• ২১ কার্তিক ,১৪৩১,06 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

আজকরে খুলনা ০৯ মার্চ -২০১৩ (শনিবার),এম শিমুল খান, খুলনা অফিস

| মার্চ 9, 2013 | 0 Comments

খুলনায় নির্দলীয় নারী গণমঞ্চের সভা অনুষ্ঠিত

ঃ খুলনায় নির্দলীয় নারী গণমঞ্চের উদ্যোগে শনিবার বিকেলে খুলনা মহানগরীর শহীদ হাদিস পার্কে যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদন্ড ও জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ করণের দাবিতে এবং নারী দিবস উপলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্য দেলোয়ারা বেগম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। বক্তৃতা করেন শ্যামল সিংহ রায়, অলোকা নন্দা দাস, লুৎফন নেছা লুৎফা, সরদার আনিসুর রহমান পপলু, রসু আক্তার, অজান্তা হালদার, রাশেদা করিম এবং নারী নেত্রী মুক্তি রায়। প্রধান অতিথি সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক তার বক্তৃতায় বলেন, এ মাসটি অনেক গুরুত্ব বহন করে। এ মাসেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দিয়েছিলেন। তার ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান দালাল আইন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়া মতায় এসে এ আইন বাতিল করে দেয়। যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি সকলকে ঘৃনা জানাতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। পরে শহীধ হাদিস পার্কে মোমবাতি প্রজ্জলন করা হয়। এছাড়াও খুলনা জেলার বিভিন্ন স্থানে নারী দিবস পালন করা হয়।
খুলনার ফুলতলায় নারী দিবস পালিত : আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপল্েয খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর উদ্যোগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ হাবিবুর রহমান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ ইকবাল হোসেন, মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আঃ মোতালেব, পরিসংখ্যান কর্তকর্তা শেখর রঞ্জন হালদার উদ্ভাবনী মহিলা সংস্থার মারিয়া ভূইয়া মেরী, বাবর আলী, সূর্যের হাসি কিনিকের ম্যানেজার মোল্যা কামরুজ্জামান বিদ্যুৎ, প্রশিকার সমন্বয়কারী প্রদীপ কুমার সরদার প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন। আলোচনা সভার পূর্বে এক র‌্যালী উপজেলা চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনার দাকোপে নারী দিবস পালিত : নারীর তথ্য পাওয়ার অধিকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে নারী দিবস উদযাপন উপলে বর্ণাঢ্য র‌্যালী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় দিবসটি উদযাপন উপলে প্রশাসন ও মহিলা দপ্তরের উদ্যোগে বিশাল একটি র‌্যালী উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদনি শেষে উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হালিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড়, জয়ন্তী রানী সরদার, অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক সহকারী কর্মকর্তা আব্দুর রহমান, ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্মকর্তা আব্দুর রব ও উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরিক কর্মকর্তা কর্মচারীগণসহ বিভিন্ন স্কুলের শিক, শিকিা, ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবক গণ।
খুলনার ডুমুরিয়ায় নারী দিবস পালিত : “নারীর তথ্য পাওয়ার অধিকার, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শনিবার সকালে র‌্যালী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে খুলনা জেরার ডুমুরিয়ায় উপজেলায় পালিত হয় নারী দিবস। ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং বিভিন্ন এনজিও’র সহযোগিতায় শহীদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি’র বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হাদী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পত্মী মিসেস রুবিয়া আফরোজ মৌসুমী, ভাইস চেয়ারম্যান শোভারানী হালদার। আরো বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পঙ্কজকান্তি মজুমদার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. অশোক কুমার দাস, প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা সংকর কুমার রায়, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুরাইয়া সিদ্দীকা, বি আর ডি বি কর্মকর্তা সাবিহা খানম, এনজিও কর্মী রিয়াজুল হক, মো. আব্দুর সবুর, মহিউদ্দীন আহমেদ, সুমী আক্তার, প্রতিমা রানী সাহা, সবিতা রানী, বিলকিস বেগম, বাবুল আকতার, বিজয় কৃষ্ণ মন্ডল, রতন দাস, নেপাল চন্দ্র দাস প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ব্র্যাক সামাজিক মতায়ন কর্মসূচী, প্রশিকা, নিজেরা করি, উত্তরণ, ভূমিজ ফাউন্ডেশন, দলিত, আলো মহিলা সমিতিসহ বিভিন্ন এনজিও’র কর্মীবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদণি করে।

