ফাঁসি দেয়ার পর বেঁচে উঠলেন আসামী!
ইউরোবিডি২৪নিউজঃ মাদক পাচারের দায়ে অভিযুক্ত আলী রেজা। এ অভিযোগে ৩৭ বছর বয়সী এই ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হলো। ১২ মিনিট ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হলো তাকে। একজন চিকিৎসক নিশ্চিত করলেন আলী রেজা মারা গেছে। অবশেষে তাকে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে রাখা হলো মর্গে। পরের দিন তার আত্মীয়রা মর্গে গেলেন লাশ নিতে। কিন্তু বিস্ময়ে তারা তখন থর থর করে কাঁপছেন। কারণ কি? কারণ আর কিছু নয়। তারা আলী রেজার লাশ নিতে গিয়েছিলেন মর্গে। কিন্তু সেখানে তারা পেলেন জীবন্ত আলী রেজাকে। তারা দেখতে পেলেন আলী রেজা মারা যান নি। তিনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। আত্মীয়দের মধ্যে অন্য রকম এক আনন্দ খেলে গেল। অগত্যা তাকে ভর্তি করানো হলো হাসপাতালে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। তবে সর্বশেষ তার অবস্থা কি তা সরকারিভাবে জানানো হয় নি। হাসপাতালের একটি সূত্র বলেছেন, আলী রেজা এখন কোমা অবস্থায় রয়েছে। এখন তাকে নিয়ে কর্তৃপক্ষ পড়েছে বিপাকে। ফাঁসি দেয়ার পর কেউ এভাবে বেঁচে উঠেছেন বলে শোনা যায় না। আলী রেজা অনেকটা অলৌকিকভাবে জীবন ফিরে পেয়েছেন। তিনি দণ্ডিত আসামি। ইরানের আইন অনুযায়ী তিনি ফাঁসির আসামি। ফলে তাকে কোন ছাড় দেয়া চলে না। আলী রেজাকে এখন কি করা হবে সে সিদ্ধান্ত হয়নি। ইরানে বিচার বিভাগের ওপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে এখন তার ভাগ্যে শেষ পরিণতি কি ঘটবে সে সিদ্ধান্ত দেবে সেই বিচার বিভাগ। এমন সময়ে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন ইরানের আইনমন্ত্রী মোস্তাফা মোহাম্মদী। তিনি বলেছেন, একবার ফাঁসি থেকে যে ব্যক্তি বেঁচে উঠেছে তাকে দ্বিতীয় দফায় ফাঁসি দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। আইনজীবীরাও তার সঙ্গে একমত। তারাও দাবি তুলছেন, যে ব্যক্তি মর্গে গিয়ে বেঁচে উঠেছেন তাকে ফের ফাঁসি দেয়ার নীতি বন্ধ করতে হবে। আইনমন্ত্রী বলছেন, যদি এ রকম ব্যক্তিকে দ্বিতীয়বার ফাঁসি দেয়া হয় তাহলে তাতে ইরানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। কিন্তু কথা হলো অন্য জায়গায়। যে বিচার বিভাগের ওপর সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ নেই তারা এসব আর্তি কতটুকু শুনবে তা এখন দেখার বিষয়। বিশ্বে যেসব দেশে ফাঁসি কার্যকর করা হয় তার মধ্যে ইরান অন্যতম। গত সপ্তাহে দ্বিতীয়বার ফাঁসি দেয়া বন্ধ করতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে এ সংগঠন ইরানের সব রকম ফাঁসিকে শিথিল করার আহ্বান জানিয়েছে।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, আন্তর্জাতিক, প্রচ্ছদ, শীর্ষ সংবাদ