ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টশিয়াল নির্বাচনের পূর্বে এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বিশাল নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে
এমডি নূরঃ ২ এপ্রিল শনিবার, প্যারিসের নিকটবর্তী লা ডিফেন্স এরিনা তে, প্রথম রাউন্ডের নির্বাচনের আগে এটি ছিল তার প্রথম নির্বাচনী প্রচারনামূলক সভা. প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তিনি বক্তব্য প্রদান করেন। প্রায় ত্রিশ হাজারেরও অধিক মানুষ উক্ত জনসভায় উপস্থিত ছিল।একজন সাধারণ সমর্থক হিসেবে আমিও ছিলাম। ফ্রান্সের মূলধারার রাজীনীতি সম্পর্কে জানা এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আমি অংশ নিয়েছিলাম। ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট কে সরাসরি দেখে তার বক্তব্য শুনে ভালো লেগেছে।
নির্বাচনী সভা টি অনেক টা আমেরিকান স্টাইলের। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এমানুয়েল ম্যাক্রন সমর্থকদের মাঝে একা মঞ্চে বক্তব্য রাখেন। তার দলের অন্য কোন নেতা বা ব্যক্তি তার আগে বা পরে বক্তৃতা করেননি, তবে বেশ কয়েকটি সঙ্গীত পরিবেশন করে সবাইকে মাতিয়ে রাখা হয় ,স্পটলাইটগুলি লেজার দিয়ে পুরা মিলনায়ণ টিকে আলোকিত করে রেখেছিল।
প্রেসিডেন্ট প্রার্থী তার বক্তব্যে গত মেয়াদে কি কি করেছেন সেটি তুলে ধরেন এবং আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি কি কি করবেন সেই পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
হাউজিং ট্যাক্স বাতিল করন, জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানো , আবাসন সংস্কার করুন, শিক্ষানবিশের সংখ্যা দ্বিগুণ করুন… “এটি আমাদের প্রকল্প ছিল এবং এটি আমরা ইতিমধ্যে করেছি।
পুনঃনির্বাচিত হলে তিনি যে কাজ গুলি করবেন বলেছেন তার মধ্যে কিছু উলেখযোগ্য অংশ তুলে ধরছি , এমানুয়েল ম্যাক্রন “বড় ধরণের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে চান। তিনি ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন যে ৮,৫০০অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বা কোর্ট অফিসার নিয়োগ দিবেন এই গ্রীষ্মের মধ্যে তা কার্যকর করতে চান। চাকুরীজীবিদের ৬০০০ ইউরো পর্যন্ত চার্জ বা ট্যাক্স ছাড়া বোনাস দিবেন।
শিক্ষা ক্ষেত্রে তিনি নতুন একটা পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন “আমরা মৌলিক জ্ঞান শিক্ষা জোরদার করবো ,ফরাসি, গণিত, স্নাতক পর্যন্ত” থাকবে।
প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো আরো বলেন, “আমি চাই শিক্ষক এবং পিতামাতাদের তাদের সন্তানদের সফল হওয়ার উপায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হোক। সিস্টেম আমাদের বলবে যে এটা অসম্ভব। কিন্তু যেহেতু এটি অসম্ভব, আমরা এটি করব.
ম্যাক্রন বলেন আমাদের আরও কাজ করতে হবে”
“প্রোডাক্টিভ রাষ্ট্র না থাকলে কোনো কল্যাণ রাষ্ট্র হয় না। আপনাদের কে আরও বেশি কাজ করতে হবে,
অবসরে যাবার বয়স বয়স ৬৫ তে বহালের পক্ষে তিনি মতামত দেন।
তিনি আরো বলেন যারা আপনাকে ৬০ বা ৬২ বছর বয়সে অবসর নিতে বলে তাদের বিশ্বাস করবেন কারণ এটি সত্য নয়।
কাজ, মানবতাবাদ, অগ্রগতি, এটিই আমাদের মূলমন্ত্র, এসব নীতির কারণে আমরা ফরাসি হিসেবে গর্বিত।
অভিবাসন সম্পর্কে কালের ভাষণে তিনি তেমন কিছু বলেন নাই। আগামী ১০ এপ্রিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টশিয়াল নির্বাচনের প্রথম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশি অরিজিন সকল ফরাসি নাগরিকগণ ভোট দিবেন। ভোট আপনার নাগরিক অধিকার আপনি অবশ্যই ভোট দিবেন, যাকে খুশী তাকে দিবেন।
Category: 1stpage, ইউরো সংবাদ, ইউরো সংবাদ, ইউরো-সংবাদ - France