খুলনায় ৪র্থ বিভাগীয় মেডিকেল সম্মেলন অনুষ্ঠিত

 ঃ শনিবার বিকাল ৩ টায় খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক খুলনা মহানগরীর একটি অভিজাত হোটেলে ৪র্থ খুলনা বিভাগীয় মেডিকেল সম্মেলন-২০১৩ ও গুণী চিকিৎসকদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্রাক্টিশনার্স এসোসিয়েশন খুলনা শাখা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এসোসিয়েশনের খুলনা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব ডা. মোঃ সামসুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ডা. মোঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বিএমএ খুলনা বিভাগের সহ-সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম, বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা. মোঃ রফিকুল হক বাবলু ও গাজী মেডিকেল কলেজের অধ্য প্রফেসর ডা. শৈলেন্দ্র নাথ মিস্ত্রী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. গাজী মিজানুর রহমান, যশোর শাখার সভাপতি ডা. নাসিম রেজা, ঝিনাইদহ’র সভাপতি ডা. নুরুল্লাহ মাহমুদ, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ডা. শওকত আলী লস্কর প্রমুখ বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন। খুলনা সিটি মেয়র অনুষ্ঠানে ৫ জন বিশিষ্ট চিকিৎসকের হাতে আজীবন সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। চিকিৎসকগণ হলেন ডা. মোঃ আশরাফ হোসেন খাঁন (মরণোত্তর), ডা. মোঃ নাসিম উদ্দিন, আলহাজ্ব ডা. এ এফ এম আব্দুস সোবহান, অধ্যাপক ডা. মোঃ নুরুল ইসলাম ও ডা. মোজাম্মেল হোসেন।

খুলনা মহানগর বিএনপির হামলা-নির্যাতন বন্ধে কঠোর হুশিয়ারী
ঃ রাষ্ট্র পরিচালনায় চার বছরের সীমাহিন ব্যর্থতা ঢাকতে আওয়ামী মহাজোট সরকার শাহবাগ নাটক মঞ্চস্থসহ দেশব্যাপী গণহত্যা শুরু করেছে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিসহ তাদের অনিয়ম দুর্ণীতি ও লুটপাটের বিচারের দাবি থেকে জনগনের দৃষ্টি সরাতে পরিকল্পিতভাবে সংখ্যলঘুদের ঘর-বাড়ি ও মন্দিরে হামলা চালিয়ে বিরোধী দলের ওপর দায়ভার চাপাতে চাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে সমাপনী ভাষনে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর তাদের বক্তৃতা বিবৃতির মাধ্যমে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ও বিরোধী দলের ন্যায় সঙ্গত দাবি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন কর্মসূচী কঠোর ভাবে দমন করতে পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগ যুবলীগ শ্রমিকলীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের লেলিয়ে দিয়েছে। এসব ক্যাডারদের হামলায় গত তিন দিনে (মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার) খুলনায় বিএনপি ছাত্রদল ও যুবদলের ৫ নেতাকর্মী গুরুত্বর আহত হয়েছেন। খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এমপি এবং সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি শনিবার এক বিবৃতিতে এ সকল হামলা ও নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ফ্যাসিবাদী শাসক মতা আকড়ে রাখার সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে যেভাবে হত্যাযজ্ঞ চালায় এ সরকারও সে পথেই হাটছে। এভাবে দমন পীড়ন চালিয়ে সরকারের শেষ রা হবে না বলে তারা হুশিয়ারি উচ্চারন করেন। বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, মঙ্গলবারের হরতাল চলাকালে খুলনা মহানগরীর ইকবালনগর এলাকায় মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও সিটি কলেজের সাবেক জি এস মশিউর রহমান যাদু ও কমার্স কলেজ ছাত্রদল নেতা শামীম কবিরকে একটি বাড়ির ভেতর থেকে ধরে বেদম পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনী। পরে পুলিশ তাদেরকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় পেন্ডিং মামলায় আদালতে চালান দিয়েছে। বুধবার দুপুরে খুলনা মহানগরীর আজাদ লন্ড্রী মোড় এলাকায় ছাত্রদল নেতা শহিদুল ইসলাম সাগর ও যুবদল নেতা মনিরুল ইসলাম হিরা নামে দুই ভাইকে বেদম পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী ও তার বাহিনী। এরপর হিরাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় সন্ত্রাসীরা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবারের হরতালে খালিশপুর এলাকায় কঠোর ভাবে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনের অপরাধে খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেলকে রাতে বাড়ি ফেরার পথে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়। হামলায় নেতৃত্ব দেয় যুবলীগ ক্যাডার ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা। আশংকাজনক অবস্থায় রুবেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিবৃতিতে অবিলম্বে এসব সন্ত্রাসী, খুনি ও ক্যাডারদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হিসেবে যথা যথ দায়িত্ব পালনে পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে এর জন্য তাদের জবাব দিহি করতে হবে।

