ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র প্রার্থী: শেখ হাসিনার টেবিলে চার নাম
দেশের খবর: মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচন নিয়ে সতর্কভাবে পা ফেলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ উপনির্বাচনের ফলাফল প্রভাব ফেলবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ওপর। সে কারণে এ উপনির্বাচনে জয়ের বিকল্প দেখছে না ক্ষমতাসীনরা। তাই সতর্কতা হিসেবে প্রার্থী বাছাইকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ক্লিন ইমেজের কর্মঠ, স্বপ্নচারী ও সাহসী আনিসুল হকের মতোই কাউকে প্রার্থী করতে চায় দলটি। এ জন্য একটি সংক্ষিপ্ত তালিকাও করা হয়েছে। ঢাকার এ উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টেবিলে চার নাম। শীর্ষ আলোচনায় থাকা এসব প্রার্থী হলেন— বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, সাবেক এমপি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ডা. এইচ বি এম ইকবাল, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্স সফর শেষে দেশে ফিরলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে, ওই চার প্রার্থী ছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে চান ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র সাদেক খান, অভিনেত্রী সারাহ্ বেগম কবরী, মিরপুরের এমপি কামাল আহমেদ মজুমদারসহ এক ডজন প্রার্থী। ঢাকার আরেক এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীর নাম আলোচনায় থাকলেও তিনি দক্ষিণের ভোটার।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে নির্বাচনের বিষয়ে আজকের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করেছে বলে জানা গেছে। এ জন্য চারজনের খসড়া তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ তালিকার বাইরেও যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী তারা মাঠ চষে বেড়ানোর পাশাপাশি দলীয় হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের আগমুহূর্তের এই উপনির্বাচন সরকারের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীনরা। তবে আওয়ামী লীগ নেতাদের আত্মবিশ্বাস, প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক দৃশ্যমান সফলতার যে চিহ্ন রেখে গেছেন, এতে ভোটাররা আওয়ামী লীগকেই বেছে নেবেন। ঢাকাকে দুই ভাগ করার পর গত নির্বাচনে ক্লিন ইমেজের সফল ব্যবসায়ী আনিসুল হককে উত্তর সিটি করপোরেশনে মনোনয়ন দিয়ে বেশ ফুরফুরেই ছিল আওয়ামী লীগ। সেবার নির্বাচন নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হলেও জয় হয়েছে দলটিরই। কিন্তু আনিসুল হকের এই ইমেজ কতটা কাজে লাগাতে পারবে তা নিয়েই আওয়ামী শিবিরে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম মেয়র প্রার্থী প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর এই বিষয়ে আমি মন্তব্য করব। তার আগে এ নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। যদি নেত্রী আমাকে মেয়র পদে উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেন তাহলে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হব।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, যেভাবে কাজ করতে বলবেন সেটাই চূড়ান্ত।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর, শীর্ষ সংবাদ