আটলান্টিক সিটিতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলেন বাংলাদেশী তানভীর
বিশ্বজুড়ে বাংলা: আমেরিকার আসার স্বপ্ন পূরণ হবার আগেও সব কিছু ফিকে হয়ে গেল। স্বপ্ন পূরণের আগেই সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলে না ফেরার দেশে। নিউজার্সির আটলান্টিক সিটির এবসিকন এরিয়াতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বাংলাদেশী তানভীর আহমেদ (ইন্নালিল্লাহে…… রাজেউন।) মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো মাত্র ২৪ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, শিশু সন্তান, বাব- মাসহ আত্মীয়- স্বজন রেখে গেছেন।
জানা গেছে, ৫ মাস আগে স্বপ্নের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো তানভির আহমেদের গ্রামের বাড়ি ফেনি জেলায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজধানী ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা ছিলেন। প্রবাসী স্ত্রী মুশতারী বেগমের আবেদনের প্রেক্ষিতে গেল বছরের ২২ আগস্ট ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসেন তানভির। উঠেন নিউজার্সির আটলান্টিক সিটিতে শ্বশুরের বাসায়। সেখানইে অবস্থান করতেন স্ত্রী সন্তান নিয়ে। নিহত তানভির ও তার স্ত্রী মুশতারীর ঘরে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তানভির আহমেদ এর ঘর আলোকিত করে ‘মুশ্ফিদা’ নামের শিশু কন্যার জন্ম। এবসোকন পুলিশ জানায়, গত ১১ জানুয়ারি সোমবার স্থানীয় সময় মধ্যরাত ১১ টা ৪৫ মিনিট নিউজার্সির ৩০ আটলান্টিক সিটির হাইওয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এসময় একটি ব্লু প্রাইভেট কার এসে তাকে ধাক্কা মারেন। কারের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান তানভির। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তানভীরের স্ত্রীর খালাতো ভাই প্রবাসী সালাহউদ্দিন মোহাম্মদ রাসেল।
নিউজার্সির আটলান্টিক সিটির ঘটনাস্থলটি সিলগালা করে রেখেছে পুলিশ। গাড়ির চালকের নাম ‘নিকোলাস মইরাস’। ধারণা করা হচ্ছিল চালক তখন মদ্যপ ছিলেন। ৬৫ বছর বয়স্ক ওই চালককে খুঁজছে পুলিশ। সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে তানভিরের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো পুলিশকে আনুষ্ঠানিক কোন অভিযোগ করা হয়নি। তবুও তারা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও বিভিন্ন আলামত দেখে গাড়ি চালকের অবস্থান সনাক্ত করতে পেরেছে। এদিকে, অকালে স্বামীকে হারিয়ে শোকে হতবিহ্বল তানভিরের স্ত্রী মুশতারী বেগম বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। তাদের একমাত্র সন্তান ‘মুশ্ফিদা’ও নিভু নিভু চোখে তার বাবাকে খুঁজছেন। নিহত তানভির আহমেদ তার পিতারও একমাত্র সন্তান ছিলেন।
আগামী ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের বাংলাদেশী অধ্যুষিত ব্রুকলীনের দারুল জান্নাহ মসিজদে বাদ জোহর মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তানভিরের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে জন্মভূমি বাংলাদেশের ফেনিতে। এমনটি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
Category: Scroll_Head_Line, বিশ্বজুড়ে বাংলা