• ১০ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,24 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

‘জিদানকে লালকার্ড দেখানো কঠিন ছিল’- রেফারি হোরাসিও এলিজোন্দো।

| নভেম্বর 30, 2013 | 0 Comments

ইউরো সংবাদ : শতবর্ষ পরও কেউ যখন ২০০৬ বিশ্বকাপের দিকে তাকাবে, সব ছাপিয়ে একটা দৃশ্যই বড় হয়ে ভাসবে তার চোখের সামনে। ইতিহাসের পৃষ্ঠা থেকে মূর্ত হয়ে উঠবে ছবিটা—মার্কো মাতেরাজ্জিকে ঢুস মেরে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন জিনেদিন জিদান!

অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও ফুটবল-ইতিহাসেই ঢুকে গেছে ছবিটা। আর সেই আলোচিত ছবিটির অন্যতম চরিত্র রেফারি হোরাসিও এলিজোন্দো। মাতেরাজ্জিকে ঢুস মারার দৃশ্যটি অবশ্য তিনি প্রথমে খেয়াল করেননি। নজর ছিল বলের দিকে। পরে মাটিতে শুয়ে কাতরাতে থাকা মাতেরাজ্জিকে দেখে সহকারী রেফারির কাছে ঘটনা জানতে চান। ঘটনা শোনার পর এক মুহূর্ত দ্বিধা না করে লাল কার্ড দেখিয়ে দেন জিদানকে! ফুটবল মাঠ থেকে হেঁট মাথায় শেষবারের মতো বেরিয়ে যান সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারটি।

এলিজোন্দো এত দিন পর জানাচ্ছেন, বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো ম্যাচে জিদানের মতো খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখানো তাঁর জন্য ছিল অনেক কঠিন এক সিদ্ধান্ত। এই মুহূর্তকে ক্যারিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্তও বলছেন তিনি। তবে তার মানে কিন্তু এই নয়, এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ আছে এলিজোন্দোর মনে।

সেই বিশ্বকাপের উদ্বোধনী-সমাপনী—দুটো ম্যাচই পরিচালনার সম্মান পাওয়া আর্জেন্টাইন এই রেফারি বলছেন, ‘ঘটনাটি আমার মনে আছে। কারণ, এটা ছিল বিশ্বকাপ ফাইনালের একটি ঘটনা। মনে আছে এ জন্য, কারণ যে খেলোয়াড়টিকে লাল কার্ড দেখিয়েছিলাম, তার গুরুত্ব ছিল অনেক। ও ছিল ফ্রান্সের অধিনায়ক, বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ও।’

খেলোয়াড় যত বড়ই হোক, খেলাটির চেয়ে সে বড় নয়। খেলাটির চেতনাই সবার আগে। সেই বার্তাই দিয়েছিলেন এলিজোন্দো। এই ৫০ বছর বয়সী বলছেন, ‘ওকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু কেউ বলতে পারবে না আমি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এই ঘটনা তাঁকেও ঠাঁই করে দিয়েছে ইতিহাসে। ব্যাপারটি উপভোগ করেন এলিজোন্দো, ‘এরপর আরও দুটো বিশ্বকাপ প্রায় পার করে ফেলছি আমরা। কিন্তু এখনো সবাই আমাকে সেই ঘটনাটি নিয়েই জিজ্ঞেস করে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ঘটনা ছিল, তবে এমন নয়, এটিই আমার নেওয়া ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।’

Category: 1stpage, ইউরো সংবাদ, ইউরো সংবাদ, স্পোর্টস

About the Author ()

Leave a Reply