উদ্বাস্তু সংকট নিয়ে চাপের মুখে ম্যার্কেল
ইউরো সংবাদ: ‘‘হাসিমুখে” উদ্বাস্তুদের স্বাগত জানানোর কথা বলেছিলেন যে চ্যান্সেলর, বলেছিলেন ‘‘আমরা পারব”, তিনি আজ নিজের দল, মিত্রদল ও জোট সহযোগীর তরফ থেকে সমালোচনার মুখে পড়েও পিছপা নন৷
‘‘হাসিমুখে” উদ্বাস্তুদের স্বাগত জানানোর কথা বলেছিলেন যে চ্যান্সেলর, বলেছিলেন ‘‘আমরা পারব”, তিনি আজ নিজের দল, মিত্রদল ও জোট সহযোগীর তরফ থেকে সমালোচনার মুখে পড়েও পিছপা নন৷
এ সপ্তাহেই ম্যার্কেলের নিজের দল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রীদের দলীয় সম্মেলন৷ ম্যার্কেলের মুখপাত্র স্টেফেন সাইব্যার্ট সোমবার জানান যে, ম্যার্কেল তাঁর ভাষণে অভিবাসীদের সংখ্যা কমানোর জন্য ‘‘জাতীয় ও ইউরোপীয় কর্তব্য সম্পর্কে তাঁর স্পষ্ট কর্মসূচির পুনরাবৃত্তি করবেন”৷
উদ্বাস্তু বা শরণার্থী সমস্যার ক্ষেত্রে মঙ্গলবার জার্মান পত্র-পত্রিকা যার মন্তব্য নিয়ে ব্যস্ত, তিনি হলেন ম্যার্কেল মন্ত্রীসভায় পরিবহণ মন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডোব্রিন্ট, সিডিইউ দলের বাভেরীয় অংশীদার সিএসইউ দলের রাজনীতিক৷
ডোব্রিন্ট মিউনিখের একটি পত্রিকাকে বলেছেন, ‘‘শেষমেষ যে সীমান্ত বন্ধ করতে হতে পারে, সেই সম্ভাবনার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে”৷ এর আগে, সপ্তাহান্তে সিএসইউ প্রধান হর্স্ট সেহোফার ‘ডেয়ার স্পিগেল’ সংবাদ-সাপ্তাহিককে বলেছিলেন যে, তিনি আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে সীমান্তে ‘‘সুশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি” দাবি করে একটি লিখিত আবেদন পাঠাবেন৷ সেই সঙ্গে যদি যোগ করা যায় যে, গোঁড়া রক্ষণশীল সাবেক সিএসইউ প্রধান এডমুন্ড স্টয়বার ম্যার্কেলকে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে তাঁর অভিবাসন নীতি পরিবর্তন করার, নয়ত জোটের অভ্যন্তরে প্রকাশ্য বিদ্রোহের সম্মুখীন হওয়ার হুমকি দিয়েছেন – তাহলে বোঝা যায় যে, ম্যার্কেল কোণঠাসা না হলেও, বিব্রত৷
এ বছর জার্মানির তিনটি রাজ্যে প্রাদেশিক নির্বাচন, যাদের মধ্যে প্রথমটি এই মার্চ মাসেই৷ এ সব নির্বাচনে যদি দেখা যায় যে, খ্রিষ্টীয় ইউনিয়ন দলগুলিকে ভালোরকম ভোট খোয়াতে হয়েছে – তাহলে হয়ত স্টয়বারের হুমকি ভবিষ্যদ্বাণী হিসেবে কাজ করবে৷ ইতিমধ্যে ‘জার্মানি ক্ষুব্ধ; জার্মান মিডিয়ার একটা বড় অংশ ক্ষুব্ধ; দেশে দশ লাখের বেশি উদ্বাস্তু, ও তাদের নিয়ে ক্রমেই আরো বেশি সমস্যা’,৷
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, ইউরো সংবাদ, ইউরো সংবাদ, ইউরো-সংবাদ - German, শীর্ষ সংবাদ