প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছে ঝুমা,মামলা করেছেন ঝুমার মা
দেশের খবর: অপহরণ নয়, প্রেমের টানেই ঘর ছেড়েছেন ‘ক্ষুদে গানরাজ’ তারকা ঝুমা আক্তার। শুধু তাই নয়, বিয়ে করে এখন সংসারী সে। অবশ্য ঝুমার মা জেসমিন বেগম রোববার নরসিংদী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। এতে আসামি করা হয়েছে ঝুমার প্রেমিক ইসরাফিল ও তার গাড়িচালক ফয়সালকে। মামলায় বলা হয়েছে গত ২৩শে জুলাই ঝুমাকে নরসিংদী জেলখানার মোড় থেকে আশুলিয়ার বাদাইল গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ইসরাফিল ও ফয়সাল তুলে নিয়ে যায়। তার মেয়ের বয়স ১৪ বছর। ফলে বিয়ে করার বয়স তার নয়। ২০০৮ সালে মেরিডিয়ান চ্যানেল আই ‘ক্ষুদে গানরাজ’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয় সে। নরসিংদীর ঝুমা এখন ঢাকা ক্যামব্রিয়ান স্কুল ও কলেজে নবম শ্রেণীতে পড়ে। এ বিষয়ে জেসমিন বেগম বলেন, ইসরাফিল এর আগেও একাধিক বিয়ে করেছে। আমি বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করে মেয়ের কোন খোঁজ না পেয়ে মামলা করেছি। ঝুমা ও ইসরাফিল কারও সঙ্গেই আমি এখন যোগাযোগ করতে পারছি না। আমার মেয়ে আবেগের বশে কাজটা করেছে। তিনি বলেন, সাভারের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গিয়ে ইসরাফিলের সঙ্গে ঝুমার পরিচয়। এরপর বসুন্ধরায় ঝুমা ও তার মায়ের বাসায়ও আসা-যাওয়া শুরু করে ইসরাফিল। ঝুমা প্রায়ই ইসরাফিলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতো। এ ক্ষেত্রে মা জেসমিন বাধা দিতো। এনিয়ে ইসরাফিলের সঙ্গে জেসমিনের মনোমালিন্যও হয়। এক পর্যায়ে মেয়েকে নিয়ে নরসিংদী চলে যান তিনি। জেসমিন জানান, প্রায়ই ঝুমা পাঁচ থেকে সাত দিন বাড়ির বাইরে থাকতো। কোন খোঁজখবর পাওয়া যেতো না। ঝুমা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার দু’দিন পর ইসরাফিল তার কয়েকজন বন্ধুবান্ধবসহ এসে ঝুমার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে টিভি, ফ্রিজ, ল্যাপটপ সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র নিয়ে গেছে। এ সময় ঝুমার মা বাধা দিলে ইসরাফিল বলে, ঝুমা আমার স্ত্রী, তাকে আমি বিয়ে করেছি। তার জিনিসপত্র সে নিয়ে যেতে বলেছে। তাই নিয়ে যাচ্ছি।
এব্যাপারে নরসিংদী মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর থেকেই ঝুমাকে উদ্ধার করতে পুলিশ, র্যাবের যৌথ অভিযান চলছে।