চার সিটি নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ের পথে ১৮ দলীয় প্রার্থীরা
দেশের খবর: চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এক ঐতিহাসিক বিজয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন ১৮ দলীয় সমর্থক প্রার্থীরা। সিলেটে ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী ৩৩ হাজার ৩শ’ ৫০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। বেসরকারি ফলাফলে সবকয়টি কেন্দ্রে তিনি ভোট পেয়েছেন ১০৬০০০। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান পেয়েছেন ৭২৬৫০। রাজশাহীতে
১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল প্রায় ২৮ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তিনিও জয়ের কাছাকাছি রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজশাহীর মোট ১৩৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১০ টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে বুলবুল পেয়েছেন ৯১৪৫০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিটন পেয়েছেন ৬৩০৯৫ ভোট।
ওদিকে, বরিশালে আহসান হাবিব কামাল, খুলনায় মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিরও এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে অনেক এগিয়ে রয়েছেন ১৪ দল সমর্থিত প্রার্থীদের চেয়ে। আওয়ামী লীগ তথা ১৪ দল সমর্থিত প্রার্থী এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, শওকত হোসেন হিরন ও তালুকদার আবদুল খালেকের চেয়ে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে এগিয়ে রয়েছেন বিএনপি সমর্থক প্রার্থীরা।
এরআগে চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন দু’একটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ শেষ হয়। চার সিটির প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা ভোট দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ১৮ দলীয় জোটের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেয়া হলেও কোথাও ভোট স্থগিতের ঘটনা ঘটেনি।
খুলনা ও বরিশালে একটি করে কেন্দ্রে কিছু সময়ের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। বরিশালে কয়েক দফায় প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বি শওকত হোসেন হিরন ও আহসান হাবীব কামালের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কামাল এবং সাবেক একজন এমপি আহত হন। হিরণ দাবি করেছেন তিনি নিজেও আহত হয়েছেন। খুলনায় র্যাব পুলিশের ধাওয়া ও লাঠিচার্জে ইসলামী আন্দোলনের এক কর্মী নিহত হওয়ার দাবি করা হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে। সিলেটে জাল ভোটের অভিযোগ তোলা হয়েছে বিএনপি সমর্থিত আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষ থেকে।
Category: দেশের খবর