লসএঞ্জেলেসে দুর্বৃত্তের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক মিজান নিহত
নিউইয়র্ক থেকে এনা: লসএঞ্জেলেসে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়েছে। নিহত যুবকের নাম মিজানুর রহমান (৩৩)। পুলিশ জানিয়েছে, লসএঞ্জেলেসের সময় অনুযায়ী গত ১৭ জানুয়ারি অন্যান্য রাতের মত লসএঞ্জেলেসের ভারমন্ট এন্ড লসফিলিস সড়কে শেরভন কোম্পানীর একটি গ্যাস্ট স্টেশনে রাতের শিফটের কাজ করছিলেন মিজানুর রহমান। ভোর রাত প্রায় ৪টার দিকে ক্রেতা সেজে একজন ডাকাত ঐ গ্যাস স্টেশনে ঢুকে কোন কথা না বলেই মিজানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে এবং ক্যাশ থেকে সমস্ত অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার সাথে সাথে কে বা কারা পুলিশ করলে মুহূর্তের মধ্যেই পুলিশ এবং এ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে আসে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় আহত মিজানুর রহমানকে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তাররা পরীক্ষা- নীরিক্ষা করে মিজানুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, তারা হত্যাকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মিজানুর রহমানের হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুরো বাংলাদেশী কম্যুনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। কম্যুনিটি নেতাদের মধ্যে অনেকেই মিজানকে যেখানে হত্যা করা হয়েছে সেখানে এবং তার বাসায় ছুটে যান। কম্যুনিটি নেতা মোমিনুল হক বাচ্চু এনাকে জানান, ইতিমধ্যেই তারা নিহত মিজানের বাবা আব্দুর রফিক এবং মা সুলতানা বেগমের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করেছেন। এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লাশের ময়না তদন্ত শেষে তার ফেরত দেয়া হবে। তদন্ত শেষ হতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। লাশ পাওয়ার পরই তা তার বাবা- মার কাছে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
বাবা মায়ের এক মাত্র পুত্র সন্তান মিজানুর রহমান ২০১৪ সালে ২৯ জুন স্টুডেন্ট ভিসায় স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় এসেছিলেন। তিনি চটগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ পাশ করেছিলেন। তিনি এই গ্যাস স্টেশনে ক্যাশিয়ার হিসাবে কাজ করতেন। উল্লেখ্য, মিজানুর রহমানের দেশের বাড়ি রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের চৌধুরী পাড়ায়। গত বছর লসএঞ্জেলেসে আরো দুই জন বাংলাদেশী দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন।
Category: 1stpage, বিশ্বজুড়ে বাংলা