• ১৩ বৈশাখ ,১৪৩১,26 Apr ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

ফেনীর ছয় হাসপাতালের এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট

| ডিসেম্বর 13, 2017 | 0 Comments
b7fea349ab7e65841dbfc4cdab084b3c-5a2f634f25fdf

সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স–রে যন্ত্রটি ১০ বছর ধরে নষ্ট

দেশের খবর:

আবু তাহের, ফেনী:

ফেনীতে চার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ছয়টি সরকারি হাসপাতালের এক্স-রে যন্ত্র বছরের পর বছর অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা এর ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দরিদ্র রোগীদের বেশি টাকা খরচ করে বেসরকারি রোগ নির্ণয়কেন্দ্র ও ক্লিনিক থেকে এক্স-রে করতে হচ্ছে।

ফেনী জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোনাগাজী, দাগনভূঞা, ফুলগাজী ও পরশুরাম এই চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং জেলার বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টারে গত ৫ থেকে ১০ বছর ধরে এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট। অপর দিকে ২৫০ শয্যার ফেনী সদর হাসপাতাল ও ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে যন্ত্র থাকলেও রেডিওলজিস্ট না থাকায় সেগুলোও অকেজো পড়ে আছে।

ফেনী সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালে গরিব ও অসহায় রোগীদের এক্স-রে করতে কোনো ফি নেওয়া হয় না। কিন্তু অপেক্ষাকৃত সচ্ছল রোগীদের জন্য এক্স-রে করতে ফি দিতে হয় ৫৫ থেকে ৭০ টাকা। তবে এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট থাকায় গরিব রোগীরা এই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বেসরকারি ক্লিনিকে এক্স-রে করাতে খরচ পড়ে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা।

সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুরুল আলম বলেন, গত ১০ বছর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে যন্ত্র দুটি নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। মেডিকেল টেকনোলজিস্টও নেই। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি।

পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত এক বছর ধরে এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট রয়েছে। পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুল খালেক মাছুম বলেন, গত ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি নতুন এক্স-রে যন্ত্র স্থাপন করা হলেও চার মাসের মাথায় সেটি নষ্ট হয়ে যায়। এরপর একাধিকবার লেখালেখি হলেও এটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। হাসপাতালে দুটি এক্স-রে যন্ত্রই নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। তবে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আছে।

ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ইলিয়াছ বলেন, গত প্রায় আড়াই বছর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে যন্ত্র দুটি নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। এক্স-রে বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্টকেও ঢাকার একটি হাসপাতালে প্রেষণে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

একই অবস্থা দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরও। দাগনভূঞা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল খায়ের মিয়াজী বলেন, এক্স-রে যন্ত্র দুটি দীর্ঘদিন নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে হাসপাতালে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নেই।
ফেনী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের এক্স-রে যন্ত্রটি ২০১০ সাল থেকে নষ্ট বলে জানান সেখানকার জ্যেষ্ঠ পরামর্শক চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, হাসপাতালে মেডিকেল টেকনোলজিস্টও নেই। রোগীদের প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ফেনী শহরে গিয়ে এক্স-রে করতে হয়।
অপর দিকে ফেনীর ২০ শয্যার ট্রমা সেন্টারের এক্স-রে যন্ত্র এখন পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়নি। গত ৮ থেকে ৯ বছর ধরে যন্ত্রটি এভাবেই পড়ে আছে। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকায় যন্ত্রটি চালু হয়নি।

ফেনীর সিভিল সার্জন হাসান শাহরিয়ার কবীর বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেওয়া হলেও তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি।//প্রথম আলো

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর

About the Author ()

Leave a Reply