• ৯ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,23 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

বাবা-মা হত্যাকাণ্ডে ঐশী জড়িত, চেতনানাশক খাইয়ে হত্যা!

| আগস্ট 17, 2013 | 0 Comments

ইউরোবিডি২৪নিউজঃ পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান খুনের ঘটনায় ওই দম্পতির মেয়ে ঐশী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।

দুপুরে আত্মসমর্পনের পর ডিবি কার্যালয়ে ঐশীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে খুনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যদের ধরতে পূরান ঢাকার ওয়ারি ও গেন্ডারিয়ায় অভিযানে বের হয় গোয়েন্দা পুলিশ।  অভিযানে, তাঁদের বাসার গৃহকর্মী মোসাম্মৎ সুমি, ঐশীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় বাবা-মা হত্যায় ঐশীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।  গতকাল শুক্রবার রাতেই চামেলীবাগের ওই বাড়ির দুই নিরাপত্তাকর্মী মোহাম্মদ মোতালেব ও মোহাম্মদ শাহীনকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ঐশীকে ডিবি কার্যালয়ে রেখেই তার দেয়া তথ্য মতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। বেলা ৪টার দিকে বাসাবো এলাকা থেকে আটক করা হয় ঐশীর দুই বান্ধবীসহ মোট তিনজনকে যার মধ্যে একজন ঐশীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী তিশা । অন্য স্থানে থেকে আরো দু’জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের নিয়েই ঐশী তার বাবা- মায়ের খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানায় পুলিশ ।

গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, কফির সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে বাবা-মাকে অচেতন করে ঐশী। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। তবে হত্যাকান্ডে ঐশী একা ছিল নাকি আরও কেউ তার সঙ্গে ছিল এ বিষয়ে গোয়েন্দা নিশ্চিত হতে পারেনি।

হত্যাকাণ্ডের পর খোয়া যাওয়া কিছু গহনাও ঐশীর কাছে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম।

এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মাহফুজের ভাই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেছেন। মাহফুজ ও স্বপ্নার লাশের ময়না তদন্ত হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে।

ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাহফুজ ও স্বপ্নাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে এবং খুনি ছিলেন দুইয়ের বেশি এবং তারা অপেশাদার।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার চামেলীবাগের একটি ভবনের ফ্ল্যাটে মাহফুজ ও স্বপ্নার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। দুই সন্তান ঐশী ও ঐহী এবং শিশু গৃহকর্মী সুমিকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন তারা।

ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, দুজনের শরীরে ছুরিকাঘাতের১৩টি চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মাহফুজের শরীরে দুটি এবং তার স্ত্রীর শরীরে ১১টি। পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজ রহমানকে ছুরি মারা হয় গলায়, এতে শ্বাস নালী কেটে মৃত্যু হয় তার। স্বপ্না বেগমের গলায় দুটি, ডান পাঁজরে তিনটি, বুকে একটি এবং পেটে ও পিঠেও ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতে তার লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শ্বাসনালী কেটে যায়।

এসবির উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া শুক্রবার বলেন, আক্রোশ থেকে পরিকল্পিতভাবে দুজনকে খুন করা হয়েছে। চার থেকে পাঁচ জন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তারা মনে করছেন।

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর, প্রচ্ছদ, ব্রেকিং নিউজ, শীর্ষ সংবাদ

About the Author ()

Leave a Reply