নিউইয়র্কে অনুষ্টিত হলো ‘গণজাগরণের কবিতা’
নিউইয়র্ক: দেশের গণজাগরণের সাথে একাত্মতা জানালেন অভিবাসীরা। তারা বললেন, কবিতা সমাজ বদলের হাতিয়ার। কবিতাই পারে বদলে দিতে রাষ্ট্রের জীর্ণ চেহারা। কবিতা জাগিয়ে তোলে আত্মার নান্দনিক শক্তি। এই মূলমন্ত্রে নিউইয়র্কে পঠিত হলো ‘গণজাগরণের কবিতা’। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের বই বিপণি ও প্রকাশনা সংস্থা ‘মুক্তধারা’য় অনুষ্টিত হয় এই আয়োজন। ‘ মুক্তধারা’য় দশদিন ব্যাপি বইমেলা চলছে। এর সাথেই যুক্তরাষ্ট্রের কবি-আবৃত্তিকার-সংস্কৃতিকর্মীরা অংশ নেন এই কাব্যপাঠের অনুষ্টানে। অনুষ্টানটি উৎসর্গ করা হয় একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্মমভাবে শহীদ কবি মেহেরুন নিসা-কে।
কবি ফকির ইলিয়াস তার সূচনা বক্তব্যে ‘ গণজাগরণের কবিতা’র প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় পতাকা আজ আক্রান্ত। আমাদের চেতনার প্রতীক শহীদ মিনার আজ হায়েনাদের হাতে বিপর্যস্ত। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে গণজাগরণ শুরু হয়েছে, তার সাথে একাত্মতা প্রকাশের জন্যই আজকের এই আয়োজন।
কবিতা পাঠে অংশ নেন- রওশন আরা লিপি, কবি মোখলেসুর রহমান, প্রতীপ দাশগুপ্ত, স্বপন বসু, এজাজ আলম, মনজুর কাদের, গোপন সাহা, কবি তমিজ উদদীন লোদী, কবি শামস আল মমীন, কবি ফকির ইলিয়াস, বিশিষ্ট আবৃত্তিকার সেমন্তী ওয়াহেদ ও সুপরিচিত নাট্যজন- আবৃত্তিকার লুৎফুন নাহার লতা।
যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে উঠা এই প্রজন্মের প্রতিশ্রুতিশীল আবৃত্তিকার সেমন্তী ওয়াহেদ বিভিন্ন ব্লগ , ফেসবুকে প্রকাশিত পংক্তিমালা পড়ে শোনান। এ পর্যায়ে তিনি তানিম আহসানের ব্লগ থেকে, রাজীব লিখিত ও পারমিতা মুমু’র কন্ঠে ধারণকৃত একটি গান, ওয়াহিদা মোসাররাত অনিতার ইমেইল, মাহবুব রশীদের ফেসবুক থেকে ও সেমন্তীর নিজের লিখিত ইমেইল থেকে পড়ে শোনান। যা হলভর্তি দর্শক-শ্রোতার কাছে খুবই নন্দিত হয়।
‘গণজাগরণের কথামালা’ পর্বে অংশ নেন- তরুণ প্রজন্মের তানভীর রাব্বানী, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক নীরা কাদরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সমাজ বিশ্লেষক নিনি ওয়াহেদ ও খ্যাতিমান সংবাদিক ‘সাপ্তাহিক বাঙালী’ সম্পাদক কৌশিক আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাংস্কৃতিক কর্মী সিসিলিয়া আরজু, রুমা আলম, অরুণ ঘোষ, শিল্পী শহীদ উদ্দিন, আওকাত হোসেন খান প্রমুখ।
নীরা কাদরী তার বক্তব্যে বলেন, আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কৌশিক আহমেদ বলেন, দেশে যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে তা প্রজন্মকে শাণিত করছে। আমরাও গৌরব বোধ করছি।এই ধারা অব্যাহত রেখে এগিয়ে যেতে হবে। এমন আয়োজনে মুক্তধারা’র কর্ণধার বিশ্বজিত সাহাকে ধন্যবাদ জানান অভিবাসী কবি সাহিত্যিকরা।
সবশেষে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে দুঘন্টাব্যাপী অনুষ্টানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
Category: Uncategorized, বিশ্বজুড়ে বাংলা