নির্বাচনে এসে শক্তি যাচাই করুন, ১০ ভাগ ভোটও পাবেন না ॥ কাদের

নির্বাচনে এসে বিএনপিকে নিজেদের শক্তি যাচাইয়ের পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে এসে নিজেদের শক্তি যাচাই করে দেখেন। ১০ ভাগ ভোটও পাবেন না। সিটি নির্বাচনে গেলেন না, কাউন্সিলররা তো ঠিকই গেল। কয়েক দিন পর শুনব, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্য শুরু হয়ে গেছে। সোমবার বিকেলে রাজধানীর পল্লবীর হারুণ মোল্লা ঈদগা মাঠে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ঢাকা-১৬ আসনের অন্তর্গত ইউনিটগুলোর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলে বিএনপিকে আদালতের সঙ্গে ফয়সালা করার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব, নির্বাচনে আসেন না। আপনারা তো তত্ত্বাবধায়ক চান। তত্ত্বাবধায়কের মাধ্যমে আপনারা পেয়েছিলেন ৩০টা সিট। ওই তত্ত্বাবধায়ক আর আসবে না। মরে গেছে। আমরা পাঠাইনি। পাঠাইছে আদালত। আদালতের সঙ্গে গিয়ে ফয়সালা করেন। নির্বাচন করতে হলে সংবিধান অনুযায়ীই হবে।
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী মোল্লাসহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় এবং মহানগরের নেতারা বক্তব্য রাখেন। 
বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে খবর পাইছেন? বিপুল ভোটে বরিশালে বিজয়ের পথে, বিজয়ের পথে খুলনায়। বিজয়ের খবর। দুই তৃতীয়াংশ কেন্দ্রের ভোট গণনা হয়েছে। ইলেকশন কমিশন বলেছে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ ভোটার ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতি। তিনি বলেন, আমাদের দেশে নাকি শেখ হাসিনার সময়ে মানুষের ভোটের প্রতি আগ্রহ নেই। বিএনপি বলে, সুজন বলে। তা হলে গাজীপুরে কি হলো? ৫০ পারসেন্ট, ৪০ পারসেন্ট গাইবান্ধা নির্বাচনে। আগ্রহ নেই? আপনারা (বিএনপি) নাই বলে ভোটার আসবে না, এই দুঃস্বপ্ন দেখে ফখরুল সাহেব লাভ নেই। বিএনপি স্বপ্ন দেখছে মানুষ ভোট বর্জন করবে, কিন্তু মানুষ করছে না। বিএনপির তাই স্বপ্নভঙ্গ হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বপ্ন দেখে লাভ নেই, লাফালাফি বন্ধ হয়ে যাবে। বিদ্যুৎ নিয়ে তুলকালাম। আরে তোরা দিলি খাম্বা, আমরা দিলাম বিদ্যুৎ। যদি বিদ্যুতের ঘাটতি হতো, কিছুদিন আগে বিশ্বকাপ হয়ে গেল। কোথাও কি বিদ্যুৎ নিয়ে ঝামেলা হয়েছে? আজকে যদি বিএনপি ক্ষমতায় থাকত, বিশ্বকাপে কত যে বিদ্যুৎ নিয়ে ভাঙচুর হতো! বিএনপির সময় মানুষ একটা বিশ্বকাপও ঠিক মতো দেখতে পারেনি। বিএনপি ও এরশাদ আমলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টাই লোডশেডিং ছিল বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ওপরে আল্লাহর রহমত আছে। শেখ হাসিনার ওপর মানুষের দোয়া আছে। শেখ হাসিনা যাবে না। সারারাত জেগে যে নেতা মানুষের কথা ভাবে, খাদ্যদ্রব্যের দাম কোথায় কত বাড়ল সে কথা ভাবে, সে নেতাকে হটানো এত সহজ নয়। তিনি বলেন, তাপমাত্রা কমে গেছে, লোডশেডিংও কমে গেছে। কয়েকদিনের মধ্যে আর থাকবে না।

বাজারে বিভিন্ন জিনিসের দাম কমতে শুরু করেছে এমন দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আরেক তেল সয়াবিন। দাম কমছে? কিছু কিছু জিনিসের দাম কমতে শুরু করেছে। ইনশাআল্লাহ এই দুঃখ, কষ্ট আপনাদের থাকবে না। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, আজকে তারা (বিএনপি) লাফালাফি করতে করতে শেষ! এই বুঝি সরকার পড়ে গেল! এত সোজা? চিন্তা করবেন না। আছি আমরা। শেখ হাসিনা আছেন। আওয়ামী লীগ মরে গেলেও বেঈমানি করবে না। আমরা মরে যাব, কিন্তু মানুষের সঙ্গে বেইমানি করব না। জনগণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু বেইমানি করেন নাই। তার কন্যা হচ্ছেন শেখ হাসিনা। ভরসা রাখবেন।

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর, রাজনীতি, শীর্ষ সংবাদ