ফ্রান্সের ২০২২ সালের জাতীয় নির্বাচনের জন্য এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর প্রার্থীতা ঘোষণা।
ইউরো সংবাদ, ফ্রান্স ঃ
আসছে এপ্রিলে ফ্রান্সের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের প্রচারণার উত্তাপে পানি ঢেলে বেকায়দায় ফেলে দিলেন পুতিন। এই নির্বাচনে পূণরায় প্রার্থীতার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিলো বর্তমান রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি জাতীর উদ্দেশ্যে লিখা এক অফিসিয়ালি চিঠির মাধ্যমে ২০২২ সালের জাতীয় নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার প্রার্থীতার ঘোষণা দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি বলেন আমরা আমাদের সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। তবে দেশের জন্য আমার একটি উচ্চাকাঙ্খা রয়েছে।
তিনি ফরাসীদের উদ্দেশ্যে লিখা ঐ চিঠিতে আরও বলেন, মহামারী, সন্ত্রাসবাদ, অভ্যন্তরিন দাঙ্গা এবং ইউরোপের যুদ্ধের মধ্যেও আমরা হাল চেড়ে না দিয়ে কাজ করে গেছি। আইনের সংস্কারের মাধ্যমে আমাদের উৎপাদন শিল্প প্রথমবারের মতো চাকরি তৈরী করেছে এবং বেকারত্ব পনের বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে।
এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, আমাদের আরও বেশী কাজ করতে হবে। আমি আপনাদের সাথে নিয়ে শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে একটি অনন্য ফরাসি ও ইউরোপিয়ান জাতি গঠনের জন্য আমার প্রার্থীতা ঘোষণা করছি।
তিনি বলেন, তাই আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং শ্রম ও উৎপাদনের উপর কর কমাতে হবে। আগামীতে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের উপর প্রভাব সৃষ্টিকারী প্রযুক্তির কাছে নিজেদের আরোপিত না করে, উদ্ভাবন এবং গবেষণায় বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে যাতে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিতে ফ্রান্স শীর্ষস্থানে অবস্থান করে।
রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, আমি আমাদের বিদ্যালয়গুলো এবং শিক্ষকদের অগ্রাধিকার দিতে চাই, যেনো তারা আরও স্বাধীন, সম্মানিত ও ভালো বেতনের অধিকারী হন। এবং ফরাসি সমাজিক মডেল সংরক্ষণ ও আরো উন্নত করার সংকল্প ব্যক্ত করেন।
ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটের কারণে আমি আমার পছন্দ মতো স্বাভাবিক প্রচারণা চালাতে পারবো না। ইউক্রেনর সংকট রাষ্ট্রপতির প্রচারাভিযানকে গ্রাস করেছে। তবে স্বচ্ছতা এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমি আমার নির্বাচনী ইশতেহারটি ব্যাখ্যা করবো এবং আপনাদের প্রত্যেককে সাথে নিয়ে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
ইউক্রেন- রাশিয়া ইস্যু ফ্রান্সের জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। তাই এ ইস্যুতে ম্যাক্রোকে অনেক সাবধানে প্রতিটি স্টেটমেন্ট দিতে হচ্ছে। তিনি পুতিন এবং জলনস্কির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে পরিস্থিতি সমঝোতার দিকে নিতে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, ইউরো-সংবাদ - France, প্রচ্ছদ, শীর্ষ সংবাদ