ইউক্রেনকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল ফ্রান্স
ইউরো সংবাদ: প্যারিসের গত রাতটা অনেক দিন মনে রাখবে ফ্রান্সের মানুষ। কী এক অসাধারণ ফুটবল খেলেই না প্রায়-অসম্ভবকে সম্ভব করল দিদিয়ের দেশমের ছেলেরা। ইউক্রেনকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কিয়েভের লজ্জাকর হারের শোধটা তো তুললই, উল্টো হোম-অ্যাওয়েতে ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে ব্রাজিল বিশ্বকাপের টিকিটটা নিশ্চিত করে ফেলল তারা।
|অনেকেই বলছেন, ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের পর এটি ফ্রান্সের সেরা পারফরম্যান্স। ইউক্রেনের বিপক্ষে কাল ফরাসিদের খেলা দেখে যেন মনে হচ্ছিল, রিবেরি, পোগবা, মাতুইদিদের হঠাত্ করেই মনে পড়ে গেছে ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের স্মৃতি। আজ থেকে ১৫ বছর আগে, নিজেদের মাটিতে গোনার বাইরে থেকে ফ্রান্স যেভাবে বিশ্বকাপ জিতেছিল, কাল প্যারিসে সেই দৃশ্যেরই যেন পুনরাবৃত্তি হলো।
খেলার ২২ মিনিটেই মামাদু সাখোর গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ৩৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন করিম বেনজেমা। ৭২ মিনিটে ইউক্রেনের ওলে হিউসিয়েভের আত্মঘাতী গোলে অসাধারণ এক জয় নিশ্চিত হয় ফ্রান্সের।
প্লে-অফের প্রথম লেগে ফ্রান্স পরাজিত হয়েছিল ২-০ গোলে। ব্রাজিলে যেতে হলে কাল প্যারিসে রীতিমতো পর্বতারোহণ দরকার ছিল ফরাসিদের। খেলার প্রথম মিনিট থেকেই এক অন্য উচ্চতার ফুটবল খেলে গেছেন দেশমের শিষ্যরা। কিয়েভের বাজে পারফরম্যান্সকেই যেন অনুপ্রেরণা বানিয়ে মাঠে নিজেদের স্বরূপটা দারুণভাবে উন্মোচিত করল ফ্রান্স। পল পোগবা, ব্লাইস মাতুইদি আর ইয়োহান ক্যাবায়ের আঁঁটোসাঁটো মধ্যমাঠ তো ছিলই; ফ্রাঙ্ক রিবেরি কাল প্রমাণ করে দিয়েছেন কেন এ বারের ব্যালন ডি’অরের অধিকর্তা হিসেবে তাঁকে নিয়ে ভাবছে গোটা ফুটবল বিশ্ব।
দেশম কাল প্রথম একাদশে রেখেছিলেন মামাদু সাখো, আর করিম বেনজেমাকে। সিদ্ধান্তটা যে কতটা জোরালো ছিল, তার প্রমাণ রেখেছেন দুজনেই। নিজের সিদ্ধান্তটি যে এমন ফলদায়ক হবে, তা বোধ হয় ভাবেননি কোচ নিজেও। ম্যাচ শেষে তাই আত্মহারা দেশম, ‘আমরা আজ জাদুকরি ফুটবল খেলেছি। প্রথম লেগটা ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। আজ প্যারিসে দ্বিতীয় লেগে ফুটবলাররা সবাই যেন নিজেদের মধ্যে ফিরল। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে, আমার দলের খেলোয়াড়েরা আজ অসাধারণ খেলেছে। ফরাসি ফুটবলের জন্য ব্রাজিল বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়াটা একপ্রকার জরুরিই ছিল।’
Category: 1stpage, ইউরো সংবাদ, ইউরো সংবাদ, ইউরো-সংবাদ - France, শীর্ষ সংবাদ, স্পোর্টস