টিভি সাংবাদিকতায় কেন এই গোলামি?
স্টালিন সরকার : টিভির খবরে দেশের মানুষের আগ্রহ বাড়লেও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রায় তলানীতে ঠেকে গেছে। দর্শকশ্রোতারা প্রকৃত খবর জানতে সিএনএন, আলজাজিরা, বিবিসি’র প্রতি ঝুঁকে পড়ছেন। চলমান রাজনীতির সচিত্র খবরা-খবর দেশের টিভিগুলোর পর্দায় ঘণ্টায় ঘণ্টায় দেখানো হয়। তারপরও ‘প্রকৃত ঘটনা জানতে’ মানুষ অধির আগ্রহে অপেক্ষা করেন সন্ধ্যায় ও রাতে বিবিসি’র খবর শোনার জন্য। কয়েক বছরে দেশে টিভি সাংবাদিকতায় বিপ্লব ঘটেছে। কিন্তু দর্শকদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারছে না। এর কারণ কি মিডিয়াগুলো দলবাজি সম্পাদকীয় নীতি; নাকি অন্যকিছু? ২৮ অক্টোবর ছিল ‘লগিবৈঠা’ দিবস। ২০০৬ সালে এদিন বায়তুল মোর্কারমের উত্তর গেইটে রাজপথে হাজার হাজার মানুষের সামনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লগিবৈঠা দিয়ে নৃশংসভাবে মানুষ খুন করে লাশের ওপর নৃত্য করেছে। বর্বরোচিত সেই লোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে গতকাল কোনো রিপোর্ট মিডিয়ায় দেখা যায়নি। এমনকি ১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবসও অনেক মিডিয়াকর্মী পালন করেন না। এটা কি সাংবাদিকদের দলদাস মানসিকতার কারণে? প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতার টেলি সংলাপের কাটপিছ কয়েকটি টিভিতে যে কৌশলে প্রচার করা হচ্ছে তা কি সৎ সাংবাদিকতার মধ্যে পড়ে?
হরতালের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর শাহজাহানপুরে পুলিশের তাড়া খেয়ে মিছিলকারীরা পালানোর সময় সিএনজিতে অগ্নি সংযোগ করে। আহত চালককে হাসপাতালে নেয়া হয়। এটা অমানবিক ও নিন্দনীয়। সরকারের প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ভাইয়ের মালিকানাধীন টেলিভিশন ‘সময়’ সচিত্র এ প্রতিবেদন প্রকাশ করছে ঘন্টায় ঘন্টায়। একই দিন চাঁদপুরে পুলিশের গুলিতে যুবদলের এক কর্র্মী নিহত হয়েছে। ঝিনাইদহে ছাত্রলীগ-যুবলীগের বোমা হামলায় নিহত হয়েছে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ার চরে পুলিশের গুলিতে যুবদল নেতা হাসেন আলী মারা গেছে। চট্টগ্রামের সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানকে লক্ষ্য করে গুলী করা হয়েছে। আগের দিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলা এলাকায় হরতালের সমর্থনে পথসভায় র্যাবের পাশে থেকে সাদা পোশাকের একব্যক্তি একে-৪৭ নিয়ে গুলি করে রাশেদুল ইসলাম রান্টু (২৩) নামের একজনকে হত্যা করে। হরতালের দুদিনে যে ১০ জন মারা গেছে তার অর্ধেকই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। প্রতিমন্ত্রীর ভাইয়ের মালিকানাধীন টিভির খবরে ‘সিএনজি চালক আহতের খবর’ গুরুত্ব পেলেও পুলিশের গুলিতে মানুষ মারা যাওয়ার খবর গুরুত্ব পায়নি। গুরুত্ব পায়নি ময়মনসিংহের সরকার দলীয় এমপি গিয়াসউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে দা, কুড়াল, ট্যেটা, লাঠি, বল্লমের সশ¯্র মিছিলের খবর। অথচ সাদেক হোসেন খোকার দা কুড়াল নিয়ে পথে নামার নির্দেশ ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের বোমায় নিহত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের খবরও গুরুত্ব পায়নি। এমনকি পুলিশের মারমুখী আচরণ, এবং ছাত্রলীগ যুবলীগের অস্ত্রের মহড়ার খবর প্রচারে চ্যানেলটির আগ্রহ নেই। আগ্রহ হরতাল সমর্থকদের হাতে কেউ আহত হলে মানবিক দিক তুলে ধরে সে খবর প্রচারে। হরতালকারীদের হাতে আহতদের পরিবার