• ১৩ বৈশাখ ,১৪৩১,26 Apr ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

অবৈধ সরকারের অধীনে নির্বাচন জনগন মেনে নেবে না-এম এ তাহের

| নভেম্বর 3, 2013 | 0 Comments
ইউরোবিডি কমিউনিটি সংবাদ: নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলের আন্দোলনে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে আসছে দাবি করে ফ্রান্স প্রবাসী ইউরোপিয়ান বিএনপি নেতা এম এ তাহের বলেন যেভাবেই হউক  এই সরকারকে হটাতে দেশের মানুষ সব ত্যাগ স্বীকার করতে আজ রাস্তায় নেমে এসেছে।
  সারা জীবন দেশ পরিচালনা করার ও দেশ কে লুটেপুটে খাওয়ার  মানসিকতার কারনে সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বর্তমান সঙ্কট তৈরি করেছে। নিজেদের অধীনে একতরফাভাবে নির্বাচন করতে একটি বিশেষ কমিটি করে নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা বাতিলের জন্য পঞ্চদশ সংশোধনী করেছে।যেখানে দেশের শতকরা ৯০ শতাংশ মানুষ এ সরকারের পরিবর্তন চায়। নির্দলীয় সরকারের দাবি এখন গণদাবি হয়ে উঠেছে।
  ইউরোপের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে ফ্রান্স প্রবাসী জাতীয়তাবাদি আদর্শবাহী রাজনীতিবিদ এম এ তাহের অত্যন্ত পরিচিত। জন্ম ১৯৬৩ সালে ফেনীর ইজ্জতপুরের ভূইঞা বাড়ির ঐতিহ্যবাহী শেখ পরিবারে। পিতা শেখ মাইনুদ্দিন হারুন, মা রোকেয়া সুলতানা।তিনি ইজ্জতপুর বহুমুখী উচ্ছ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৯ সালে এস এস সি  পাশ করেন।১৯৮১ সালে ফেনী সরকারি কলেজ থেকে এইচ এস সি, ও একই কলেজ থেকে ৮৩ সালে বিকম পাশ করেন।১৯৮৪ সাল থেকে তার পৈতৃক ব্যাবসা চামড়া শিল্পের সাথে জড়িত হন।দেশে সফল ভাবে ব্যাবসা পরিচালনা করার পর ইউরোপের বাজারে চামড়া শিল্পের রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯০ সালে ফ্রান্সে আগমন করেন। স্ত্রী নাসরিন জাহান দুই ছেলে তানজীম আহম্মেদ, তাইসির আহম্মেদ ও মেয়েকে নিয়ে প্যারিসে এম এ তাহের এর সুখের সংসার।
  এম এ তাহের একজন সফল রাজনীতিবিদ।ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে অভিষেক ঘটেছিল রাজনীতিতে।ফ্রান্সে আসার পর ১৯৯১ সাল থেকেই বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত।শুরু থেকে ২০০৫ সাল পর্্যন্ত ফ্রান্স বিএনপির স হ সভাপতি ছিলেন।২০০৮ সাল থেকে অধ্যাবিদ ফ্রান্স বিএনপির ্যুগ্ম আহবায়ক এবং অল ইউরোপিয়ান বিএনপির প্রতিষ্টাতা যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।১/১১ সময়কালে বিভিন্ন সভা সেমিনার,টেলিকনফারেন্স সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মতবিনিময়ের মাধ্যমে জনমত সৃষ্টির কাজে তার অবদান অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য।বিশেষ করে বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের কারাবরনের পর তারেক মুক্তি পরিষদ ও বেগম জিয়া মুক্তি পরিষদ গঠনের মাধ্যমে জেনভা,জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন,ইউনেস্কো,ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন,ফ্রান্স মানবাধিকার কমিশন,ইসি পার্লামেন্ট,সহ বিভিন্ন দেশের দুতাবাসে স্মারকলিপি,প্রতিবাদ সভা,সাক্ষাতকার এর মত শান্তি প্রিয় কর্মসুচী পালনের মাধ্যমে ইউরোপিয়ানদের মাঝে জনমত সৃষ্টি করেছিলেন যা প্রবাসে ভিন্ন রাজনীতির দেশে অনেকট দুরহ।তিনি কয়েকবার বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন ইস্যুতে ফ্রান্সের পার্লামেন্ট মেম্বারদের সাথে সাক্ষাত করেছেন।গত ৬ জুন ২০১৩ অল ইউরোপিয়ান বিএনপির পক্ষে একটি প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসাবে ফ্রান্স পার্লামেন্ট মেম্বার এবং সরকার দলীয় ২৯২ জন এমপির প্রধান চিফ হুইপ গ্রুপ সসালিষ্ট পার্টির প্রেসিডেন্ট ব্রুনো লি রোক্স এর সাথে দেখা করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্হিতি তুলে ধরেন।ব্রুনো লি তার আহবানে সাড়া দিয়ে ফ্রান্স পার্লামেন্টে প্রস্তাবনা রাখার আশ্বাস দেন।
  এম এ তাহের  বলেন,দেশের বর্তমান অবস্থা আমাদেরকে দেশে ও প্রবাসে কোথাও ভাল থাকতে দিচ্ছে না। বিশ্ববাসী জেনে গেছে বাংলাদেশ সরকার কতটা নিরাপদে এবং সুখে রেখেছে দেশের মানুষকে। যে দেশে কথায় কথায় গ্রেফতার, রাজনৈতিক দলন, পুলিশী আক্রমন, গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপর অত্যাচার, মানবাধিকারকে গলাটিপে হত্যা করা হয়, রাতের আধারে মানুষের উপর গুলিবর্ষিত হয়, ব্যবসায়ী সহ যে খানে মানুষকে গুম, খুন হতে হয় প্রতিনিয়ত সেই দেশের নাগরিক হিসাবে ভাল থাকা যায়না।দেশের মানুষ আজ চরম আতংকে রয়েছে। সাধারণ কোন নাগিরকই সস্তিতে নেই।
   ফ্রান্স বিএনপির বর্তমান আবস্হা জানতে চাইলে এম এ তাহের বলেন ইউরোপের মধ্যে ফ্রান্স বিএনপি একটি শক্তিশালী সংগঠন।একটি বড় দল হিসাবে ভুল বোঝাবোঝি থাকতে পারে।তবে ফ্রান্সের সকল নেতৃবৃন্দ অত্যন্ত আন্তরিক।আমরা একসাথেই কাজ করে যাচ্ছি।আশা করি শীঘ্রই কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিঠি গঠিত হবে।আমাদের নেতা তারুন্যের অহংকার ফ্রান্স সফরে আসবেন।ফ্রান্সে জাতী্যতাবাদি আদর্শবাহীরা আমরা একই ছাতার নিচে আছি এবং থাকবো। //মাসিক নবকন্ঠ।

Category: Uncategorized

About the Author ()

Leave a Reply