• ১৫ বৈশাখ ,১৪৩১,28 Apr ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

বাংলাদেশী অভিবাসীদের জীবন নিয়ে ছবি “দ্যা গেইম” প্রদর্শিত হলো প্যারিসে।

| জানুয়ারী 6, 2024 | 0 Comments

শাহ সুহেল আহমদ:

গেইম। শব্দটা ইংরেজি। খুব সহজ। কিন্তু শব্দটার আরেক অংশে সেঁটে আছে বড়ই নির্মম আর করুন কাহিনী। সেই নির্মম গেইমের সাথে শুধু তারাই সম্পৃক্ত, যারা অবৈধ পথে ইউরোপ পাড়ি জমান। সেইসব অভিবাসীরা অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে বিভিন্ন সীমান্ত পাড়ি দেয়ার নাম দিয়েছেন ‘গেইম’।

‘গেইমের’ বাইরে থাকা মানুষদের কাছে ‘গেইমের’ চরম বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে তথ্যচিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেন নির্মাতা জয় চ্যাটার্জি এবং প্রকাশ রায়। তথ্যচিত্রের নাম দিয়েছেন ‘দ্য গ্যাম’। গেইমের বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তুলতে তারা কাজ করেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্থে। একইসাথে কাজ করেছেন ‘গেইম মেরে’ ফ্রান্সে এসে কাগজহীন হয়ে যাওয়া একাধিক অভিবাসীকে নিয়ে। গেইমের যাত্রাপথের নির্মম কাহিনী তুলে ধরতে সংযোজন করেছেন সাগরে ভেসে আসা সেইসব ভয়ঙ্কর ‘বুটের’ ভিডিও। সবমিলিয়ে গেইমের শিকার একজন অভিবাসীর বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে তথ্যচিত্রে।

তথ্যচিত্রটি নির্মাণ শেষে সেটি প্যারিসের একটি হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হয়। এ সময় ফ্রান্স সরকারের অভিবাসী বিষয়ক বিভিন্ন দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছাড়াও বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ঠ্যজনেরা অংশ নেন।

দ্য গ্যাম প্রদর্শন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও দর্শকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন দুই চলচ্চিত্র নির্মাতা জয় চ্যাটার্জি, প্রকাশ রায় ও অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহ।

এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, একজন দর্শক হিসেবে চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেছি। কিন্তু যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা খুবই নির্মম আর হৃদয়বিদারক। আমরা আশা করবো, এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা থেকে দেশের যুবকেরা বিরত থাকবে।

চলচ্চিত্র নির্মাতা জয় চ্যাটার্জি বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। দেশে কর্মসংস্থান বাড়ছে। তারপরও একটি শ্রেণি এমন ভয়ঙ্কর পথ বেছে নিচ্ছে, যা মোটেও কাম্য নয়। তিনি বলেন, এমন কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে এসে ইউরোপে এরা আবার অনিয়মিত হয়ে যাচ্ছে। এতে পরবর্তী জীবনটা আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে তাদের কাছে। তিনি এমন অভিবাসীদের প্রতি সংশ্লিষ্টমহলকে সদয় হওয়ার অনুরোধ জানান।

নির্মাতা প্রকাশ রায় বলেন, চলচ্চিত্র নির্মাণের পর সেটি প্যারিসে প্রদর্শন করা ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু সেটি প্যারিসে প্রদর্শন করতে এগিয়ে এসেছেন আয়েবা মহাসচিব কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব কাজী এনায়েত উল্লাহ। এজন্য তিনি নির্মাতাদের পক্ষ থেকে কাজী এনায়েত উল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় নৈশভোজ। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা চলচ্চিত্রটি নিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন।

Category: 1stpage, Community France, Community news 1st page, Scroll_Head_Line, ইউরোবিডি কমিউনিটি সংবাদ

About the Author ()

Leave a Reply