রওশনসহ তিন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে
ইউরোবিডি২৪নিউজঃ নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রী হিসেবে যোগ দেওয়া জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদসহ তিনজন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেছেন। তবে ওই দলের আরেক মন্ত্রী জি এম কাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে গেছেন।
সচিবালয় থেকে আমাদের প্রতিবেদক জানান, এরশাদের ভাই বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের দুপুর একটার দিকে পতাকাবাহী গাড়িতে করে সচিবালয়ে যান। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কোনো কথা বলেননি।
জাতীয় পার্টির দলীয় সূত্র জানিয়েছে, রওশন এরশাদ, রহুল আমিন হাওলাদার ও মুজিবুর হক চুন্ন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেছেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্ করতে গেছেন।
এদিকে আজ সকালে বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে এরশাদের সঙ্গে দেখা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সালমা ইসলাম।
জাতীয় পার্টির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, যাঁরা মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করবেন না, তাঁদের বিষয়ে এরশাদ কঠোর অবস্থানে যাবে।
গত মঙ্গলবার এরশাদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে হঠাত্ উধাও হয়ে যান। ২৬ ঘণ্টা পর গতকাল বুধবার নিজ বাসায় ফিরে তিনি ভারতের পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিনি নির্বাচনকালীন ‘সর্বদলীয়’ সরকার ছাড়ার ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে তিনি নির্বাচনকালীন সরকারে থাকা জাপার সব মন্ত্রী-উপদেষ্টাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করারও নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি আমার দলের প্রার্থীদের ঘোষণা দিচ্ছি, তোমরা মনোনয়নপত্র তুলে নাও। তোমাদের জীবনকে বিপন্ন করো না।’
এ ঘটনার পরপরই পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য বারিধারায় এরশাদের বাসভবন প্রেসিডেন্ট পার্ক ঘিরে অবস্থান নেন। এ পরিস্থিতিতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে এরশাদ বাসার নিচতলায় এসে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি চারটা পিস্তল ‘লোড’ করে রেখেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলে আত্মহত্যা করবেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমার গায়ে হাত দেওয়ার আগে আমি মরে যাব। সরকারকে বলে দিয়েছি, কোনো চালাকি করলে চারটা পিস্তল আছে, আমার কাছে যাওয়ার আগেই এগুলো দিয়ে আমি সুইসাইড করব। দিস ইজ মাই প্রমিজ।’
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর, প্রচ্ছদ, ব্রেকিং নিউজ