• ৮ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,22 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

পতনের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি: সর্বশেষ গননা

| অক্টোবর 13, 2013 | 0 Comments

আন্তর্জাতিক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট পরিস্থিতি নিয়ে সৃষ্ট সংকট এবার সর্বশেষ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। আগামী ১৭ অক্টোবরের আগে ঋণসীমা বাড়ানো না গেলে যুক্তরাষ্ট্র ঋণ খেলাপি হয়ে যাবে। রিপাবলিকান আর ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা একমত না হলে হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগত স্থবিরতা তৈরী হবে অথবা সরকারকে কঠোর অর্থনীতি নীতি প্রণয়ন করতে হবে। আর এই দুই ব্যবস্থাই পুরো বিশ্বের অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী ব্লুমবার্গ এক পূর্বাভাষ প্রতিবেদনে জানায়, যদি মার্কিন অর্থনীতি অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে না পারে তাহলে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।

অর্থনীতিবিদরা গত ২০০৮ সালে লেহমান ব্রাদার্স ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের পতনের মধ্য দিয়ে যে বিশ্বমন্দা দেখা দিয়েছিল তার সাথে চলমান অর্থনৈতিক অচলাবস্থার তুলনা করছেন। তবে এবার আরো বেশি দূর্যোগ বয়ে আনবে।

ব্লুমবার্গ জানায়, যুক্তরাষ্ট্র যদি কোষাগারে জাতীয় স্তরে ধার পরিষোধ করতে না পারে তাহলে ব্রাজিল থেকে জেনেভা সর্বত্রই শেয়ার বাজার নিম্নমুখী হবে। আর তা শুরুতেই ডলারের মূল্য পতন ঘটবে। স্বর্ণের দাম মুহূর্তেই উচ্চমুখী হবে।

মেট্রোআপল এনালেটিক বিভাগের পরিচালক মার্ক রুবিনশটেইমন বলেন, “মূদ্রাবাজারে প্রধান উপাদান পুরোপুরি হারিয়ে যাবে, অর্থাত মার্কিন সরকারের কোষাগারে ঋণ পরিশোধ করা হবে না। যা সারা বিশ্বের মূদ্রাবাজারকে ধস নামাবে।“

এদিকে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা আইন মেনেই একটি সমঝোতা খুঁজে পেয়েছেন। আর তা মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়, সিআই এর কর্মকর্তাসহ দেশটির প্রায় সাত লক্ষ সরকারি কর্মচারী যারা বিনা বেতনে ছুটিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন তারা কর্মস্থলে ফিরে আসতে পারবেন।

মার্কিন সরকারের প্রশাসন ও কংগ্রেসম্যানদের পূর্বের অভিজ্ঞতা বিবেচনা করলে চলমান অর্থনৈতিক অস্থিরতার সমাধানে উভয়পক্ষ একটা সময়ে সমঝোতায় পৌঁছাবে। এমনটি ধারণা করছেন আরবাত ক্যাপিটাল এর পরিচালক আলেক্সেই গালুবোভিচ। রেডিও রাশিয়াকে তিনি বলেন, “রাষ্ট্রীয় ঋণের সীমা কোন ক্রমেই বাড়তে পারবে না, মূদ্রা বাজারে বড় অর্থনীতি ও বিশেষজ্ঞের জন্য তা এখানে স্পষ্ট। তাই যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ খেলাপির কথা এখানে হচ্ছে না। মার্কিন প্রশাসন যে কোন মূল্যেই ঐক্যমতে পৌঁছাতে একটা উপায় খুঁজে বের করবে এবং বাজেটের ঘাটতি মেটাতে অর্থ বরাদ্ধ দেয়া চালিয়ে যাবে। তবে রিপাবলিকানদের চাপের মুখে পড়ে বাজেটে অর্থ বরাদ্ধ হয়তো পূর্বের থেকে কমানো হবে।

বিশ্বব্যাপী রেটিংকারী এজেন্সি মোডি’র মহাপরিচালক রেইমন্ড মাকদেনিয়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ঋণ খেলাপি হওয়ার বাস্তবতা দেখছেন না। ২০১১ সালেও রাষ্ট্রীয়ঋণ বাড়ানোকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসে রিপাবলিকান আর ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বিরোধীতা চলছিল; কিন্তু অবশেষে সমঝোতায় পৌঁছায় উভয়পক্ষ।

Category: 1stpage, আন্তর্জাতিক, শীর্ষ সংবাদ

About the Author ()

Leave a Reply