নেকাব পরিহিতা মহিলার গতিরোধ কেন্দ্র করে ফ্রান্সে গোলযোগ
ইউরো সংবাদ: ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভ্যালস বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত প্যারিসের শহরতলিগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রাখা হবে।
নেকাব বা পুরো মুখ আবৃত বোরকা পরিহিতা এক মহিলাকে পুলিশের গতিরোধ করাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট গোলযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘোষণা দিলেন তিনি। উপর্যুপরি দ্বিতীয় রাতেও প্যারিসের কয়েকটি শহরতলিতে গোলযোগের পর এ ঘোষণা দিলেন ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, রাজধানীর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ট্রাপেজ ও এর আশপাশে স্থায়ী শান্তি ফিরে না আসা পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রাখা হবে।
রোববার খুব সকালে এ এলাকায় প্রায় ২৫০ তরুণ সমবেত হলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরে চার ব্যক্তিকে আটক করে।
সংঘর্ষ চলাকালে ১৪ বছরের এক কিশোর চোখে মারাত্মক আঘাত পায় এবং প্রায় ২০টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়।
গত ১৮ জুলাই পুলিশ নেকাব পরিহিতা এক নারীর গতিরোধ করলে গোলযোগ শুরু হয়। ফরাসি কর্মকর্তারা দাবি করছেন, মহিলার স্বামী এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেছেন। কিন্তু ফ্রান্সের ইসলাম বিদ্বেষ প্রতিরোধ গোষ্ঠীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুলিশ কর্মকর্তা মহিলার নেকাব ধরে টান দেয় এবং তার মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
গত ২০ জুনও প্যারিসে একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটে। প্যারিসের আজেনটিউলি নামের আরেক এলাকায় ফরাসি পুলিশ ২৫ বছর বয়সী নেকাব পরিহিতা আরেক মহিলার গতিরোধ করেছিল।
এ ছাড়া, গত ১৩ জুন দুই ব্যক্তি হিজাব পরিহিত এক মহিলাকে প্রচণ্ড মারপিট করলে তার গর্ভপাত ঘটে। এ মহিলা ফ্রান্সে নিষিদ্ধ ঘোষিত নেকাব নয় বরং সাধারণ হিজাব পরিহিত ছিলেন। অর্থাত তারা মাথা ওড়নায় ঢাকা থাকলেও মুখ খোলা ছিল।
ফ্রান্সের মুসলমানদের ওপর এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার বিরোধিতাকারী অনেকেই এ সব ঘটনার জন্য ২০১১ সালে দেশটিতে আরোপিত নেকাব বা বোরকা বিরোধী আইনকে দায়ী করছেন।
তারা বলছেন, এ আইন অনুমোদন করার পরিণামে ফ্রান্সে মুসলিম বিরোধী হামলা যে অহেতুক বৃদ্ধি পাবে তা সংশ্লিষ্ট ফরাসি রাজনীতিবিদরা অনুমান করা সত্ত্বেও তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ আইন কার্যকর হওয়ার পর ফ্রান্সে মুসলমানদের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে।//রেডিও তেহরান
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, ইউরো সংবাদ, ইউরো সংবাদ, ইউরো-সংবাদ - France, শীর্ষ সংবাদ