সাবাশ বাংলাদেশ সাবাশ! ইউরোবিডি২৪নিউজ এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সকল খেলোয়াড়দের অভিনন্দন।
স্পোর্টস: সাবাস বাংলাদেশ সাবাস! বিজয়ের মাসে বাংলার দামাল ছেলেরা আবারও প্রমাণ করলো বিজয়ের নেশায় পেয়ে বসলে প্রতিপক্ষ যতোই শক্তিশালী হোকনা কেন তারা বাংলা মায়ের জন্য বিজয় ছিনিয়ে আনবেই। তাইতো এই বিজয়কে খেলোয়াড়রা মহান মুক্তি যুদ্ধের শহীদদের প্রতি উৎসর্গ করলেন।
এই গৌরবময় বিজয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সকল খেলোয়াড়দের ইউরোবিডি২৪নিউজ এর পক্ষ থেকে প্রাণ ঢালা অভিনন্দন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২১৭ (৪৮ ওভার)
বাংলাদেশ: ২২১/৮ (৪৪ ওভার)
গতকাল শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভারের দুই ওভারের আগেই প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২১৭ রানে গুঁড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দলীয় ১৭ রানেই সফরকারীদের টপঅর্ডার ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দেন স্বাগতিক দলের বোলার ও ফিল্ডাররা। এর মধ্য দিয়ে শুরুতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। কিন্তু চতুর্থ উইকেট জুটিতে ড্যারেন ব্রাভো ও পোলার্ড ১৩২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে বড় একটি সংগ্রহের চেষ্টা করলেও শফিউল, মমিনুল ও মাহমুদুল্লাহর বোলিং নৈপুণ্যে তা আর সম্ভব হয়নি। শত চেষ্টার পরও বাংলাদেশ দলের বোলিং লাইনআপকে বোকা বানাতে পারেননি ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা। উইন্ডিজ দলের পক্ষে ৭৪ বল খেলে সর্বোচ্চ ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন কাইরন পোলার্ড। তার ইনিংসটিতে পাঁচটি চার ও আটটি ছক্কা রয়েছে। ১০৮ বলে ৫১ রান করেন ড্যারেন ব্রাভো। ২৫ রান আসে ডেভন থমাসের ব্যাট থেকে। স্বাগতিক দলের বোলারদের মধ্যে পেসার শফিউল ৩১ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। মমিনুল ও মাহমুদুল্লাহ নেন দুটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪৪ ওভারেই ৮ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। গতকালও আগের দিন সিরিজের চতুর্থ ম্যাচের মতো ব্যাটিং ব্যর্থতা প্রদর্শন করেন বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। উইন্ডিজ পেসার কেমার রোচ ঝড়ের মুখে দলীয় ৭ রানেই উইকেট ছাড়া হন তারা। সাজঘরের পথ ধরার আগে তামিমের ব্যাট থেকে ৮ রান এলেও খাতাই খুলতে পারেননি এনামুল। দলীয় ৩০ রানে জহুরুল ইসলাম রোচের বলেই কিপার থমাসের গ্লাভসবন্দি হলে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এমন বিপর্যয়ের মুখে চতুর্থ উইকেট জুটিতে মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ ৯১ রানের পার্টনারশিপ গড়লে খেলায় ফিরে টাইগাররা। এই জুটি দলকে যখন জয়ের পথ দেখাচ্ছিলো ঠিক তখনই তাতে ফাটল ধরান স্পিনার সুনীল নারাইন। দলীয় ১২১ রানে অর্ধশতক থেকে মাত্র দুই রানে দূরে থাকা মাহমুদুল্লাকে সরাসরি বোল্ড করেন তিনি। দলীয় স্কোরে আর ১২ জমা পড়তেই নারাইনের বলেই বোল্ড হন অধিনায়ক মুশফিক। দুই সেট ব্যাটসম্যানকে উইকেট ছাড়া করার মধ্য দিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারপরও ম্যাচ জয় তথা সিরিজ জয়ের স্বপ্ন থেকে বিন্দুমাত্র পিছপা হয়নি লাল-সবুজরা।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মমিনুল হক ও নাসির হোসেন ৫৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুললে দারুণভাবে খেলায় ফেরে তারা। দলীয় ১৮৬ রানে মমিনুল নারাইনের বলে মমিনুল এলবিডব্লিউ’র শিকার হলেও কাঙ্ক্ষিত জয়ের লক্ষ্য থেকে বাংলাদেশকে সরাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দক্ষতার সঙ্গে জয়ের জন্য বাকি ৩২ রানের পথ পাড়ি দেয় সপ্তম উইকেট জুটিতে ২৮ রান তুলে নাসির হোসেন-সোহাগ গাজী জুটি। দলীয় ২১৪ রানে কেমার রোচের বলে কিপার ডেভন থমাসের গ্লাভসবন্দি হন সোহাগ গাজী (১৯)।
দলের স্কোরে আর এক রান জমা পড়তেই আবদুর রাজ্জাক রোচের বলে এলবিডব্লিউ’র শিকার হলে অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। জয়ের কিনারায় থেকেও যেন শঙ্কা জেগে উঠে। কিন্তু জয়ের জন্য বাকি তিন রান নিতে বিন্দুমাত্রও পিছ পা হননি নাসির হোসেন ও দশ নম্বরে ব্যাট করতে নামা ইলিয়াস সানি।
কিন্তু জয়ের শেষ রানটি নিতে গিয়ে অদ্ভুত এক নাটকীয়তার জন্ম দেন ইলিয়াস সানি। নাসিরের থার্ড ম্যান এলাকায় খেলা স্ট্রোকটিকে বাউন্ডারী মনে করে ইলিয়াস সানি রান সম্পন্ন না করে বিজয়ের উল্লাসে মেতে ওঠেন। অসলে বলটি বাউন্ডারী না হয়ে মঠের ভিতরেই ছিলো । এই ভুল দর্শকদের দৃষ্টি এড়িয়ে গেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতার তীক্ন দৃষ্টি এড়াতে পারেনি । তাই জয়ের জন্য নাসিরকে সত্যি সত্যি চার মেরে প্রমাণ করতে হলো ওটা আসলে চারই হওয়ার কথা ছিলো। অবশেষে নাসির ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন এবং বাংলাদেশ ৩ – ২ এ সিরিজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, প্রচ্ছদ, স্পোর্টস