অল এশিয়ান বাংলাদেশ এসেসিয়েশন গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বেগবান করা সম্ভব: কাজী এনায়েত উল্লাহ
আবু তাহির,প্যারিসঃ আমি দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান সফর করেছিলাম মূলত আমাদের অল ইউরাপীয়ান বাংলাদেশ এসোসিয়েশন আয়েবার আদলে অল এশিয়ান বাংলাদেশ এসোসিয়েশন করার সম্ভাব্যতা যাচাই এবং তার প্রসার ঘটানোর জন্য। প্রবাসে থেকে এ ধরনের মহাদেশ ভিত্তিক সংগঠন করা হলে এক সময় আমরা নিজেদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবো। সম্প্রতি জাপান ও কোরিয়া সফর শেষে ফ্রান্সে কর্মরত বিভিন্ন বাংলা গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে আয়েবা’র সেক্রেটারী জেনারেল কাজী এনায়েত উল্লাহ এসব কথা বলেন। প্যারিসের মেরী দ্য ক্লিশির ক্যাফে দ্য লুনা রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এ মত বিনিময় সভায় কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমরা প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশী বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রেরন করি। একক বা পরিবারভিত্তিক পাঠানো এসব বৈদেশিক মুদ্রা দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করছে। প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। এ বিষয়ে আয়েবার মতো বিভিন্ন মহাদেশ ভিত্তিক সংগঠনগুলো ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। এসব সংগঠন প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করলে বৈদেশিক মূদ্রার সঠিক ব্যবহার করা সম্ভব। এবং এ সবের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি বেগবান হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক লোকের কর্মসংস্থান ও সম্ভব বলে জানান তিনি। সফরকালীন সময়ে কোরিয়ায় বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গে মত বিনিময় করেছেন। অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে কোরিয়ায় ঈদ উদযাপনের কথা উল্লেখ করে এনায়েত উল্লাহ বলেন, কোরিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশীরা দেশে প্রচুর পরিমানে বৈদেশিক মূদ্রা প্রেরন করেন। সেখানে অনেক প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশী রয়েছেন। তারা যদি সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ সেবার পাশাপাশি আয়েবার আদলে একটি বহুদেশ ভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলেন এবং এর মাধ্যমে সামষ্টিকভাবে দেশ সেবার এগিয়ে আসেন তাহলে তার সুফল আমাদের মাতৃভূমি পাবে। জাপান প্রসঙ্গে এনায়েত উল্লাহ জানান, জাপান সরকারী ভাবে সবচেয়ে বেশী অর্থনৈতিক সহায়তা বাংলাদেশকে দিয়ে থাকে। জাপানে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরন করেন। কোরিয়াতে ১৩ থেকে ১৪ হাজার এবং জাপানে ২৫ হাজারের মতো বাংলাদেশী রয়েছে। এসব বাংলাদেশীরা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তাদের সমন্বিত প্রচেষ্টা আমাদের একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনে অগ্রনী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়েবার সেক্রেটারী জেনারেল। তিনি বলেন, এ ধরনের একটি সংগঠন করা হলে সমন্বিতভাবে আমরা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবো বলে বিশ্বাস মনে করি। নিজেদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক কাজ করার পাশাপাশি যেন আমরা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে পারি এটাই আমাদের কামনা হওয়া দরকার।
Category: Uncategorized