দাম্পত্যের সুখের বছর তিন, অসুখের পাঁচ!
ইউরোবিডি২৪নিউজঃ আপনি কি বিবাহিত? বিয়ের সনটি কি ২০১০-এর শেষ কিংবা ২০১১-এর প্রথমার্ধ? তাহলে এই সংবাদটির সবচেয়ে ভালো পাঠক হতে পারেন আপনিই। আর এর আগে যারা বিয়ে করেছেন তাদের জন্য এটা হতে পারে শুধুই দীর্ঘশ্বাস ফেলবার এক সংবাদ। ভাবছেন, খবর শুরুর আগেই এতসব শর্তের কী মানে?
আসলে, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নভিত্তিক এক প্রতিষ্ঠানের জরিপ যেখানে বলছে যে, বিয়ের তৃতীয় বছরটাই সবচেয়ে আনন্দময়, সেখানে সবকিছু বিবেচনা না করে খবরটাই বা সরাসরি বলা যায় কীভাবে? কেননা যারা এখনো বিয়ের তৃতীয় বর্ষে পা দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন তাদের বাইরে অন্য অনেকের জন্যই যে এটা স্রেফ স্মৃতি হাতরে নেওয়ার উপলক্ষতেই আটকে থাকতে পারে! আর যারা তিন পেরিয়ে আরও অনেকগুলো বছর দিব্যি সুখে স্বাচ্ছ্যন্দে কাটাচ্ছেন তাদের কী এই সংবাদ নিয়ে ভাবার সময় আছে!
আসলে, পাশ্চাত্যে যেখানে বিয়ে আর বিয়ে বিচ্ছেদের মতো ঘটনা প্রায় একই হারে ঘটতে থাকে সেখানে দাম্পত্যের আনন্দটাকে হিসেবের খাতায় ফেলতে গিয়েই অদ্ভুত এই জরিপে মন দিয়েছিল মেলবোর্নের আইনি প্রতিষ্ঠান ‘স্ল্যাটার এন্ড গর্ডন’।
দুই হাজার বিবাহিত নারী-পুরুষের ওপর গবেষণা পরিচালনা করে তারা দেখতে পান বিয়ের তৃতীয় বছরে এসে অধিকাংশ দম্পতির ক্ষেত্রেই সম্পর্ক একটি অর্থপূর্ণতার দিকে মোড় নেয়। এ সময় একে অন্যের সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলো মেনে নিয়েই সুখী সহাবস্থানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন দম্পতিরা। তা ছাড়া প্রথম দুই বছরে যারা বিচ্ছেদের পথে পা বাড়ান না, তারাই তৃতীয় বর্ষে এসে সন্তান গ্রহণের মতো যৌথ ও চমৎকার সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করেন। আবার বিয়ের তৃতীয় বর্ষে এসে পারিবারিক ও আর্থিক বিষয়গুলোও অনেকটা স্থিতিশীল রূপ নিতে শুরু করে এবং স্বামী-স্ত্রী দু’জনের সমন্বিত উপার্জনের মাধ্যমে সংসারে এক ধরনের সুখ বিরাজ করে। দাম্পত্যের এই আনন্দময় সময়ের বিপরীতে কঠিন সময়টির দিকেও ইঙ্গিত করেছেন জরিপকারীরা। বিয়ে পরবর্তী জীবনযাত্রার নানা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তাদের দাবি বিয়ের পঞ্চম বছরটি অতিক্রম করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, এ সময়ে সম্পর্কে খানিকটা ক্লান্তি ভর করার পাশাপাশি কাজের চাপ ও সন্তান সামলানোর মতো বিষয়গুলোও যুক্ত হয়।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, প্রচ্ছদ, লাইফ স্টাইল