• ১৭ বৈশাখ ,১৪৩১,30 Apr ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

সম্পাদকীয়: ”এক কোটি বাঙ্গালীর বঙ্গ জননী,  রেখেছ প্রবাসী  করে মর্যাদা দাওনি।”

| ফেব্রুয়ারী 25, 2016 | 0 Comments

editorial -ek koti

সম্পাদকীয়: ”এক কোটি বাঙ্গালীর বঙ্গ জননী,  রেখেছ প্রবাসী  করে মর্যাদা দাওনি।”

প্রবাসী শব্দটির বিপরীত শব্দ স্ববাসী।অর্থাৎ নিজ দেশ ছাড়িয়া যে অন্য দেশে বসবাস করে সেই প্রবাসী।কিন্তু শুধু নিজ দেশের ভূখন্ডে বসবাস করলেই কি দেশ প্রেমিক হওয়া যায়? কই ৭১-এ নিজ দেশের আলো বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়েওতো আমার প্রিয় জন্মভূমির কিছু স্ববাসী পাকিস্তানের দোসর হয়ে মুক্তিকামী নির্যাতিত অসহায় দেশটির গলা চেপে ধরে ছিল। আবার ঠিক তার বিপরীত  চিত্র, স্বদেশে না থেকেও দেশের বিপদে জন্মভূমির পাশে থেকে ৭১ এর মুক্তি সংগ্রামে অর্থ, মনোবল ও আন্তর্জাতিক জনমত তৈরিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল এই পরবাসীরাই। তাইতো শরৎ যথার্থই লিখেছিলেন-“বড় প্রেম শুধু কাছেই টানেনা দূরেও ঠেলে দেয়।” আর তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে দূর পরবাসী এক কোটি বাঙ্গালীর দুই কোটি চোখে তারার মত জ্বলজ্বল করা দেশ প্রেমে। যার প্রমাণ ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ থেকে আজকের অর্থনৈতিক মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের সক্রিয়  অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে।

রবীন্দ্রনাথের সেই লাইনটি প্রবাসী ভাই বোনেরা হাঁড়ে হাঁড়ে উপলব্দি করতে পারেন-“ভালবাসা মিলনে মলিন হয়, বিরহে উজ্বল।” সারা দিনের হাঁড়ভাঙ্গা পরিশ্রম আর শত না পাওয়া নিয়ে প্রবাসীরা যখন রাতে ঘুমতে যায়, তখন তারা ক্লান্ত চোখে ধারণ করে মা-বাবা,ভাই-বোন আর স্ত্রী সন্তানের প্রিয় মুখ গুলো।আর সে মূখ গুলোর আড়ালে দেখে তার প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশকে। দেশের মলিন ভালবাসা গুলোই যেন বহ্নি শিখার মত উজ্বল হয়ে এভাবেই ধরা দেয় প্রবাসীদের চোখে।

শুধু তাই নয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের সাথেও প্রবাসী শব্দটি জড়িয়ে আছে এবং তা থাকবে আজন্ম কাল। ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার ” প্রবাসী মুজিব নগর সরকার”। সে সরকারের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান,উপরাষ্ট্রপতি (পরে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধান মন্ত্রী ছিলেন তাজ উদ্দীন আহমদ। সেই সরকারের কর্মকান্ড বাংলাদেশের মূল ভূ খন্ডের বাইরে থেকে পরিচালিত হয়েছিল বলে এই সরকার “প্রবাসী মুজিব নগর সরকার ” হিসেবে খ্যাত।

তারও আগে স্বাধিকার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কৌশলী নিয়োগে তৎকালীন ১০ হাজার পাউন্ড অর্থ জোগান দেন এই প্রবাসীরাই। যুদ্ধ কালীন নয় মাস ব্যাপী মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য অর্থ যোগানের পাশাপাশি খাদ্য, বস্ত্র ও ঔষধ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সমূহ সরবরাহ করেন। ঝুঁকি নিয়ে অনেকে  অস্ত্রও সরবরাহ করেন। আবার অনেকে দেশে গিয়ে মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল প্রায় শূন্য। সেই কঠিন সময়ে প্রথম রিজার্ভ ফান্ড দিয়ে মৃতপ্রায় অর্থনীতিতে গতির সঞ্চার করেছিল এই হতভাগা প্রবাসীরাই।

বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী(পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি) তার “প্রবাসে মুক্তি যুদ্ধের দিন গুলি” বইতে মুক্তি যুদ্ধে প্রবাসীদের ত্যাগ ও অবদানের কথা খুব স্পষ্ট ভাবে তথ্য উপাত্ত সহ উপস্থাপন করেছেন। তিনি নিজেও তৎকালীন সময়ে প্রবাসে থেকে মুক্তিযুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। যুদ্ধ কালীন সময়ে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তিনি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা ছিলেন।