আছে পুলিশের গুলিতে নিহতের পরিবারপরিজন নেই? তাদের বাবা-মা নেই। সন্তান হারিয় তাদের বাবা মা চোখের পানি ফেলছেন না? তাদের চোখের পানি দাম নেই? ছাত্রলীগ যুবলীগের হাতে যারা নিহত ও আহত হচ্ছেন তারা এদেশের সন্তান না? শুধু সময় টিভি নয়; সরকারের আজ্ঞাবহ সব চ্যানেলের প্রায় একই অবস্থা। বর্তমান সরকারের শাসনামলে ১৬টি টিভি চ্যানেলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। বিগত দুই সরকারের আমলে লাইন্সেস দেয়া হয়েয়ে আরো ৮/১০টি চ্যানেল। এসব চ্যানেলের অধিকাংশেরই সম্পাদকীয় নীতিই যেন সরকারের পদলেহন করা বিরোধী দলকে ‘মেলাইন’ করা। তথ্য প্রযুক্তির প্রসার এমন পর্যায়ে গেছে যে কোনো কিছুই এখন লুকানো যায় না। মানুষ কোনো না কোনো ভাবে প্রকৃত ঘটনা জেনে যায়। তাহলে মরুভূমির উঠ পাখির মতো আচরণ করছে কেন সরকারের সমর্থক এসব মিডিয়া? এ প্রশ্নের উত্তর কারো জানা নেই।
মালিবাগে চ্যানেল-২৪ এর এক রিপোর্টার গতকাল দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় আহত হয়েছেন। নবাবপুরে বাংলা ভিশনের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ হয়েছে। এ আগে দেশ টিভি, চ্যানেল ’৭১, দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক ভোরের কাগজসহ কয়েকটি মিডিয়া হাউজের সামনে বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। মিডিয়ার কয়েকটি গাড়িতে হামলা হয়েছে। এ সব আক্রমন দুর্ভাগ্যজনক। সাংবাদিকদের কেউ কেউ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। কিন্তু বেশির ভাগ সাংবাদিক নীরব। সাংবাদিক কম্যুনিটির উপর এ ধরণের আক্রমণে গোটা সাংবাদিক সমাজ প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠছে না কেন? সর্বত্র এ প্রশ্ন দেখা দিলেও জবাব দেয়ার কেউ নেই। বিশেষজ্ঞদের মত হলো; পক্ষপাতিত্ব করে সংবাদ প্রকাশ করায় ওই সব মিডিয়ার প্রতি মানুষ ক্ষুব্ধ। আর সাংবাদিক সমাজের দলাদলির কারণে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ হয়না। সাংবাদিকদের দায়িত্ব প্রকৃত খবর তুলে ধরা না সরকারের চাটুকারিতা করা? প্লট আর ফ্লাট কি মিডিয়াকে ‘বধির’ করে দিয়েছে? কিন্তু সরকারের স্তুতিতো বন্ধ নেই। একুশে টিভির টকশো ‘একুশের রাতে’ এ নিয়ে কথা বলেছেন চিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার। মর্ডারেটরের প্রশ্নের জবাবে খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবী কলামিস্ট ফরহাদ মজহার বলেছেন, সন্ত্রাসীদের টিভি চ্যানেলে বোমা হামলা হলে অবাক হবার কিছু নেই। এরা জনগণের কন্ঠ রোধ করে রেখেছে। ক্রমাগত গোলামী আচরণ করে এরা জনগণের চক্ষুশুলে পরিণত হয়েছে। টিভি চ্যানেলগুলিতে আরো বেশি বোমা হামলা হওয়া উচিৎ। এর আগে চ্যানেল ওয়ান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অতপর দিগন্ত টিভি, ইসলামী টিভি, আমার দেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদককে কারাগারে রাখা হয়েছে। এসব নিয়ে সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করেনি। বরং সরকার কিসে খুশি হয় সেই চেষ্টা করেছে? বিচার প্রক্রিয়ার গোপন স্কাইপি সংলাপ দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য পুরস্কার পাওয়ার কথা। কিন্তু সে অপরাধে (!) পত্রিকা সম্পাদককে জুলুম-নির্যাতনের পর কারাগারে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে সরকারি দলের আজ্ঞাবহ একজন সিনিয়র সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে কুলাঙ্গার পর্যন্ত বলেছেন। সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে