যায় রোযার উদ্দেশ্যের মুখোমুখি, এবং বাক-সংযম অবলম্বন করতে না পারলে রোযাদারের রোযা অর্থহীন উপবাস ও নিছক আত্মপ্রবঞ্চনায় পর্যবসিত হয়। এজন্যেই মহানবী সা. সকলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন:

مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالْعَمَلَ بِهِ فَلَيْسَ لِلَّهِ حَاجَةٌ أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ ـ

 “যে-ব্যক্তি বাজে কথা ও কাজ ত্যাগ করল না, তার পানাহার ত্যাগে আল্লাহর কিছুই যায়-আসে না।”  ––– বুখারী, ১৮০৪; তিরমীযী, ৭০৭।

 চিন্তার কথা, এ হাদীসে রোযা বা রোযাদার শব্দটি নেই। রাসূল সা. এমন বলেন নি যে, ‘কোনো রোযাদার যদি বাজে কথা ও কাজ না ছাড়ে তাহলে তার রোযায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই’; বরং বলেছেন, ‘তার পানাহার ত্যাগে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।’ অর্থাৎ একেবারে সাফ কথায় জানিয়ে দেওয়া হলো: বাজে কথা ও কাজের অভ্যেস ত্যাগ করতে না পারলে বস্তুত সেটি আদৌ রোযাই হলো না, বরং খামাখা ‘পানাহার ত্যাগ’ মাত্র। এ হাদীস থেকে আরেকটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে। রোযার বাহ্যিক যে-শর্ত, নির্দিষ্ট সময় ধরে পানাহার ও যৌনতা থেকে বিরত থাকা – তার চেয়ে রোযার অভ্যন্তরীণ যে-দিক, চারিত্রিক স্খলন কাটিয়ে উঠে নৈতিক পরিশুদ্ধি ও তাক্বওয়া অর্জন, রোযার পূর্ণতার প্রশ্নে তার গুরুত্ব মোটেই কম নয়।

 ইবাদতের সঙ্গে অভ্যেসের একটা ঐক্য আছে, অনুষ্ঠানের যোগ আছে – কিন্তু অভ্যেস ও অনুষ্ঠান মুখ্য নয়। মুখ্য হলো প্রাপ্তি। রোযা বিধিত হয়েছে তাক্বওয়ার জন্যে – যেন আমরা সুন্দর মানুষ হয়ে উঠি, যেন গভীর মমতা নিয়ে দুঃখী-দরিদ্রের পাশে দাঁড়াই, যেন পালনকর্তার সন্তোষ অর্জন করে তাঁর করুণার ছায়ায় ঠাঁই পাই। কিন্তু অভ্যেসের চক্রে আমরা প্রায়ই মুখ্য লক্ষ্যটি ভুলে যাই, আনুষ্ঠানিক আড়ম্বরে উদ্দিষ্ট ঢাকা পড়ে যায়। বাহ্যিক সব নিয়মকানুন মেনে রোযা রাখি বটে – কিন্তু বাজে কথা ছাড়তে পারি না, এর দোষ ওকে বলি, সামান্য বিষয় নিয়ে কলহে নেমে পড়ি, লাভের লোভে মিথ্যে কথাও বলে ফেলি; এর ফলে বাহ্যিক বিধিগতভাবে রোযা ভেঙে গেছে বলা যদি না-ও যায়, তবু এতে সন্দেহ নেই যে, উদ্দেশ্যগতভাবে এ রোযা নিষ্ফল, নিরর্থক, নিষ্প্রাণ। চারিত্রিক শুদ্ধি অর্জনে সচেষ্ট না হলে, যাচ্ছেতাই বকবক করার পুরনো অভ্যেস বহাল রাখলে, কষ্ট করে ক্ষুধা-তৃষ্ণা সহ্য করে এবং রাত জেগে দীর্ঘ নামায আদায় করে কোনো লাভ নেই। কেননা রাসূল সা. বলেছেন: 

كَمْ مِنْ صَائِمٍ لَيْسَ لَهُ مِنْ صِيَامِهِ إِلاَّ الْجُوعُ وَ الظَّمَأُ، وَكَمْ مِنْ قَائِمٍ لَيْسَ لَهُ مِنْ قِيَامِهِ إِلاَّ السَّهَرُ وَ الْعَنَاءُـ

 “অনেক রোযাদার এমন, যারা রোযা রেখে কেবল ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কষ্ট পাওয়া ছাড়া আর কিছুই পায় না; আর যারা রাত জেগে নামায আদায় করে তাদের মধ্যেও এমন বহু লোক আছে, নামাযে দাঁড়িয়ে রাত জেগে কষ্ট করা ছাড়া যাদের আর কোনো লাভ হয় না।” ––– মুসনাদ-ই আহমদ, ৯৩৯২; সুনান ইবনু মাজা, ১৬৯০; সুনান দারিমী, ২৭২০।

 স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, শুধু পানাহার ত্যাগের নাম রোযা নয়, নিয়মমতো আনুষ্ঠানিকতা পালন করলেই ইবাদত হয়ে যায় না। প্রত্যেকটি ইবাদত বিধিবদ্ধ করার পেছনেই বিশেষ উদ্দেশ্য আছে, প্রাপ্তি আছে, তাৎপর্য আছে। সেই উদ্দেশ্য সফল করতে হয়, প্রাপ্তি লাভ করতে হয়, তাৎপর্য উপলব্ধি করতে হয়। তা না হলে রোযা হয় না, উপবাস হয়; নামায হয় না, ওঠবস হয়; সমর্পণ হয় না, প্রদর্শন হয়। রোযার উদ্দেশ্য হলো হৃদয়ে আল্লাহর সর্বময় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে এ চেতনার আলোকেই সকল রকম মিথ্যা ও অশ্লীলতা থেকে মুক্ত থেকে সত্য ও সংযত কথা বলা, সৎ ও মহৎ আচরণ করা এবং নিজের ইচ্ছাকৃত অভুক্তির কষ্টকর অভিজ্ঞতা দিয়ে দারিদ্র্যপীড়িত নিত্য-অভুক্তদের কষ্ট অনুভব করে তাদের সহমর্মী ও সাহায্যকারী হয়ে ওঠা। রামাযানের পবিত্রতা ও মর্যাদার দিকে খেয়াল রেখে প্রতিবছর অন্তত এ মাসে আমাদের সমাজে কিছু পরিবর্তন অবশ্য ঘটে, ইমাম ও আলিমদের ওয়ায-নসিহতের প্রভাবে মুসলিম জনসাধারণকে তাক্বওয়া ও অধিক ইবাদতে মনোযোগী হতে দেখা যায়, অশ্লীলতার ওপরেও অনেকটা পর্দা পড়ে, হাট-বাজারে উচ্চশব্দে প্রবৃত্তিবাদী গান বাজানো বন্ধ থাকে, দান-খয়রাতের পরিমাণও বাড়ে – কিন্তু যে-ব্যাপারটি সবচেয়ে উপেক্ষিত থেকে যায় তা হলো বাক-সংযমের গুরুত্ব। কারণ কথা বলার মতো সোজা কাজ আর নেই; আমরা কথা বলতে এত বেশি অভ্যস্ত যে, বলার আগে কী বলা উচিত তা একবার ভেবে দেখতে অভ্যস্ত হওয়ার ফুরসতই পাই না। অথচ একটু চিন্তা করে দেখলে সকলেই স্বীকার করব যে, আমাদের চারপাশে যত দ্বন্দ্ব-কলহ মারামারি খুনোখুনির ঘটনা ঘটে তার প্রত্যেকটিরই সূত্রপাত হয় অশালীন ও অসংযত কথা থেকে। তাই বাক-সংযম ছাড়া সুন্দর চরিত্রগঠন যেমন সম্ভব নয়, তেমনি পরিবারে সমাজে এবং রাষ্ট্রেও শান্তিপ্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। ইসলামে যত ইবাদত আছে তার মধ্যে বাক-সংযমে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে রোযা। অন্যান্য নবীর যুগে তো বাক-শাসনের জন্যে নীরবতার রোযা প্রচলিত ছিল, অধিকন্তু আমাদের রোযায় বাক-সংযমের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মানবপ্রবৃত্তির অসংখ্য অসৎ প্রবণতা দমনের ব্যবস্থা রেখে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যবস্থা কাজে লাগাবার উপায় হলো, বাহ্যিক ভোগ-বিরতিই শুধু নয়, রোযাকে গ্রহণ করতে হবে সকল অসৎ প্রবণতা দমন করে আত্মশুদ্ধি সাধন ও আধ্যাত্মিক উত্তরণের মাধ্যম হিসেবে। আত্মশুদ্ধি ও আত্মোৎকর্ষের সাধনা ছাড়া নিছক ভোগ-বিরতির রোযা প্রকৃত রোযা নয়। আল্লাহর রাসূল সা. তাই বার বার বেহুদা ও বাজে কথা ও কাজ থেকে বেঁচে থাকতে তাগিদ করেছেন এবং কেউ গালি দিলে বা ঝগড়া বাঁধাতে এলে কী করতে হবে তা-ও শিখিয়ে দিয়েছেন:

لَيْسَ الصِّيَامُ مِنَ الأَكْلِ وَالشُّرْبِ ، إِنَّمَا الصِّيَامُ مِنَ اللَّغْوِ وَالرَّفَثِ ، فَإِنْ سَابَّكَ أَحَدٌ أَوْ جَهِلَ عَلَيْكَ، فَلْتَقُلْ : إِنِّي صَائِمٌ ، إِنِّي صَائِمٌ ـ

 “পানাহার বর্জনের নাম রোযা নয়। রোযা হলো অনর্থক ও অশ্লীল কথা-কাজ বর্জন করার নাম। কেউ তোমাকে গালি দিলে বা তোমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে তুমি তার সঙ্গে তেমনটি না করে কেবল এটুকুই বলো: “আমি রোযা রেখেছি, আমি রোযা রেখেছি।”  ––– ইবনু খুযায়মা, ১৮৭৯; ইবনু হিব্বান, ৩৫৬১; মুসতাদরাক আল-হাকিম, ১৫৭০।

 ইসলামের শিক্ষা হলো প্রয়োজনে কথা বলা, সত্য ও পরিমিত কথা বলা, সুন্দর শব্দে ও নরম স্বরে কথা বলা। কেননা প্রত্যেকটি শব্দই নথিভুক্ত করে রাখা হয়:

مَّا يَلْفِظُ مِن قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ ـ

 “মানুষ যে-কথাই উচ্চারণ করে তার জন্যে তৎপর প্রহরী তার কাছেই রয়েছে।” ––– কুরআন; ৫০:১৮।

 সত্য, শুদ্ধ ও সঙ্গত কথা বলাই তাক্বওয়া ও সাফল্য অর্জনের পথ:

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًاـ يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ۗ وَمَن يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا ـ

 “হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল। তাহলে তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের কর্ম ত্রুটিমুক্ত করবেন এবং তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, তারা অবশ্যই মহাসাফল্য অর্জন করবে।” ––– কুরআন; ৩৩:৭০-৭১।

 বাজে কথা এড়িয়ে চলা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য:

وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ ـ

 “(তারাই মুমিন), যারা অপ্রয়োজনীয় ও বেহুদা কথা থেকে বিরত থাকে।”  ––– কুরআন; ২৩:৩।

 ভালো কথা অথবা নীরবতা, অন্যথা নয়। মহানবীর আদেশ:

من كان يؤمن بالله واليوم الآخر ، فليقل خيرا أو ليصمت ـ

“যে-ব্যক্তি আল্লাহ ও বিচারদিবসে বিশ্বাস রাখে সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে।” ––– সহীহ বুখারী : ৫৬৭৩।

 রামাযান হলো নিবিষ্ট ইবাদত ও নীরব অনুধ্যানের মাস। আমাদের উচিত দুনিয়ার কোলাহল থেকে যথাসাধ্য দূরে থেকে জীবনে সিয়াম সাধনার লক্ষ্য ও শিক্ষা সার্থক করে তুলতে চেষ্টা করা। রাসূল সা. বলেছেন:

إِذَا كَانَ يَوْمُ صَوْمِ أَحَدِكُمْ فَلا يَرْفُثْ ، وَلا يَصْخَبْ ـ 

“তোমাদের কেউ যখন রোযা রাখে, তখন সে যেন অশালীন কথাবার্তা না বলে এবং হৈচৈ না করে।” ––– সহীহ বুখারী : ১৯০৪।

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, ধর্ম ও জীবন

About the Author ()

Leave a Reply