তাছাড়া বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, অর্থ মন্ত্রী এ এম এ মুহিত, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর ইউনূস, ওয়াপদার সাবেক চেয়ারম্যান  রেজাউল করিম, কূটনীতিক হারুন-অর-রশিদ এবং কাজী রেজাউল হাসানদের মত অনেকেই তৎকালীন প্রবাসী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছেন। আমেরিকার আইন ফাঁকি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় তৎকালীন মূল্যে প্রায় ৮২ হাজার ৯৫০ ডলারের সরঞ্জাম পাঠান প্রবাসীরা। এইসব সরঞ্জাম পেয়ে প্রবাসী মুজিব নগর সরকারের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানী প্রবাসী রেজাউল হাসানকে ধন্যবাদ জানিয়ে ও আনন্দ প্রকাশ করে চিঠি লিখেছিলেন।

১৯৭১ সালের মার্চের শুরুতে প্রবাসে বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশের পক্ষে কমিটি গঠন হতে থাকে। যা আজও অ্যাকশন কমিটি নামে পরিচিত। যুদ্ধ প্রেক্ষাপটে অ্যাকশন কমিটির ভূমিকা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, তৎকালীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাকশন কমিটির কর্মকান্ড সমন্বয় করতে এক সভায় কেন্দ্রীয় কাউন্সিল গঠন করা হয়েছিল।

এভাবেই ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তহবিল সংগ্রহ, প্রতিবাদ সমাবেশ,সরঞ্জাম ও অর্থ প্রেরণ, কূটনৈতিক তৎপরতা এবং বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাদের বর্বরোচিত নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বিশ্ব জনমত তৈরিতে ব্যাপক প্রচারণা চালান প্রবাসীরা।

এছাড়া বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তির জন্য ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী  সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এই প্রবাসীরাই।

অতঃপর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। কিন্তু এখানেই থেমে যায়নি প্রবাসীদের যুদ্ধ। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা ছিল অনেকটা তলা বিহীন ঝুঁড়ির মত।বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় শূণ্য। আর এই অবস্থায় প্রবাসীরা চালিয়ে যান অর্থনৈতিক মুক্তি যুদ্ধ। যার অব্যাহত ধারা আজও বহমান। এই অর্থনৈতিক যোদ্ধাদের হাত ধরেই ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে বাংলাদেশের রেমিটেন্স ১৫৩০ কোটি ৯৩ লাখ মার্কিন ডলার। যা দেশের ইতিহাসে এযাবৎ কালের সর্বোচ্চ। যার ফলে ২০১৫ সালের অক্টোবরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ  প্রথম বারের মত ২৭ বিলিয়ন ডলারের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে। যা সার্ক ভুক্ত দেশ গুলোর মধ্যে ২য় সর্বোচ্চ এবং যা দিয়ে দেশের প্রায় ৭ মাসের মোট আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। এই বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ  অর্জন সম্ভব হয়েছে রেমিটেন্স প্রবাহের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকার কারণে। বিশ্বায়নের যুগে অনেক বড় বড় দেশ অর্থনীতি সামাল দিতে হিমশিম খেলেও, শুধু মাত্র এই রেমিটেন্সের কারণেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হয়েও বিশ্ব মন্দার কবলে পড়েনি।

এক সময় প্রবাসী হওয়ার একমাত্র কারণ অর্থনৈতিক হলেও,বর্তমানে জাতীয় রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতা,বিশ্বায়নের ফলে উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসা  বাণিজ্য সহ নানা কারণে মানুষ প্রবাসী হচ্ছেন। তবে যে কারণেই প্রবাসী হননা কেন, যে যে দলেরই হন না কেন,যে যে ধর্মেরই হন না কেন, যে যে পেশারই হন না কেন, বৈধ অবৈধ  সকল প্রবাসীর পরিচয় একটাই।  তারা সকলে রেমিটেন্স প্রেরণকারী অর্থনৈতিক মুক্তিযোদ্ধা।

বিশ্বের প্রায় ১৫৯ টি দেশে সরকারী হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৮৬হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী রয়েছে। বেসরকারী হিসেব অনুযায়ী সেই সংখ্যা প্রায় ১ কোটি বিশ লাখ। যে সংখ্যা অস্ট্রিয়া,  আয়ারল্যান্ড, সুইডেন,লুক্সেমবার্গ,  ক্রোয়েশিয়া,  ডেনমার্ক এবং বারমুডা সহ ইউরোপ আমেরিকার অনেক উন্নত দেশের মোট জনসংখ্যার চাইতে বেশি। কি ভয় ধরে গেল? এই এক কোটি প্রবাসী মিলে যদি আবার একটি ভার্চুয়াল দেশ গঠন করে?  হ্যাঁ তা হয়তো সম্ভব, কিন্তু দেশ মাতা যে তার হৃদয়ে লাল সবুজ আর কাদা মাটির এক অদ্ভূত দেশ প্রেম সেঁটে দিয়েছে,  তা সে ভুলবে কেমন করে। দেশ প্রেম আর ভালবাসা ভরা হৃদয়ে যে ঘৃণা বড়ই বেমানান।তাই দেশে প্রবাসে এত অপমান সহ্য করেও মা মাটি ও দেশকে ভালবেসে যায় নিরবে।

