অভিবাসী আইন কঠোর করার প্রস্তাব অ্যাঙ্গেলা মারকেলের
ইউরো-সংবাদ – German: নববর্ষ উদযাপনের সময় জার্মানির কোলন শহরে নারীদের ওপর যৌন নিপীড়নের প্রতিক্রিয়ায় অভিবাসী আইন কঠোর করার প্রস্তাব দিয়েছেন চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল।
কোলেনে নারীদের নিপীড়নের ঘটনায় মারকেলের দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দলটির নেতাদের দাবি, অপরাধের সঙ্গে জড়িত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন করা হোক।
যৌন হামলার ঘটনা নিয়ে মারকেলের ওপর চাপ বাড়ছিল। আশ্রয়প্রার্থীরাই এসব হামলার পেছনে রয়েছে- এমন অভিযোগ উঠায় অ্যাঙ্গেলা মারকেলের পুরো অভিবাসন নীতিই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তার নিজের দল থেকেই অভিবাসন নীতি পর্যালোচনার দাবি উঠেছে।
এ ঘটনায় জার্মানির পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে বইছে ক্ষোভের ঝড়। জার্মানির অভিবাসনবিরোধী গোষ্ঠীগুলো চাইছে, অভিবাসীদের যাতে সহজেই ফেরত পাঠানো যায় সেরকম একটি আইন।
এই মারকেলই গত বছরে ১০ লাখেরও বেশি শরণার্থীকে জার্মানিতে স্বাগত জানিয়েছিলেন। এখন চাপের মুখে জার্মান চ্যান্সেলর ঘোষণা করেছেন, যারা অপরাধ করবে, সেইসব আশ্রয়প্রার্থীদের যাতে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায়, সেজন্য তারা আইন সংশোধন করবেন।
শনিবার দলের বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘যারা অপরাধ করছে, তারা আইন লঙ্ঘন করছে। কাজেই এর একটা পরিণাম অবশ্যই হতে হবে।’
২০১৬ সালকে স্বাগত জানানোর রাতে কোলন সিটি সেন্টার ও আশপাশের এলাকায় প্রচুর মানুষ জড়ো হয়। ভিড়ের সুযোগে কোলন স্টেশন ও সিটি সেন্টারের মাঝামাঝি স্থানে একদল তরুণ নারীদের যৌন নিপীড়ন করে। এতে অভিবাসীদের বিষয়ে জার্মানির ‘খোলা দরজা নীতি’ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তীব্র সমালোচনা হয়। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার দায়ে কলোনের পুলিশ প্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
জার্মানির চলতি আইন অনুযায়ী, অন্ততপক্ষে তিন বছর কারাবাসের শাস্তি হলে এবং নিজ দেশে তাদের জীবন নিয়ে কোনো শঙ্কার কারণ না থাকলে অভিবাসীদের জোর করে দেশে ফেরত পাঠানো যায়।
ধারণা করা হচ্ছে, মারকেলের রক্ষণশীল দলের মন্ত্রীরা এখন প্রস্তাব করবেন, অভিবাসীরা যেকোনো মেয়াদের জন্যই কারাবাসের শাস্তি পান না কেন, তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, ইউরো সংবাদ, ইউরো সংবাদ, ইউরো-সংবাদ - German, শীর্ষ সংবাদ