• ১৭ কার্তিক ,১৪৩১,01 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

বিশ্ব মানবতার দেশ ফ্রান্সে আরবি ছেলেদের হাতে পঙ্গুত্ব বরণ করে হাসপাতালের বেডে মুন্সীগঞ্জের মোরতুজা ফাহিম মাসুম।

| এপ্রিল 30, 2019 | 0 Comments

ইউরোবিডি কমিউনিটি নিউজ: গত ২৭ এপ্রিল রবিবার আনুমানিক রাত ৮টায় নিজ আবাসস্থল ক্যাতশোমায় ঔষধ কিনতে ফার্মেসীতে যাওয়ার পথে ৫ জন সাদা চামড়াধারী আরবি বংশোদ্ভৌত ছেলে হিংস্র নেকড়ের মতো বাংলাদেশী মুন্সী গঞ্জের শ্রীনগরের মোরতুজা ফাহিম মাসুমের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। উপর্যুপরি কিল ঘুসি ও ভারী বুটের লাথিতে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে মাসুম। এসময় জীবন বাঁচাতে অসহায় মাসুম জীবন নিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়, কারণ নেকড়ের মতো ঝাঁপিয়ে পড়া আরবি ছেলে গুলো ইতিমধ্যে মাসুমের ডান পা ভেঁঙ্গে দিয়েছে।

মার খেয়ে পড়ে কাতরানো মাসুমকে দেখে আশেপাশের লোকজন দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বাহিনী পম্পিয়ারকে কল করেন। আঘাত গুরুতর দেখে পম্পিয়ার বাহিনী কল করে দ্রুত মেডিকেল সেবাদানকারী টিম সামুকে। ইতিমধ্যে পুলিশও নিধিরাম সর্দারের মত যথানিয়মে হাজির হয়েছে ঘটনাস্থলে। প্রাথমিক সেবা শেষে সামুর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাসুমকে উন্নত চিকিৎসা ও পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় হসপিটাল দেলাফন্তেইনের জরুরী বিভাগে। সেখানে এমআরআই ও রেডিওলজির মাধ্যমে ডাক্তাররা নিশ্চিত হয় ভারী বুটের আঘাতে মাসুমের ডান উরুর হাড় ভেঙ্গে গেছে। অপারেশনের কোন বিকল্প নেই।

পরদিন ২৮ এপ্রিল সোমবার সকাল ৮টা৩০ মিনিটে ডাক্তার সার্জারি টাইম দিলেন। ঠিক সময়ে অপারেশন করে মোরতুজা ফাহিম মাসুমকে দেলাফন্তেইন হসপিটালের ১১০৩ নাম্বার কেবিনে রাখা হয়েছে। ফ্রান্সে এখনও আনডকুমেন্টেড মাসুম জানেন না আবার কবে তিনি স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে পারবেন। হায়নার হামলার শিকার হয়ে মাসুমের স্বপ্নগুলো আজ হাসপাতালের কেবিনের চার দেয়ালে বন্দি।

হামলার শিকার মোরতুজা ফাহিম মাসুমের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার উত্তর কামার গাঁও গ্রামে।

উল্লেখ্য ফ্রান্সের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ইল দো ফ্রঁস বিভাগের প্রতিটি জেলার প্রতিটি ভিলে প্রতিদিনই কোন না কোন জায়গায় বাংলাদেশীদের উপর আরবি কালো ছেলেরা হামলা চালাচ্ছে। কমিউনিটির সাধারণ বাংলাদেশীরা মনে করছেন সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর মোকাবেলা না করলে এটি মহামারি আকার ধারণ করবে এবং একটা সময়ে বাংলাদেশীদের লেজ গুটিয়ে ঘরে বসে থাকা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

অবশেষে কমিউনিটি নেতাদের উদ্দেশ্যে তারা বলেন,

“পড়শিরা তোর নিপাত যাবে, তুই বুঝি সুখে খাবি। যা ছুটে যা তাদের বাঁচা, তারাই যে তোর বেঁচে থাকার আশা।”

Category: 1stpage, Community France, Community news 1st page, Scroll_Head_Line, ইউরোবিডি কমিউনিটি সংবাদ

About the Author ()

Leave a Reply