অর্থ সংকটের কারনে খুলনার একমাত্র ফাইওভার নির্মাণ হচ্ছে না

 ঃ খুলনার মানুষের বহুল প্রত্যাশিত ফাইওভারটি নির্মাণ হচ্ছে না। খুলনা মহানগরীর ফুলবাড়িগেট রেল ক্রসিংয়ের ওপর ফাইওভার নির্মাণের জন্য ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি তৈরি করেছিল খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপ (কেডিএ)। খুলনা বিভাগের মধ্যে এটিই ছিল প্রথম ফাইওভার। সম্প্রতি অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে প্রকল্পটি ফেরত পাঠিয়েছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপ (কেডিএ) সূত্রে জানা গেছে, খুলনা মহানগরীর ফুলবাড়িগেট রেল ক্রসিং খুলনা নগরীর অন্যতম একটি ব্যস্ত মোড়। প্রতিবছর এখানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির পাশাপাশি যানজট লেগেই থাকে। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপ (কেডিএ) পরিচালিত এক সমীায় দেখা গেছে, এই রেল ক্রসিংয়ের ওপর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার ৪০০টি মটর সাইকেল, ১ হাজার ৬০টি বড় বাস, ৮০০টি মাইক্রোবাস, ৪৫০টি বেবি ট্যাক্সি, ৫৩০টি মিনিবাস এবং ২৬০টি পিকআপ ও মিনিবাস চলাচল করে। এছাড়া ফুলবাড়িগেট রেলপথ দিয়ে প্রতিদিন ২০ বার ট্রেন যাওয়া আসা করে। ট্রেন আসা যাওয়ার সময় সড়কটি কমপে ৫ মিনিট করে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে প্রতিদিন যাত্রীদের ১০০ মিনিট সময় নষ্ট হয়। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে রেল ক্রসিংয়ের ওপর একটি ফাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা নেয় খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপ (কেডিএ)। সূত্রটি আরো জানায়, ২০১১ সালের ১২ এপ্রিল প্রকল্পের প্রথম ডিপিপি (ডেভোলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তখন প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৯৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ওই বছর ৮ জুন মন্ত্রণালয়ের এক সভায় প্রকল্পটি কাটছাট করে ৯৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকায় আনা হয়। কিন্তু প্রকল্প তৈরি ও বাস্তবায়নের মাঝে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যায় দ্বিগুণ। যার কারণে ব্যয় সংশোধনের জন্য ডিপিপি আবার ফেরত পাঠানো হয়। সর্বশেষ গত বছরের ৩ মে প্রকল্পের সংশোধিত ডিপিপি গণপূর্ত অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। কেডিএ’র পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুজিবর রহমান জানান, ফাইওভারটি নির্মাণ হলে খুলনার সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট পুরোপুরি কমে যেত। এছাড়া ফাইওভারের মাঝখানে ডিভাইডার, ফুটপাত এবং বাগান, খুলনার প্রবেশ মুখে ভাস্কর্য্য ও ঝরণা নির্মাণ করায় এটি খুলনাবাসীর জন্য একটি দৃষ্টি নন্দন স্থাপনা হিসেবেও বিবেচিত হত। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপ (কেডিএ)’র প্রধান প্রকৌশলী এটিএম ওয়াহিদ আজহার জানান, প্রকল্পটির সংশোধিত ডিপিপি পাঠানোর পর বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছিল। সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ সংকটের কারণ দিয়ে প্রকল্পটি আপাতত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। যার কারণে এই মুহূর্তে ফাইওভারটি নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি জানান, খুলনার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসের কথা মাথায় রেখে সুবিধাজনক সময়ে প্রকল্পটি আবারও পাঠানো হবে।

