• ৯ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,23 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

স্বর্ণের দাম বেড়েছে ভরিতে ১ হাজার ২২৫ টাকা

| জানুয়ারী 12, 2016 | 0 Comments

imagesদেশের খবর: দর কমানোর এক মাসের মাথায় দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রধানত অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহৃত মূল্যবান এ ধাতুটির দাম প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২২৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)। রুপার দামও বেড়েছে ৫৮ টাকা। নতুন দাম আগামীকাল বুধবার থেকে সারাদেশে কার্যকর হবে। সর্বশেষ গত ৫ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছিল। বাজুস সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। গত বুধবার তা দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দরে পেঁৗছে। এর ফলে দেশের বাজারে মূল্য সংশোধন করা জরুরি হয়ে পড়ে। কেননা, তা না হলে দেশ থেকে সোনা পাচার হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। সমিতি জানিয়েছে, বাড়ার পর প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম হবে ৪২ হাজার ৫১৫ টাকা। ২১ ক্যারেটের দাম ৪০ হাজার ৪১৫ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের দাম ৩৩ হাজার ৭৬৭ টাকা দাঁড়াবে। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়বে ২২ হাজার ৬৮৬ টাকা ভরি। প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট (ক্যাডমিয়াম) রুপার দাম ৯৩৩ টাকা। দাম বাড়ার আগে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণ ৪১ হাজার ২৯০ টাকা, ২১ ক্যারেট ৩৯ হাজার ১৯১ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৩২ হাজার ৫৪২ টাকা, সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি ২১ হাজার ৪৬১ টাকা এবং ২১ ক্যারেট রুপার দাম ছিল ৮৭৪ টাকা। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছর প্রথম ২২ জানুয়ারি স্বর্ণের দাম বেড়েছিল। সে সময় ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি গ্রামের দাম হয়েছিল ৩ হাজার ৯৪৫ টাকা। সে হিসাবে ভরির দাম ছিল ৪৬ হাজার ১৪ টাকা। এরপর তিন দফায় ১১ মার্চ, ২৩ জুলাই ও ৬ আগস্ট স্বর্ণের দাম কমেছিল। এ সময় দাম কমেছে ভরিতে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ২৫৭ টাকা। এর পর ২৩ আগস্ট আবার স্বর্ণের দাম ভরিতে দেড় হাজার টাকা বেড়ে হয় ৪৩ হাজার ২৭৩ টাকা। ৯ সেপ্টেম্বর ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা কমে দাঁড়ায় ৪২ হাজার ২২৩ টাকা। ১৮ অক্টোবর দাম দেড় হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩ হাজার ৭৪০ টাকায়। সর্বশেষ গত ৯ নভেম্বর ও ৫ ডিসেম্বর দুই দফা ১ হাজার ২২৪ টাকা করে দাম কমানো হয়েছিল। আগামীকাল থেকে আবার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, খাঁটি স্বর্ণ অত্যন্ত ভঙ্গুর হওয়ায় তা দিয়ে অলঙ্কার তৈরি করা সম্ভব হয় না। এর সঙ্গে খাদ মিশিয়ে ভঙ্গুরতার হার কমিয়ে গয়না তৈরি করতে হয়। তাই স্বর্ণের মধ্যে খাদের মাত্রার উপর নির্ভর করে ক্যাটাগরি ও দাম নির্ধারণ করা হয়। এ হিসাবে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটে ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ, ২১ ক্যারেটে ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ১৮ ক্যারেটে ৭৫ শতাংশ বিশুদ্ধ স্বর্ণ থাকে। এর বাইরে পুরনো ও ব্যবহৃত স্বর্ণ গলিয়ে সনাতন পদ্ধতির অলঙ্কার তৈরি করা হয়। এ ক্ষেত্রে ঠিক কত শতাংশ বিশুদ্ধ স্বর্ণ পাওয়া যাবে তার নিশ্চয়তা নেই। তবে ব্যবসায়ীরা জানান, এতে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ স্বর্ণ থাকে।

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর

About the Author ()

Leave a Reply