নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর। “একটা কলঙ্কদাগ দূর হলো” : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের খবর: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
ফাঁসি কার্যকরের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজি প্রিজন ইকবাল হাসান, জেলা প্রশাসক মো. সালাহ উদ্দিন, সিভিল সার্জন আবদুল মালেক মৃধা, পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মফিজ উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির, জেলার নেছার আলম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া মঞ্চের পাশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একজন প্রতিনিধি ও র্যাবের একজন প্রতিনিধি। ছিলেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ও দুজন ডেপুটি জেলার।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে জামায়াত নেতা নিজামীকে গোসল করানো হয়। পরে কেন্দ্রীয় কারা মসজিদের ইমাম হাফেজ মনির হোসেন মতিউর রহমান নিজামীকে তওবা পড়ান। এর আগে নিজামীর পরিবারের ২৬ জন সদস্য তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় কারাগারে শেষবারের মতো সাক্ষাৎ করেন।
একটা কলঙ্কদাগ দূর হলো : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় মাথা থেকে একটি কলঙ্ক দাগ মুছে গেল বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সামনে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা জাতির প্রত্যাশা ছিল দীর্ঘ দিনের। তারপর আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার প্রত্যাশা ছিল আরো দীর্ঘ দিনের। আমি মনে করি, আজকে আমাদের আমাদের মাথা থেকে একটা কালো দাগ মুছে গেল। এই দিনটির অপেক্ষায় আমরা ছিলাম। যে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা দেখে যেতে পারছি, যারা যুদ্ধাপরাধী যারা মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ড করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে রায়গুলো কার্যকর হচ্ছে।
গত ৫ মে আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।
গত সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে মাওলানা নিজামীর রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। বিকেলে আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তী ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার মেহেদি হাসান রায়ের কপি নিয়ম অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাত ৭টার দিকে ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার কেশব রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ কর্মকর্তা রায়ের লিখিত কপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে দেন। লাল ফাইলে মোড়ানো রায়টি গ্রহণ করেন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির। রাতেই মাওলানা নিজামীকে রায় পড়ে শোনানো হয়। আগের দিন রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাওলানা নিজামীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর, ব্রেকিং নিউজ, শীর্ষ সংবাদ