কর্তৃপরে বিনা অনুমতিতে বিদেশ ভ্রমন ও পাসপোর্টে তথ্য গোপন
খুলনা ওজোপাডিকো’র প্রধান প্রকৌশলী সাময়িক বরখাস্ত
ঃ সংশ্লিষ্ট কর্তপরে বিনা অনুমতিতে (ছুটি ব্যাতিত) প কালব্যাপী বিদেশে অবস্থান এবং তথ্য গোপন করে পাসপোর্ট করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি খুলনা’র ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (প্রধান প্রকৌশলী) অসীম কুমার ঘোষকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসাথে কোম্পানির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শরিফুল ইসলামকে ওই পদে (মহাব্যবস্থাপক) হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ওজোপাডিকোর খুলনা অফিস সূত্রে জানা যায়, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকোর) খুলনার উপ-মহাব্যবস্থাপক (এইচআর এন্ড এডমিন) আলমগীর কবীরের ২৮ ফেব্রুয়ারি স্বারিত ৮৮৯ নম্বর স্মারক পত্রে বলা হয়, খুলনা ওজোপাডিকোর মহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) ও এন্ড এমএস এন্ড ডি অসীম কুমার ঘোষ কর্তপকে অবগতি না করেই গত বছর ২৭ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি বিহীন ভারতে ভ্রমণ করায় এবং তিনি ওজোপাডিকো’র একজন কর্মরত কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও তথ্য গোপন করে তার পাসপোট করেছেন। যার নং-অঅ-৭৭৯৩৫৩৪, ইস্যুর তারিখ-১২/৫/২০১১ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ-১১/৫/২০১৬। তিনি এই পাসপোর্টে পেশা হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা উল্লেখ করার অভিযোগে তাকে ওজোপাডিকোর চাকরি বিধির ৪৯ (১) ধারা মোতাবেক চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত কালীন সময়ে কোম্পানির চাকরি বিধির ৪৯ (১) ধারা মোতাবেক তিনি খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন বলেও স্মারক পত্রে উল্লেখ করা হয়। আলমগীর কবীর স্বারিত একই স্মারক পত্রে বলা হয়, কোম্পানির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম নিজ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে, ওজোপাডিকোর খুলনা অফিসের অপর একটি সূত্র জানায়, সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর অসীম কুমার ঘোষ ৫ দিনের ছুটি নিয়ে ঢাকায় গেছেন। এছাড়া বুধবার তার ছুটি শেষ হয়েছে বলেও সূত্রটি উল্লেখ করেছে। তিনি শনিবার পর্যন্ত অফিসে এসে পৌছাননি বলে জানায় সুত্রটি।

খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতার সহযোগিতায় দোকান দখল
খুলনা অফিস ঃ খুলনা মহানগরীর কদমতলা এলাকায় একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান দখলকে কেন্দ্র করে বর্তমানে চরম উত্তেজনা চলছে। ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন দখলকারীদের প নিয়ে শনিবার সেখানে গেলে এ উত্তেজনা সৃস্টি হয়। লিপন ভান্ডার নামের যে প্রতিষ্ঠানের অধাংশ দখল হয়েছে তার মালিক শেখ ফজলে বারী লিপন জানান, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমাকে খুলনা ছাড়ার হুমকি দিয়ে আমার প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রভাবশালী ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন জানান, লিপনের সৎভাই এরশাদের আবেদনের পরিপ্রেেিত স্থানীয় গণ্যমান্যদের শালিসী শেষে তাতে তার অংশ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ওই অংশ সে বুঝে পাচ্ছিলনা বলে সে নজরুল নামের একজনের কাছে হস্তান্তর করেছে। সে শনিবার সকালে সেখানে ঝাড়া-মোছার কাজ করতে এসেছিল। তিনি বলেন, লিপনকে কোন হুমকি দেয়া হয়নি, সে কারও কথা শুনতে চায় না। লিপন জানান, রেলের কাছ থেকে ১ হাজার ৫৯ বর্গফুট জমি আমাদের পজিশন নেয়া। এই জমি বিক্রিয় যোগ্য নয়। কিন্তু আমার ছোট ভাইর কাছ থেকে তার অংশ ক্রয়ের কথা বলে স্বপনের নেতৃত্বে তা দখল করা হয়েছে। ঘরের মাঝখান থেকে পার্টিশন দিয়ে এ কাজ করা হয়েছে। এতে পার্শ্ববর্তী আমার স্ত্রী জেসমিন আকতারের জমি ওই দখলের মধ্যে পড়েছে। তিনি বলেন, আমি খুলনার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী আমার দোকান দখলের পর এখন খুলনা ছাড়ার হুমকি দিয়েছে কমিশনার স্বপন। বিষয়টি নিয়ে এরশাদের সাথে কথা বলার জন্য মোবাইলে যোগাযোগ করলে তার স্ত্রী রিসিভ করে জানান, তিনি মোবাইল ভুলে বাসায় রেখে যশোর জরুরি কাজে গেছেন। কদমতলার জমির বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তিনি (স্বামী) আমাকে কিছু বলেননি।

খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনিতে বসছে গাজার আসর !
ঃ খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির কানাইদিয়াতে প্রতিদিন বসছে গাজার আসর। ফলে এলাকার সচেতন মহল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। তারা ওই গাজার আসর বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানা যায়, কপিলমুনির পাশ্ববর্তী কানাইদিয়া গ্রামের মধুপালের বাগান সংলগ্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় বসে গাজার আসর। এই গাজার আসরে গঞ্জিকা সেবীরা যোগদানের পূর্বে ওই এলাকার বলাইয়ের মোড় নামক স্থানে এ্কত্রিত হয়ে উক্ত বাগান সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে ২০/২৫ জন সেবী নির্বিগ্নে মনের আনন্দে মাদক সেবন করে থাকে। ফলে এলাকার যুবসমাজ-কিশোর সমাজ মারাতœক হুমকির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতনরা, শুধু তাই নয়, রীতিমত উদ্বিগ্ন হয়েও পড়েছেন তারা। এমতাবস্থায় অনতিবিলম্বে ওই গাজার আসর বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তপে কামনা করেছেন সচেতন মহল।

খুলনায় শিবিরের বিােভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত


ঃ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ সেলিম উদ্দিনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও অবিলম্বে মুক্তির দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শিবির খুলনা মহানগরী শাখা শনিবার নগরীর শান্তিধাম মোড় হতে বিােভ মিছিল বের করে। মিছিলটি খুলনা মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদনি শেষে সংপ্তি সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। খুলনা মহানগরী সেক্রেটারী আজিজুল ইসলাম ফারাজীর নেতৃতে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিম মিরাজ হোসাইন, নাজমুল হুসাইন , মহিউল ইসলাম, হাদিসুর রহমান, তারিকুর রহমান, আব্দুল বারিক, হুমায়ূন কবীর,এ কে এ তানজিল, আব্দুর রাজ্জাক, ওবায়দুর রহমান, আব্দুর রব, আঃ আল-মামুন, ইমরান হুসাইন, হাসান মামুনুর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আজিজুল ইসলাম ফারাজী বলেন, আওয়ামী সরকার মানবতা বিরোধী অপরাধের নামে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দেকে ফাঁসি দেওয়ার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তারা বিশ্ব বরেণ্য আলেম মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রহসনের ফাঁসির রায় ঘোষনা করার পর এদেশের সাধারণ মানুষ জীবন দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। শতাধিক মানুষ তাদের প্রাণ উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে প্রমান করেছে ইসলামী ব্যক্তিত্বদের উপর অবিচার মেনে নেবে না। বাকশালী সরকার শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মোঃ সেলিম উদ্দিনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে জামায়াতকে নেতৃত্বশুন্য করার পায়তারা চালাচ্ছে কিন্তু সে ইচ্ছা আওয়ামীলীগকে বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। তিনি অবিলম্বে সেলিম উদ্দিনসহ জামায়াত শিবিরের সকল নেতা কর্মীকে মুক্তি দিয়ে সংঘাতের রাজনীতি পরিহার করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

