৩৪টি কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি
দেশের খবর: লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে ৮৯টি ভোটকেন্দ্রের ২৭টিতে কোনো ভোট পড়েনি। নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে বিষয়টি জানা যায়।
এদিকে বার্তা সংস্থা ইউএনবির খবরে বলা হয়, সাতক্ষীরা-২ আসনে দুটি, সিলেট-২ আসনে দুটি, ফেনী-২ আসনে দুটি ও রাজশাহী-৬ আসনের একটি কেন্দ্র্রে কোনো ভোট পড়েনি।
সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের সাতটি, পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের ছয়টি, কুলাঘাট ইউনিয়নের ছয়টি, মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের ছয়টি এবং হারাটি ইউনিয়নের দুটি কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোনো ভোট পড়েনি। এসব ইউনিয়ন বিএনপি ও জামায়াত-শিবির প্রভাবিত এলাকা হিসেবে বিবেচিত। এর মধ্যে বড়বাড়ী ইউনিয়ন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুর নিজের ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের আমবাড়ীতে তাঁর গ্রামের বাড়ি।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, ২৭টি কেন্দ্রে ভোট না পড়ায় বা কেউ ভোট দিতে না আসায় বিএনপির নির্বাচন বর্জন করার দাবির পক্ষে জনমত প্রতিফলিত হয়েছে।
অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের অব্যাহত হুমকির কারণে ওই কেন্দ্রগুলোতে ভোট পড়েনি। তিনি দাবি করেন, হুমকি-ধমকি ও মারধরের মতো কোনো ঘটনার আশঙ্কা না থাকলে, এসব কেন্দ্রেও বিপুল ভোট পড়ত ।
এদিকে আজ ভোট দিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমজাদ হোসেন এবং মোগলহাট ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা ওছমান গণি বিরোধীদের হাতে মারধরের শিকার হন। তাঁদের মধ্যে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ওছমান গণিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর নিরাপত্তার অভাবে পঞ্চগ্রামের আমজাদ হোসেন তাঁর বাড়িতেই চিকিত্সা নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
এ ছাড়া বড়বাড়ী ইউনিয়নের আমবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পোলিং কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, হারাটী দাখিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক, পুলিশের সদস্য নুরুল হক বিরোধীদের হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন। গোকুন্ডা ইউনিয়নের কুর্শামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটের আগের দিন রাতে সন্ত্রাসীদের হামলায় এসআই আকরামুল হক ও পুলিশের পরিদর্শক সিফাত উল্লাহ আহত হন। কয়েকটি কেন্দ্রের কিছু ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার ছিনতাই হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাটের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) নাজমুল হুদা বলেন, ‘সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ২৭টি কেন্দ্রে কোনো ভোট না পড়ার কথা আমিও শুনেছি।’ তিনি বলেন, তিন-চারজন পুলিশ কর্মকর্তা ও দুজন নির্বাচনী কর্মকর্তা ছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত আর কেউ হামলা বা আঘাতের শিকার হননি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
লালমনিরহাট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের পক্ষে আবু সালেহ মো. আবু সাঈদ, জাতীয় পার্টির গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং জাসদের মো. খোরশেদ আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে জাতীয় পার্টির গোলাম মোহাম্মদ কাদের তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রত্যাহারের আবেদনটি যথাযথভাবে করা হয়নি দাবি করেছেন। এ জন্য তাঁর প্রার্থিতা বহাল রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর