• ৭ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,21 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ এবং সাবেক ফুটবলার নাসির মাহমুদ আর নেই।( ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)

| এপ্রিল 19, 2024 | 0 Comments

ফেনী ডেস্কঃ ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানার পৌরসভার ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের উদরাজপুর গ্রামের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ এবং সাবেক ফুটবলার নাসির মাহমুদ বৃহস্পতিবার দিবাগত-রাত ১২টা ৩০মিনিটে( ১৯ এপ্রিল শুক্রবার) নিজ বাড়িতে হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

তাঁর এ আকস্মিক মৃত্যুতে ফেনী জেলার ক্রীড়াঙ্গনে এবং তাঁর পরিবার পরিজন শুভানুধ্যায়ী ও বন্ধু মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ক্রীড়াবিদের পাশাপাশি তিনি একজন সমাজ সচেতন সাদা মনের মানুষ ছিলেন।

পারিবারি সূত্রে জানা যায়, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার বেলা ১১টায় তাঁর নিজ বাডির দরজায় জানাজা নামাজ শেষে তাকে তাঁর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, নাসির মাহমুদ বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া থানার অন্তর্গত পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের উদরাজপুর গ্রামে এলাহি বক্স মুন্সি বাড়ির এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মরহুম নুরুল হক মাস্টার এবং মরহুমা করফুলের নেছা দম্পতির কণিষ্ঠ ছেলে তিনি। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি প্রচন্ড অনুরাগী নাসির মাহমুদ স্কুল পর্যায়ে অসাধারণ ফুটবল নৈপুণ্য প্রদর্শন করে ক্রীড়া  পৃষ্ঠপোষকদের নজরে আসেন।

১৯৭২ সালে তিনি « আর আর টেক্সটাইল মিল ক্লাব » এর প্রধান ক্রীড়াবিদ এবং ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে ১৯৭২  সাল থেকে ১৯৭৮  সাল পর্যন্ত তার নেতৃত্বে « আর আর টেক্সটাইল ফুটবল ক্লাব » কে অসংখ্য শিরোপা এনে দেন এ গুণী ফুটবল খেলোয়াড়।

পাশাপাশি ১৯৭৩ সাল থেকে ফেনী জেলার প্রথম বিভাগের ক্লাব « বিজি স্পোর্টিং »এর অধিনায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এখানেও ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে তিনি একাধিকবার শিরোপা এনে দেন « বিজি স্পোর্টিং » ক্লাবকে। এছাড়া তিনি জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় বিভাগে « কে কে আর সি » (কাজীর দেউড়ি খাজা রিক্রিয়েশন ক্লাব) ও « আগ্রাবাদ নওজোয়ান ক্লাব » এর হয়েও দীর্ঘ সময় তার ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন।

পরবর্তীতে তিনি ১৯৭৯-১৯৮০ সালে প্রথম বিভাগ ফুটবল ক্লাব “ফরাশগঞ্জ ফুটবল ক্লাব” এর হয়েও জাতীয় পর্যায়ে প্রথম বিভাগ ফুটবল টুনামেন্টে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি “বাংলাদেশ টোবাকো” এবং  “পোর্ট ট্রাস্ট ক্লাব” এর হয়েও দীর্ঘসময় ফুটবল নিয়ে পায়ের জাদু প্রদর্শন করেন।

একজন নিরব ফুটবল জাদুকরের পায়ের নৈপুণ্য এবং ফুটবলে অসাধারণ দক্ষতা নাসির মাহমুদের জন্মস্থান দাগনভূঞাবাসী প্রথম দেখেন ১৯৭৬ সালে। সেবার আতাতুর্ক স্কুল কর্তৃপক্ষ আয়োজিত “SDO মিজান শীল্ড” ফুটবল টুর্নামেন্টে নাসির মাহমুদের নেতৃত্বে « আর আর টেক্সটাইল মিল ফুটবল ক্লাব » চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই টুর্নামেন্টে  তার অসাধারণ ক্রিড়া  নৈপুণ্য দেখে দাগনভূঞাবাসী মুগ্ধ হন।

এরপর তিনি নিজ জন্মস্থান দাগনভূঞার প্রতি দায়িত্ব অনুভব করে স্থানীয় যুবকদের ক্রিড়ামুখী করতে সমমনা ক্রীড়ামোদীদের নিয়ে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এডভোকেট জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা করেন দাগনভূঞার ঐতিহ্যবাহী « কালান্তর গোষ্ঠী ক্লাব »। নাসির মাহমুদ  কালান্তর গোষ্ঠী ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতির পাশাপাশি ক্রীড়া সংগঠক এবং ফুটবল প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার হাত ধরে দাগনভূঞার ক্রীড়াঙ্গন প্রাণ ফিরে পায় এবং গড়ে ওঠে অনেক ফুটবল খেলোয়াড়।

উল্লেখ্য, তিনি ইউরোবিডি24নিউজ এর সম্পাদক ইমরান মাহমুদের পিতা।

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, খেলাধুলা, দেশের খবর, শীর্ষ সংবাদ, স্পোর্টস

About the Author ()

Leave a Reply