র‌্যাবের পোশাক পরে খুলনার ডুমুরিয়ায় শাহপুর বাজারে গণ ডাকাতি
ঃ খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার শাহপুর বাজারে র‌্যাবের পোশাক পরে গণডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। ডাকাতরা নগত টাকা, স্বর্ণালংকার, রৌপ্যসহ আনুমানিক কোটি টাকার মালামাল নিয়ে যায়। শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নাইট গার্ডদের সূত্রে জানা গেছে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টায় রঘুনাথপুর ক্যাম্পের টহল পুলিশ চলে যাবার পর পাশ্ববর্তী বটতলায় নাইট গার্ডরা পাহারা দিচ্ছিল। এই সময় শাহপুর গাজীপাড়া সড়ক দিয়ে ১৫/২০ জন সশস্ত্র লোক র‌্যাবের পোশাক পরে এগিয়ে এসে নাইট গার্ডদের কাছে জানতে চায় ‘ কি রকম ডিউটি হচ্ছে?” পুলিশ কখন গেছে? আবার কখন আসবে? তার পর বাজারের ১৩জন নাইট গার্ডকে এক জায়গায় করে একটি গোডাউনে আটকে রাখে এবং তাদের বেধে মুখে টেপ লাগিয়ে দেয়। এর পরপর ডাকাত দল শিল্পি জুয়েলার্সের তালা ভেঙ্গে ও আলমারি কেটে ১৮ ভরি সোনা, ২৪০ ভরি রুপা ও নগদ ৩০ হাজার টাকা। জয় মা জুয়েলার্স থেকে ৭ ভরি সোনা, ১০০ ভরি রুপা ও ১টি টেলিভিশন। তনুশ্রী জুয়েলার্স থেকে ৪ ভরি সোনা ও ২০ হাজার টাকা। বাসন্তি বস্ত্রালয় থেকে ১২ ভরি স্বর্ণালংকার, নগত ১ ল টাকা ও ১ ল টাকার শাড়ি কাপড় এবং নিলয় ষ্টোর থেকে নগত ৫৫ হাজার টাকা ডাকাতি করে নেয়। সব মিলিয়ে ২৫/২৬ টি দোকান ভেঙ্গে প্রায় কোটি টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই আঃ গফুর ঘটনা স্বীকার করে জানান ঘটনাস্থলে গিয়ে ১টি এ্যাঙ্গেল শাবল, ১টি ব্যানা ও ১১টি কাটা তালা আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে। বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি গাজী নিজাম উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতাত্তোর শাহপুর বাজারে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম।

খুলনা নগরবাসী মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ : কেসিসির কোন উদ্দ্যোগ নেই

