• ৭ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,21 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

কথা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাষান্তর করছে মেগাফোন

| জানুয়ারী 16, 2016 | 0 Comments

image_1430_218877তথ্যপ্রযুক্তি: পৃথিবীতে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বৈকল্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো ভাষার বৈচিত্র্য। শুধু ভাষার পরিবর্তনের কারণে একই ধর্ম বা সম্প্রদায়ের মানুষও পরস্পরের কাছে থেকে যায় অনেক অজানা। তবে টিভি সিরিজ ‘স্টার ট্রেক’-এর ইউনিভার্সাল ট্রান্সলেটর বা শিশুতোষ কার্টুন ডোরেমনের ‘ট্রান্সলেশন টুলস’-এর মতো রিয়েল টাইম ভাষান্তরযন্ত্রের দেখা মিলেছে এই পৃথিবীতেই। জাপানভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ‘প্যানাসনিক’ মেগাফোন আকৃতির সম্প্রতি এমন একটি ভাষান্তরযন্ত্র আবিষ্কার করেছে।

এই আবিষ্কারকে ‘ম্যাজিক’ বা জাদু বলেই বর্ণনা করা হচ্ছে। এর এক প্রান্তের মাইক্রোফোনে বলা জাপানি ভাষা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপর প্রান্তের স্পিকারে ভাষান্তর হয়ে উচ্চারিত হচ্ছে। এই যন্ত্রের সাহায্যে ইংরেজিসহ তিনটি ভিন্ন ভাষায় রিয়েল টাইম অনুবাদ সম্ভব। যন্ত্রটির নাম দেয়া হয়েছে ‘মেগাফোনইয়াকু’। মেগাফোনের সঙ্গে জাপানি ভাষায় ‘ভাষান্তর’ যুক্ত করেই এমন নামকরণ।

 জাপানের নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এখন পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই ভাষান্তরযন্ত্রটি। মূলত বিদেশি পর্যটকদের আরো অধিক কার্যকর উপায়ে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য যন্ত্রটি ব্যবহার হচ্ছে। এটি বক্তার জাপানি ভাষায় দেয়া বক্তব্য স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারের সাহায্যে ইংরেজি, চায়নিজ কিংবা কোরিয়ান ভাষায় অনুবাদ করে দিচ্ছে।

জাপানি সংবাদপত্র ‘মাইনিচি’র দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের বন্যার সময় বিমানবন্দরে পর্যটকদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। এ কারণেই তারা মেগাফোনইয়াকু ব্যবহার করতে আগ্রহী হন। বর্তমানে তারা পরীক্ষামূলকভাবে এটি ব্যবহার করছেন। বিমানবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, তারা যখন মেগাফোনইয়াকুর মাইক্রোফোনে জাপানি ভাষায় বলেন, ‘আর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনাদের বাস পেঁৗছতে যাচ্ছে’, তখন যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তা ইংরেজিতে ভাষান্তর করে শোনায়।

ব্যবহারকারীরা যন্ত্রের ওপরে বসানো টাচস্ক্রিনের সাহায্যে উপযুক্ত ভাষা নির্বাচন করতে পারেন। এটি প্যানাসনিকের সবচেয়ে নতুন পণ্যগুলোর একটি। প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাস, ভ্রমণের সময় মানুষের ভাষাগত সমস্যা সমাধানে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। চলতি বছরের শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি হাতের মুঠোয় বহনযোগ্য একটি ভাষান্তরযন্ত্র প্রদর্শন করেছিল। এটি গলায় ঝুলিয়েও ব্যবহারযোগ্য। যন্ত্রটি ১০টি ভাষা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুবাদে সক্ষম। নিখুঁত অনুবাদ নিশ্চিত করার জন্য যন্ত্রগুলোকে ক্লাউড নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আগামী ২০২০ সালে টোকিওতে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিক আসরে পর্যটকদের টার্গেট করে এর বাজারজাত করা হচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন জাপানি সংকেত ইংরেজিতে অনুবাদে সক্ষম যন্ত্রও বাজারে এনেছে প্যানাসনিক। কয়েক বছর আগেও মানুষ অনুবাদের ক্ষেত্রে ডিকশনারিকেই প্রাথমিক উৎস হিসেবে ব্যবহার করত। তবে সম্প্রতি ভাষান্তরের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি খাতে বেশ অগ্রগতি এসেছে।

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, তথ্যপ্রযুক্তি

About the Author ()

Leave a Reply