• ৮ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,22 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

ছাত্রীর সাথে অশালীন আচরণের অভিযোগ, ঘটনা অস্বীকার করলেন শিক্ষক

| আগস্ট 16, 2013 | 0 Comments

ইউরোবিডি২৪নিউজঃ বাংলাদেশে ছাত্রীর সাথে শিক্ষকের অশালীন আচরণ এবং যৌন নির্যাতন এখন একটি নিত্য -নৈমিত্তিক ব্যাপার। এবার , এমন একটি ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুরে।

ছাত্রীর সাথে অশালীন আচরণের অভিযোগে দিনাজপুর জিলা স্কুলের একজন শিক্ষককে গ্রেফতার করলো পুলিশ। তবে শিক্ষক এ ঘটনাকে তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন।

ওই ছাত্রীর চাচা আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান শিক্ষক তসলিম উদ্দিনের শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তার সম্পর্কে ভাতিজি ঐ ছাত্রী, তসলিম উদ্দিন নামক ঐ শিক্ষক পরিচালিত কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ে। ঈদের ছুটির পর গত মঙ্গলবার (১৩ অগাস্ট) তার ভাতিজি প্রাইভেট পড়ার সময় জানতে ওই শিক্ষককে মোবাইলে ফোন করলে তাকে পরদিন বিকালে যেতে বলা হয়।

কথামতো সে বুধবার বিকালে কোচিং সেন্টারে গেলে তাকে পাশের কক্ষে নিয়ে একশ’ টাকা দিয়ে ওই শিক্ষক বলেন- এটা ঈদের সালামী।

তখন মেয়েটি শিক্ষকের পা ছুঁয়ে সালাম করার সময় তাকে একা পেয়ে অশালীন আচরণ করেন তিনি।

মেয়েটি চিৎকার করলে তাকে বিষয়টি কাউকে প্রকাশ করতে নিষেধ করেন এবং কোচিং পরীক্ষায় অকৃতকার্য করার হুমকি দেন।

তিনি বলেন, তার ভাতিজি পরদিন কেচিংয়ে যেতে অনীহা প্রকাশ করলে পরিবারের সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি জানতে পারেন।

এ ব্যাপারে শিক্ষক তসলিম উদ্দিন পুরো ঘটনাটিকে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন।

তিনি বলেন,  “সে আমার পা ছুঁয়ে সালাম করে এবং তাকে সন্তানের মতোই মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করে একশ’ টাকা ঈদের সালামী প্রদান করি। এ সময় ঘরে আমার স্ত্রীও ছিল।”

এরপর মেয়েটি কোচিং ক্লাসে অংশ নেয় এবং ক্লাস শেষে যথারীতি বাড়ি ফিরে যায়।

শিক্ষক আরো বলেন, “কিন্তু সন্ধ্যায় অচেনা দুই যুবক আমার বাড়ি এসে ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণের কথা বলে আমাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।”

এ ব্যাপারে তসলিম উদ্দিনের স্ত্রী জেসমিন আক্তার বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ছাত্রীটি তার সামনেই শিক্ষককে ঈদের সালাম করে এবং সালামীর টাকা নিয়ে কোচিং ক্লাসে চলে যায়।

তসলিম উদ্দিন অভিযোগ করেন, পরদিন বৃহস্পতিবার পুলিশ দিয়ে তাকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে ছাত্রীর চাচা বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানসহ তার লোকজন মামলার হুমকি দিয়ে দোষ স্বীকার করে মুচলেকার জন্য চাপ দেন।

কিন্তু রাজি না হওয়ায় এ মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

তিনি ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তও দাবি করেন।

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর, প্রচ্ছদ, শীর্ষ সংবাদ

About the Author ()

Leave a Reply