ফ্রান্সে ফ্লেশ শহরে ছুরির আঘাতে এক বাংলাদেশী নারী খুন,স্বামী ও অন্য এক পুরুষ আহত।
ফ্রান্সের “পেই দো লা লোয়া” বিভাগের “সার্ত” জেলার “লা ফ্লেশ” পৌরসভায় ৩ আগস্ট মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিজ বাসায় স্বামী ও ঐ দম্পতির একজন পুরুষ বন্ধুর সামনে ছুরিকাঘাতে ঐ বাংলাদেশী নারী নিহত হন বলে জানা যায়। স্বামী এবং ঐ বন্ধুটিও এসময় আহত হন। তারা তিন জনই বাংলাদেশী নাগরিক। তবে ঐ মহিলা কার হাতে নিহত হয়েছেন এটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঘটনার দিন রাতে হঠাৎ এক প্রতিবেশী বাচ্চাদের কান্নাজড়িত ভয়ার্ত কন্ঠে মা, মা, মা, মা বলে চিৎকার শুনতে পেয়ে ঐ দম্পতির দরজায় কড়া নাড়ে, চার বার কড়া নাড়ার পর ঐ নারীর স্বামী কাটা ছেঁড়া ও হাতা ভেজা পোশাকে তিন বাচ্ছা সহ বের হয়ে ঐ প্রতিবেশীর ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং বলে দরজা খুলবেন না। এই সময় বাচ্ছা গুলো আতঙ্কে কাঁদতে থাকে,ঐ প্রতিবেশী বাচ্চাদের কান্না থামানোর চেষ্টা করেন এবং কি হয়েছে জানতে চাইলে, মেয়ে বাচ্চাটি ঐ প্রতিবেশীকে বলে, “আমার আঙ্কেল আমার আম্মুকে গলাকেটে হত্যা করেছে।” ঘটনার ভয়াবহতা টের পেয়ে ঐ প্রতিবেশী পুলিশকে কল করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করেন। এসময় ঘরের মেঝেতে ব্যপক রক্ত এবং সিঁড়িতে রক্তের ছোপ দেখা যায়।
একটি অসমর্থিত সূত্র থেকে জানা যায়, ঐ নারীর এবং তাদের পারিবারিক পুরুষ বন্ধুটির পূর্ব পরকিয়ার জেরে এ সহিংসতা হতে পারে। তবে তা এখনও শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ হত্যায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ এটিকে সহিংস আক্রমণে হত্যা বললেও হত্যার কারণ জানতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় প্রসিকিউটর দেলফিন দোয়াই জানান, আঘাতের চিহ্ন গুলো ছুরির, তদন্তের জন্য মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। হত্যার মটিভ জানার জন্য একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সার্ত এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত জন্দার্মেরীকে হত্যা এবং এর কারণ উদঘাটনে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সহিংস হত্যা কান্ডের সময় ঐ দম্পতির ২,৫ ও ৮ বছেরের তিনটি সন্তান ঘটনাস্থল তাদের বাসায় উপস্থিত ছিলো। মেয়ে দুটির বয়স ৮ ও ২ বছর এবং ছেলের বয়স ৫ বছর। পরে তাদের প্বার্শবর্তী প্রতিবেশীর ঘরে তাদেরকে প্রাথমিক ভাবে রাখা হয় এবং সরকারী দায়িত্বশীল সংস্থা তাদের দায়িত্বভার গ্রহণ করে।/ তথ্য সূত্রঃ লো পেরিজিয়ান, ফ্রান্স ব্লু।
Category: 1stpage, Community France, Scroll_Head_Line, প্রচ্ছদ