• ৮ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,22 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

সিরিয়ায় ‘যৌন জিহাদ’ থেকে গর্ভবতী হয়ে ফিরছে তিউনিশিয়ার মেয়েরা

| সেপ্টেম্বর 21, 2013 | 0 Comments

আন্তর্জাতিক: সিরিয়ায় কথিত ‘যৌন জিহাদ’ করতে গিয়ে এখন গর্ভবতী হয়ে দেশে ফিরছে তিউনিশিয়ার মেয়েরা। তিউনিশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোতফি বিন জেদ্দো দেশটির জাতীয় সংসদে গতকাল (বৃহস্পতিবার) এ কথা জানিয়েছেন।

 তিনি বলেন, “তিউনিশিয়ার এসব মেয়ে ২০, ৩০ কিংবা ১০০ বিদ্রোহীর মাঝে ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে এবং তারা এখন কথিত যৌন জিহাদের ফল বয়ে আনছে দেশে। আর আমরা এ নিয়ে এখনো নীরব রয়েছি কিছুই করছি না।”

 বিন জেদ্দো জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত সিরিয়া সফরে ৬,০০০ তরুণ-তরুণীকে বাধা দিয়েছে এবং সিরিয়ায় কথিত জিহাদি নেট ওয়ার্ক গড়ে তোলার সন্দেহে ৮৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তিনি কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থারও সমালোচনা করেন। সিরিয়ায় যেতে বাধা দেয়ায় এসব মানবাধিকার সংস্থা তিউনিশিয়া সরকারের সমালোচনা করেছে। যেসব ব্যক্তিকে সিরিয়ায় যেতে বাধা দেয়া হয়েছে তাদের বেশিরভাগেরই বয়স ৩৫ বছরের কম।

 তিউনিশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, “আমাদের তরুণদেরকে সিরিয়ার বিদেশি মদদপুষ্ট বিদ্রোহীরা যুদ্ধক্ষেত্রে সামনের ভাগে রাখছে এবং তাদেরকে চুরি করা ও গ্রামে গ্রামে অভিযান চালানো শেখাচ্ছে।”

 গত ১৩ এপ্রিল তিউনিশিয়ার সাবেক মুফতি শেখ ওসমান বাত্তিক জানিয়েছিলেন, প্রতারণার শিকার হয়ে ১৩টি মেয়ে সিরিয়ায় বিদেশি মদদপুষ্ট বিদ্রোহীদেরকে ‘যৌন সেবা’ দিতে গেছে। তিনি সে সময় কথিত এ যৌন জিহাদকে পরিষ্কার ভাষায় পতিতাবৃত্তি বলে উল্লেখ করেছিলেন।

 মুফতি বাত্তিক আরো বলেছিলেন, “সিরিয়ায় যুদ্ধের জন্য এখন তারা মেয়েদের ঠেলে দিচ্ছে। এরইমধ্যে তিউনিশিয়ার ১৩টি মেয়েকে সিরিয়ায় যৌন সেবা দেয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে। এসব কি? একে বলে পতিতাবৃত্তি। এটি নৈতিক শিক্ষা বিষয়ক দুর্নীতি।”

 গত আগস্ট মাসে তিউনিশিয়ার জননিরাপত্তা বিভাগের মহাপরিচালক মোস্তাফা বিন ওমর জানিয়েছিলেন, দেশের পশ্চিমাঞ্চলে আল-কায়েদা অধ্যুষিত এলাকায় কথিত একটি ‘যৌন জিহাদ সেল’ ভেঙে দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত আনসার শারিয়াহ গোষ্ঠী ছোট ছোট মেয়েদেরকে সিরিয়ার পুরুষ বিদ্রোহীদের যৌন সেবা দেয়ার জন্য পাঠাচ্ছে।

 কিছু সৌদি ওহাবি মুফতি চলতি বছরের শুরুতে এই ফতোয়া দিয়েছিলেন যে, সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহীদের যৌন সেবা দেয়ার জন্য মুসলিম মেয়ে ও নারীরা যেন সিরিয়া যান। বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের এই যৌন সেবা দেয়াকে এসব মুফতি ‘যৌন জিহাদ’ বলে উল্লেখ করেন। ওহাবি মুফতিদের এ ফতোয়ার ধোঁকায় পড়ে বিভিন্ন মুসলিম দেশের শত শত নারী সিরিয়া গেছেন এবং তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চালাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। শরিয়তসম্মত উপায়ে বিয়ে করার পরিবর্তে এসব মেয়ের ওপর পালাক্রমে বলাতকার চালাচ্ছে বিদ্রোহীরা। একদিনে বহু বিদ্রোহীকে ‘সেবা’ দিতে গিয়ে ক্লান্ত এসব ‘যৌন জিহাদি’ নারী এখন সিরিয়া থেকে পালানোর পথ খুঁজছেন।

Category: 1stpage, আন্তর্জাতিক, শীর্ষ সংবাদ

About the Author ()

Leave a Reply