 ঃ খুলনা নগরবাসী মশার যন্ত্রনায় অতিষ্ট। কেসিসির কোন উদ্দোগ নেই। অথচ ব্যয় কমাতে ফগার মেশিন দিয়ে উড়ন্ত মশা নিধনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)। দীর্ঘ দিন ধরে ফগার মেশিন দিয়ে অ্যাডাল্টি সাইড ছিটানোর কাজ বন্ধ থাকায় খূলনা মহানগরীতে মশার উৎপাত বেড়ে গেছে। এনিয়ে খুলনা মহানগরবাসীর ভোগান্তির অন্ত নেই। কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়া পরিবর্তনের আগে মশার উৎপাত কমাতে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করা হয়। উড়ন্ত মশা নিধনের জন্য ফগার মেশিনের সাহায্যে অ্যাডাল্টি সাইড এবং মশার ডিম ও প্রজনন বন্ধের জন্য স্প্রে মেশিনের সাহায্যে লার্ভা সাইড ও লাইট ডিজেল দেয়া হয়। বর্তমানে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে লার্ভা সাইট ও লাইট ডিজেল দেয়া হচ্ছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় মশার উৎপাত দিন দিন বাড়ছে। সূত্রটি জানায়, অ্যাডাল্টি সাইড ছিটানোর জন্য খুলনা মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে একটি করে ফগার মেশিন ছিল। দীর্ঘ দিন ব্যবহার না করাতে তার অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। গত এক বছর ধরে অ্যাডাল্টি সাইটের তেল কেনা হচ্ছে না। ফলে ফগার মেশিন ব্যবহারও হচ্ছে না। কনজারভেন্সি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ফগার মেশিনের তেলের দাম প্রতি লিটার ৪০০/৫০০ টাকা। একটি মেশিনে ৫ লিটার তেল ও এক লিটার পেট্রোলের প্রয়োজন হয়। এতে খরচ হয় দুই হাজার থেকে ২১শ’ টাকা। এই টাকা দিয়ে ফগার মেশিন চালানো যায় মাত্র ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা। এর ফলে কেসিসির ব্যয় বেড়ে যায় অনেক। অতিরিক্ত ব্যয় কমাতে কর্তৃপ তেল কেনা বন্ধ রেখেছে। তবে লার্ভি সাইড ছিটানোর কাজ নিয়মিত চলছে। এছাড়া ড্রেনের পানি সচল রাখার জন্য পেড়ি মাটি তোলা হচ্ছে। কেসিসির কনজারভেন্সি অফিসার আনিসুর রহমান জানান, মশার উৎপাত বেড়েছে এটি সত্য। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনও বসে নেই। খুলনা মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ২০ লিটার করে লাইট ডিজেল স্প্রে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে হুইল মাউন্টেইন মেশিন দিয়েও একদিনে ২টি করে ওয়ার্ডে লার্ভি সাইড ছিটানো চলছে। কয়েকদিন আগে খুলনা মহানগরীর অধিকাংশ ড্রেনের পেড়ি কাদা পরিষ্কার করা হয়েছে। তিনি বলেন, খুলনা মহানগরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও মশা মুক্ত রাখতে গেলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। অনেক এলাকায় ড্রেনগুলোয় আবর্জনা ফেলে পানি প্রবাহ বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। এতে মশা বাড়ছে। মশা কমানোর জন্য নিজের বাড়ির আঙিনা, ড্রেন, সেফটি ট্যাংকের আউট লাইনের পরিষ্কারের জন্য খুলনা মহানগরবাসীর প্রতি তিনি আহবান জানান।

ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলামে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের কোন স্থান নাই——-খুলনা সিটি মেয়র

 ঃ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের কোন স্থান নাই। তিনি বলেন, আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মপ্রাণ এবং এ বিশাল অংশের মানুষ ইমামদের আদেশ উপদেশ মান্য করেন। দেশের মানুষদের সঠিক পথে পরিচালনার জন্য ইমামদের জ্ঞান ও বিবেক দ্বারা ইসলামের সঠিক বাণী প্রচার করা উচিত। ইমামগণ দেশ ও সমাজের কল্যাণে নিবেদিত থাকবেন এটাই কাম্য। ইসলামের সঠিক প্রচার ও প্রসারে বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন সৃষ্টি করেছিলেন উল্লেখ করে খুলনা সিটি মেয়র ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে তাদের কার্যক্রম আরো গতিশীল করার আহবান জানান। খুলনা সিটি মেয়র শনিবার সকাল ১০টায় খুলনা মহানগরীর বয়রাস্থ ইসলামিক ফাউন্ডেশন খুলনার মিলনায়তনে জেলা পর্যায়ের জাতীয় ইমাম সম্মেলন, ইমাম মোয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যগণের সমন্বয়ে ওরিয়েন্টেশন কোর্স এবং মসজিদের পবিত্রতা ও জঙ্গীবাদ সন্ত্রাস প্রতিরোধে আলেম ওলামাগণের এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। সিটি মেয়র আরো বলেন, বর্তমান সরকারের সাথে ইসলামের কোন বিরোধ নাই। ১৯৭১ সালে যারা নিরাপরাধ মানুষ হত্যা ও নারী নির্যাতন করে মানবতার বিরুদ্ধে চরম অপরাধে লিপ্ত ছিল সরকার তাদের আইনানুযায়ী বিচার করছে। আর এ সকল অপরাধের বিচার না হলে সমাজ তথা একটি দেশ চলতে পারে না। অথচ একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ বিচারকে কেন্দ্র করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। সম্মিলিতভাবে তাদের এ সকল অপকর্ম প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি সমাজের প্রতিটি স্থানে সন্ত্রাস বিরোধী কমিটিতে ইমামদের প্রধান ভূমিকা পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন খুলনার পরিচালক মুহাম্মদ এবাদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢাকার পরিচালক (পরিকল্পনা বিভাগ) মোঃ শাহাবুদ্দিন খান। স্বাগত বক্তৃতা করেন ইমাম প্রশিণ কেন্দ্র খুলনার উপ-পরিচালক শাহিন বিন জামান এবং প্রশিণাথীদের পে বক্তৃতা করেন হাফেজ মোঃ মোক্তার হোসেন। সভায় খুলনার ইমাম ও মুয়াজ্জিনগণ অংশ গ্রহণ করেন। সভা শেষে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে ইমামদের অংশ গ্রহণে একটি সন্ত্রাস বিরোধী র‌্যালী বের করা হয়। সিটি মেয়রের নেতৃত্বে র‌্যালীটি এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদণি করে।

