শান্তিতে নোবেল পেতে পারেন মালালা
আন্তর্জাতিক: এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে পারেন পাকিস্তানের নারী শিক্ষা আন্দোলন কর্মী মালালা ইউসুফজাই। মালালার সঙ্গে নোবেল জয়ে এ বছরের দৌড়ে ট্র্যাকে রয়েছেন কঙ্গোর চিকিত্সক ডেনিস মুকওয়েগে, রাশিয়া বা বেলারুশ থেকে মানবাধিকার কর্মীরা। পাকিস্তান ও ভারতের দুটি সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রথা অনুযায়ী সোমবার চিকিত্সাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হবে ৬টি শাখায় পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। স্টকহোমে সোমবার গ্রিনিচমান সময় সাড়ে ৯টায় চিকিত্সায় নোবেলজয়ী বা নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করবে জুরি বোর্ড। তবে প্রতি বছরের মতো এবারও শান্তি ও সাহিত্যে নোবেল কে পাচ্ছেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। এবার শান্তিতে নোবেলের জন্য রেকর্ড সংখ্যক ২৫৯ জন মনোনয়ন পেয়েছেন। ১১ অক্টোবর সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হবে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির ঘোষণায়।
শান্তি পুরস্কার বিষয়ক নোবেল কমিটির তালিকা থেকে নিজে একটি ছোট তালিকা প্রস্তুত করেন অসলোর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান ক্রিস্টিয়ান বের্গ হার্পভিকেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি এমনটি করে আসছেন। তার এবারের ছোট তালিকার শীর্ষে রয়েছেন মালালা ইউসুফজাই।
হার্পভিকেন বলেছেন, তিনি (মালালা) শুধু মেয়েদের এবং শিশুদের শিক্ষা ও নিরাপত্তার অধিকারের প্রতীক হয়ে ওঠেননি, চরমপন্থা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক হয়েও উঠেছেন।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশের মেয়ে মালালা ইউসুফজাই নিজ এলাকায় মেয়েদের শিক্ষা ও অধিকারের কথা বলতে গিয়ে তালেবান জঙ্গিদের হামলার শিকার হন। ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর স্কুল থেকে ফেরার পথে স্কুলবাসে উঠে তার ওপর গুলি চালায় জঙ্গিরা। অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। পাকিস্তানের সামরিক হাসপাতালে চিকিত্সা দেয়ার পর উন্নত চিকিত্সার জন্য তাকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়। এখন যুক্তরাজ্যের একটি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন তিনি।
তবে অনেকে বলছেন, মাত্র ১৬ বছরের একটি মেয়েকে শান্তিতে নোবেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার দেয়াটা বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।
স্টকহোমের শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট এসআইপিআরআইয়ের প্রধান টিলমান ব্রুয়েক বলেছেন, নৈতিক দিক থেকে আমি নিশ্চিত না যে, একটি মেয়েকে শান্তি পুরস্কার দেয়াটা উপযুক্ত হবে কিনা।
তার মতে, কলোম্বিয়ার শান্তি মধ্যস্থতাকারীরা বা মিয়ানমারের সংস্কারবাদীরা পেতে পারেন শান্তিতে নোবেল।
শান্তিতে নোবেল সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ইতিহাসবিদ অসলে সিভেন বলেছেন, কমিটির পাঁচ সদস্য কঙ্গোর গাইনিকোলজিস্ট মুখওয়েগেকে নির্বাচিত করতে পারেন।
স্থানীয় ও বিদেশি জঙ্গি এমনকি সেনাবাহিনী কর্তৃক ধর্ষিত হাজার হাজার নারীর চিকিত্সার জন্য হাসপাতাল ও সহায়তার জন্য ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
Category: 1stpage, আন্তর্জাতিক