• ১০ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,24 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী খুনের পেছনে যৌনকর্মী!

| অক্টোবর 11, 2013 | 0 Comments

ইউরোবিডি২৪নিউজঃ যৌনকর্মীর পরিকল্পনায় খুন হন এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী এনামুল। পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে  যৌনকর্মী মেঘলার পালিত তিন সন্ত্রাসী এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকাল মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরা হচ্ছে মেঘলা ওরফে ডলারের মা (৪৫), সানি (২২), পারভেজ (২৪) ও জুয়েল (২৭)।

তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি। গত শনিবার মোহাম্মদপুর থানাধীন নূরজাহান রোডে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের সামনে থেকে এনামুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুল হক বলেন, সিসিটিভি’র ভিডিও ফুটেজ দেখে এনামুল হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। পরে বিভিন্ন কৌশলে শনাক্ত হওয়া খুনিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা মেঘলা খুনের কথা স্বীকার করে বলেছে, নূরজাহান  রোডের একটি বাড়িতে তার আস্তানা আছে। সেখানে যৌনকর্মীদের নিয়ে অবৈধ ব্যবসা করে। তার দাবি-এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী এনামুল মাঝে-মধ্যেই তার কাছে যেত। ঘটনার দু’দিন আগে এনামুল তার বাসায় গিয়েছিল। সময় কাটিয়ে নির্ধারিত তিনশ’ টাকার বদলে আড়াইশ’ টাকা দিয়েছিল। এ নিয়ে  দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মেঘলা আরও জানায়, ঝগড়ার বিষয়টি তার ‘ঘনিষ্ঠ’ তিন সহযোগী সানি, পারভেজ ও জুয়েলকে অবহিত করলে তারাই এনামুলকে হত্যা করে। ওসি আজিজুল হক বলেন,  মেঘলার বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় তাদের আদালতে হাজির করে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে আরও কোন বিষয় জড়িত কিনা তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রতন কুমার বলেন, মেঘলা পেশাদার যৌনকর্মী। তার নির্দেশ ও উপস্থিতিতেই মাদকাসক্ত তিন ছিনতাইকারী এনামুলকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। তদন্ত সূত্রমতে, নূরজাহান রোডের একটি বাড়িতে বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের নিয়ে যৌন ব্যবসার আস্তানা গড়ে তুলেছে মেঘলা। রিকশাচালক, দিন মজুর, থেকে শুরু করে স্থানীয় বখাটে, মাদকাসক্ত ও ছিনতাইকারীদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল সেখানে।  ৬ মাস আগে এই বুথের সামনেই এনামুলের সঙ্গে মেঘলার পরিচয় হয়। তখন থেকেই মেঘলার বাসায় যেত এনামুল। খুন হওয়ার দু’দিন আগেও গিয়েছিল সে। ৫০ টাকা কম দেয়ার জের ধরে পরেরদিন ৫ই অক্টোবর বিকালে মেঘলা, জুয়েল, সানি ও পারভেজ তার সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় ঝগড়া করে। এ সময় তারা এনামুলকে  মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। হত্যার আগে মেঘলা বুথের সামনে থেকে এনামুলকে ডেকে আনে। পরে তার সহযোগীরা কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পুরো দৃশ্য বুথের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এনামুল ছিলেন এলিট ফোর্স সিকিউরিটি  কোম্পানির নিরাপত্তা কর্মী। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ভাওয়াইল গ্রামে। তার পিতার নাম আবদুর রশিদ। পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিলেন এনামুল। বাবা-মাকে নিয়ে নবোদয় হাউজিংয়ের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর, প্রচ্ছদ, শীর্ষ সংবাদ

About the Author ()

Leave a Reply