 এক কোটি প্রবাসীর আয়ের সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িয়ে আছে দেশে থাকা প্রবাসী পরিবার পরিজনের আরও প্রায় ৫ কোটি বাংলাদেশীর দৈনন্দিন ব্যয়  ও জীবন মান।প্রবাসীদের সরাসরি বিনিয়োগ কম থাকলেও ভোক্তা পণ্যে এসব প্রবাসী পরিবার গুলো ব্যাপক পরিমাণে খরচ করায় সামষ্টিক অর্থনীতির বিপুল উপকার সাধিত হচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন ভোক্তা পণ্য উৎপাদনে প্রচুর বিনিয়োগ আকৃষ্ট হচ্ছে।

দুর্বল অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং অর্থনীতিতে সঠিক মনিটরিং এর অভাবে দেশ বার বার মুদ্রাস্ফীতিতে পড়েছে।আর মুদ্রাস্ফীতি হলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যায়, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে বাজার ব্যবস্থাপনায়। কিন্তু প্রায় এক কোটি প্রবাসী পরিবারের তথা দেশের প্রয়োজনে ঐ সংকটময় মুহূর্ত গুলোতেও রেমিটেন্স প্রবাহের হার অব্যাহত রেখে দেশের অর্থনীতিকে বার বার ক্ষতির হাত থেকে উদ্ধার করেছে।

ব্যাংক গুলো থেকে সরকারের অধিক হারে ঋণ গ্রহণ, বিদেশে অবৈধ ভাবে অর্থ পাচার এবং শেয়ার বাজারে হরিলুটের কারণে অর্থনীতিতে যে তারল্য সংকট তৈরি হয়েছিল তারও প্রভাব কাটাতে ভূমিকা রেখেছে এই রেমিটেন্স।

পক্ষান্তরে প্রবাসীরা পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন তাদের নূন্যতম নাগরিক অধিকার ভোটাধিকার হরণ, মা মাটি ও দেশের টানে জন্মভূমিতে ছুটে যাওয়ার সময় বিমান বন্দরে অহেতুক নানা হয়রানি,দেশের বড় বড় সাংবাদিক, বুদ্ধি জীবী ও নাট্য নির্মাতাদের তিরস্কার।এমনকি অনেকে নিজেদেরকে খাঁটি  দেশ প্রেমিক প্রমাণ করতে প্রবাসীদের দেশ প্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলতেও দ্বিধা করেননি।

আরে আসল দেশ প্রেমিকতো তারা, যারা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে স্বদেশের মায়া মমতা আর নাড়ির টান ত্যাগ   করে বিদেশ বিভূইয়ে পড়ে আছে। যে পরিবার গুলোর অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা সহ মৌলিক চাহিদা গুলো রাষ্ট্রের মেটানোর কথা, সেই পরিবার গুলোর দায়িত্ব নেয়া কি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব নয়?

তাহলে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে এসে অর্থনৈতিক মুক্তিকামী কোন সৈনিক যদি বিদেশ বিভূইয়ে মৃত্যু বরণ করে তার লাশটি সরকারী খরচে কেন রাষ্ট্র  দেশে ফেরত নেয়ার ব্যবস্থা করবে না? এটা কি সভ্যতার যুগে চরম অসভ্যতা ও অকৃতজ্ঞতা নয়?

এক সময় বাংলাদেশ কৃষি প্রধান অর্থনীতির দেশ হলেও, নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিগত কয়েক দশকে সেই চিত্র অনেকাংশেই পাল্টে গেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন দাড়িয়ে আছে পোশাক শিল্প এবং প্রবাসী আয়ের উপর। কিন্তু পোশাক শিল্প নানা রাজনৈতিক এবং অবকাঠামোগত কারণে প্রায়ই অস্থিতিশীল থাকে। সেক্ষেত্রে দেশের একমাত্র স্থিতিশীল অর্থনীতির খাত হল প্রবাসী আয়।

আর যে প্রবাসীদের রক্তে ভেজা ঘামের টাকায় দেশ আজ অর্থনৈতিক মুক্তির পথে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার স্বপ্ন দেখে সেই প্রবাসীদের প্রতি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠীত সরকারগণ  কতটাইনা অকৃতজ্ঞ। কতটা অমর্যাদায় আর অবহেলায় রাষ্ট্র  তার এই অর্থনৈতিক মুক্তি যোদ্ধাদের প্রবাস জীবনের যুদ্ধ ক্ষেত্রে মৃত্যু বরণের পর সরকারী খরচে লাশটি দেশে প্রেরণের কৃতজ্ঞতা বোধটুকু দেখাতে পারেনা। সত্যিই বিচিত্র, সেলুকাস। তাইতো ক্ষোভ  আর অভিমান নিয়ে বলতে ইচ্ছে হয়-“এক কোটি বাঙ্গালীর বঙ্গ জননী,  রেখেছ প্রবাসী  করে মর্যাদা দাওনি।”

Category: সম্পাদকীয়

About the Author ()

Leave a Reply