 নারী দিবস উপলে খুলনায় চার দিন ব্যাপী কর্মসূচী শুরু নারী নির্যাতনকারীদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শনে আধাঁর ভাঙ্গার শপথ

 ঃ খুলনায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলে ৪ দিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। নারী দিবস উদ্যাপন পর্ষদ, খুলনার আয়োজনে শনিবার সকালে খুলনা প্রেস কাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসূচী শুরু হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে শনিবার নারী নির্যাতনকারীদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন, আধাঁর ভাঙ্গার শপথ, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং রবিবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে মানব বন্ধন, আলোচনা সভা, নির্দলীয় নারী মঞ্চের সমাবেশ, নারীদের বিশেষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। শনিবার সকালে খুলনা প্রেস কাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নারী দিবস উদ্যাপন পর্ষদ এর সদস্য সচিব ও জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নার্গিস ফাতেমা জামিন লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারী নেত্রী রসু আক্তার, শামীমা সুলতানা শীলু, মনোয়ারা বেগম, সুতপা বেদজ্ঞ, ফাতিমা হুমায়রা সিলভী, অজন্তা হালদার, মানবাধিকার কর্মী মোমিনুল ইসলাম প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১৯১১ সাল হতে আজ অবধি নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী দিবসটি স্বগৌরবে প্রতিষ্ঠিত। শত বছরের পরিক্রমায় নারী অধিকার আন্দোলনে দিবসটির তাৎপর্য আকাশচুম্বী। প্রতিবারের ন্যায় এবারও পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। অত্যন্ত সময়পোযোগী দাবী পুরণের লে এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “নারীর তথ্য পাওয়ার অধিকার, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার”। খুলনায় বিগত কয়েক বছর যাবৎ সকল সরকারী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একত্রে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে। বরাবরের ন্যায় এবারেও দিবসটি পালনের উদ্দেশ্যে আমরা নারী দিবস উদযাপন পর্ষদ, নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। কিন্তু বর্তমান দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অনেকটা অনাড়ম্বও ভাবে এবারেও কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে । প্রায় ৭০টি সরকারী সেচ্ছসেবী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে ৪দিন ব্যাপী খুলনায় যে কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে তার সূচনা ঘটছে এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে। ভিডিও প্রদর্শনী, নারী নির্যাতনকারীদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও আধাঁর ভাঙ্গার শপথ অনুষ্ঠিত হবে। জাতিসংঘ শিশু পার্কে র‌্যালি উদ্বোধন, খুলনা মহানগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে মানব বন্ধন এবং জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কে আলোচনা সভা, খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে নির্দলীয় নারী গণমঞ্চ’র উদ্যোগে সমাবেশ, রূপসা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নারীদের জন্য বিশেষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

Category: দেশের খবর

About the Author ()

Leave a Reply