শরণার্থীদের হাতে ধর্ষিত হওয়ার গল্প ফেঁদেছিলাম: জার্মান কিশোরী
ইউরো সংবাদ: মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা থেকে যাওয়া শরণার্থীদের হাতে গণধর্ষিত হওয়ার অভিযোগকারী এক জার্মান কিশোরী স্বীকার করেছে, তার ওই অভিযোগ মিথ্যা ছিল। জার্মানির পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলে একটি অপরাধ করার পর বাবা-মায়ের কাছ থেকে বকা খাওয়ার ভয়ে ধর্ষিত হওয়ার গল্প সাজিয়েছিল ১৩ বছর বয়সি লিসা।
গত ১১ জানুয়ারি জার্মানির রাজধানী বার্লিনের একটি থানায় রুশ বংশোদ্ভূত জার্মান কিশোরী লিসার অভিভাবকরা তার হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর প্রায় ৩০ ঘন্টা পর নিজের মুখে সামান্য আঘাত নিয়ে বাড়ি ফেরে ওই কিশোরী। সে তার বাবা-মাকে জানায়, দেখতে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার নাগরিকদের মতো একদল লোক তাকে ধর্ষণ করেছে।
ঘটনাটি অতি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে এবং রুশ বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিকদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তারা ওই কিশোরীকে শরণার্থীদের হামলার হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থতার জন্য জার্মান পুলিশকে দায়ী করে বিক্ষোভ দেখায়।
কিন্তু রোববার জার্মানির সরকারি কৌঁসুলি মার্টিন স্টেল্টনার জানান, গণধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ করার তিনদিন পর পুলিশ লিসাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেখানে সে অকপটে স্বীকার করে, ধর্ষণের অভিযোগটি সত্য ছিল না।
তিনি আরো জানান, স্কুলের একটি ঘটনা অভিভাবকরা জেনে ফেললে রেগে যাবেন-এই আশঙ্কায় লিসা তার এক বন্ধুর বাড়িতে রাত কাটায়। পরে নিজের বাড়িতে ফিরে সে জার্মানিতে আগে থেকেই তৈরি শরণার্থী-বিরোধী মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে সব দোষ বিদেশিদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, ইউরো সংবাদ, ইউরো সংবাদ, ইউরো-সংবাদ - German, শীর্ষ সংবাদ