বিচার পেলনা ফেলানী; আসামী বেকসুর খালাস
ইউরোবিডি২৪নিউজঃ কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে নিহত হতভাগ্য বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী খাতুনের খুনিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে ভারতের একটি আদালত। বিএসএফের বিশেষ আদালতে বিচারের নামে প্রহসনের পর বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষিত রায়ে অভিযুক্ত বিএসএফের হাবিলদার অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পর অবিশ্বাস্য দ্র্রুততায় সে মুক্তি পেয়েছে।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে ১৫ বছর বয়সী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের জওয়ান অমিয় ঘোষ। ফেলানীর খুনিকে খালাস দেয়ার পর তাত্ক্ষণিকভাবে ভারতের প্রতি ‘নতজানু’ বলে সমালোচিত আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও গতকাল এ খবরে বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিক থেকে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ফেলানীর বাবা-মা বলেছেন, এ রায়ের মাধ্যমে বিচারের নামে তামাশা করা হয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক আদালতে ফেলানী হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছেন। দেশে ফেলানীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। তাই মেয়েকে নিয়ে এক দালালের মাধ্যমে বেড়া পেরিয়ে দেশে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন নুরুল ইসলাম।
সেই দালালের কথামত ফজরের আজানের সময়ই তাদের বেড়া টপকানোর কথা ছিল। স্থানীয় ক’জনের মাধ্যমে সেই দালাল বেড়া টপকানোর জন্য কাঠের পাটাতনের ব্যবস্থা করেছিল।নুরুল ইসলাম জানিয়েছিল, প্রথমে তিনি বেড়া টপকে বাংলাদেশের দিকে চলে যান। তারপর যখন ফেলানী একটি বেড়া টপকে অন্য বেড়ার দিকে এগোচ্ছিল, তখন তার জামা কাঁটাতারে আটকে যায়। আর সে সময়ে বিএসএফের এক সদস্য দেখে ফেলে এবং গুলি চালায়। এতে সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ফেলানী।
এরপর প্রায় ৫ ঘণ্টা তার লাশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে ছিল। পরে বিএসএফ সদস্যরা তার লাশ নিয়ে যায়। পরে তার লাশ ফেরত দেয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গের একটি মানবাধিকার সংগঠনও রায়ের এ খবরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কলকাতার মানবাধিকার সংস্থা সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) সেক্রেটারি কিরিটি রায় বলেন, বিএফএফ সীমান্তে কেবল ত্রাসের রাজত্বই কয়েম করেনি, বিচারের নামে নাটকও সাজিয়েছে।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, আন্তর্জাতিক, দেশের খবর, প্রচ্ছদ, শীর্ষ সংবাদ