এই সাংবাদিক (ইকবাল সোবহান চৌধুরী) নেতৃত্ব দিয়ে আন্দোলন আন্দোলন খেলে পুরস্কার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা হয়েছেন। সাংবাদিক আর মিডিয়ার কাজ কি জনগণের বিপক্ষ্যে অবস্থান নিয়ে সরকারকে তোয়াজ করা? আ স ম রব, ফরহাম মজহার, ড. তুহিন মালিক, নরুল কবির, আসিফ নজরুল, ড. পিয়াস করিম, মাহমুদুর রহমান মান্না, ড. নুরুল আমিন ব্যাপারীসহ অনেকেই টকশোতে স্পষ্টভাবে বলেছেন এখন দেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে। সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পুলিশকে ব্যবহার করছে নিজেদের ইচ্ছামতো। বিরোধ দল দমনে আইন শৃংখলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশকে পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। পুলিশ মানুষকে হত্যা করছে অহরহ। বিজিবি র্যাব দিয়ে মানুষের ওপর জুলুম নির্যাতন করা হচ্ছে। সরকার রাষ্ট্রের বাহিনীকে ব্যবহার করছে জনগণের উপর অথচ সে খবর মিডিয়ায় সঠিকভাবে আসছে না। আইনশৃংখলা রক্ষার প্রয়োজনে পুলিশ বাহিনী জনগণের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করবে তা ‘বাংলাদেশ পুলিশ আইনে’ রয়েছে। কিন্তু পদে পদে সেটা লংঘিত হওয়ার পরও আজ্ঞাবহ মিডিয়া সে নিয়ে প্রশ্ন তুলছে না। বরং বিভিন্ন খবরের শব্দ চয়নে এবং ক্যামেরার কারুকাজ এমনভাবে তুলে ধরা হয় তাতে ‘উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে’ চলে যায়। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। দলবাজ গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে।
মিডিয়াকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। মিডিয়া কি সে দায়িত্ব পালন করতে পারছে? জনসেবার দোহাই দিলেও রাজনীতিকরা নিজেদের স্বার্থের বাইরে যান না। বছরের পর বছর সংসদ একদলীয় ভাবে পরিচালিত হওয়া এবং বিরোধী দলের সংসদ বর্জন করায় ‘মানুষের কথা’ বলার কেউ ছিল না। টিভির টকশোর মাধ্যমে কিছুটা হলের ‘দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো’ হচ্ছে। এ জন্য মানুষ মিডিয়ার প্রতি ভরসা করতে চায়। কিন্তু যারা মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেছেন তাদের মানসিকতা কি? সহযোগী একটি দৈনিকে এ সরকারের সময় কারা কারা মিডিয়ার লাইন্সেস পেয়েছেন তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বির্তকে না গেলেও মানুষের প্রত্যাশা মিডিয়াগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর তথাকথিত দেশপ্রেমের মুখোশ খুলে দিক। কিন্তু মিডিয়াগুলোর অধিকাংশই সরকারের আজ্ঞাবহ ভূমিকা পালন করছে। কিছু মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা যেন শেখ হাসিনার চেয়েও বড় আওয়ামী লীগার। বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ হিসেবে পরিচিত করে আবার ক্ষমতায় আসার আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের দায়িত্ব যেন কয়েকটি মিডিয়া নিয়েছেন। তার অহরহ নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। মাদ্রাসা ছাত্র ও কওমী মাদ্রাসা নিয়ে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করা হচ্ছে। এমনকি শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার টেলিসংলাপের অংশবিশেষ প্রচার করে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা চলছে সংলাপে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক। বরং বেগম খালেদা জিয়ার আন্তরিক নন। পক্ষপাতিত্ব করা কি গণমাধ্যমের কাজ?
২৮ ফেব্রুয়ারী দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মামলার রায় ঘোষণার পর সারাদেশে ব্যপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছিল। সে সময় পুলিশের গুলি এবং সহিংসতায় ৮ জন পুলিশসহ প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ মারা গেছে। মিডিয়গুলো কি জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী ‘নিরপেক্ষভাবে’ সে খবরগুলো তুলে ধরেছে? পুলিশ গানপয়েন্টে নিয়ে গ্রামেগঞ্জে মিছিলকারীদের হত্যা করা হয়েছে। ঘর থেকে সাধারণ মানুষকে ধরে রাস্তায় এনে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। এসব খবর প্রচারে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশে উপর আক্রমনের খবর বেশি গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হয়েছে। সরকারের স্তবকদের টকশোতে এনে পুলিশের উপর আক্রমনের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ওই দলবাজরা পুলিশ প্রশাসনে উলঙ্গভাবে গোপালগঞ্জকরণ ও দলীয় করণের একবারও সমালোচনা করেনি। ওরা মতিঝিলের ঘটনা নিয়ে একই কা- করেছে। ’৫২ ভাষা আন্দোলনে পাকিস্তানী পুলিশ বাহিনীর গুলিতে ৫জন ছাত্র নিহত হয়েছিল। এ ঘটনায় পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে উত্তাল হয়ে উঠে গোটা বাংলাদেশ (সে সময় পূর্ব পাকিস্তান)। উত্তাল ঢাকায় তীব্র আন্দোলনের মুখে পাকিস্তান সরকার রাষ্ট্রভাষা বাংলা মেনে নিতে বাধ্য হয়। অথচ স্বাধীন দেশে জনগণের টাকায় পরিচালিত আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে একের পর এক মানুষ মারা গেলেও মিডিয়া এবং দলদাস বুদ্ধিজীবীদের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। বরং তারা সরকারকে খুশি করতে ঘটনার দায় ভুক্তভোগীদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেন। কিছু মিডিয়া এখনো প্রকৃত খবর এবং খবরের পিছনের খবর তুলে ধরার চেষ্টা করলেও অধিকাংশ মিডিয়া সরকারের আজ্ঞাবহ হওয়ায় মিডিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। রাজনীতির চলমান অবস্থা নিয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন। বিরোধী দল আন্দোলন করছে রাজপথে। এ অবস্থায় মানুষ দেশের মিডিয়াগুলোর খবর দেখলেও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। এ জন্য বিদেশি মিডিয়াগুলোর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। আর ‘নিরপেক্ষ দৃষ্টির’ বদলে ‘আওয়ামী লীগের চোখে’ ঘটনা দেখে কৌশলে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করায় যারা করছে তাদের প্রতি মানুষ বিক্ষুব্ধ হচ্ছে। তারই বহিপ্রকাশ মিডিয়ার ওপর আক্রমন। মিডিয়ার দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের উচিত নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে খবরাখবর দর্শকদের সামনে তুলে ধরা। সংবাদকর্মী এবং সংবাদ মাধ্যম নিরপেক্ষ ভূমিকায় অবতীর্ণ না হলে মানুষের ক্ষোভ বাড়তেই থাকবে। শাসক দলকে খুশি করতে মিডিয়া গোলামি করুন মানুষ তা পছন্দ করে না। কাজেই পেশার স্বার্থেই মিডিয়ার নিরপেক্ষ ভূমিকা অপরিহার্য।//ইত্তেফাক