বিয়ের সাজ, মধ্যমণি কনেকে থাকতে হয় সবার চেয়ে আলাদা।
লাইফ স্টাইল: বিয়ে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সাজগোজটাও হওয়া চাই মনের মতো। বিয়ে মানে এক নতুন অধ্যায়ের সঙ্গে পরিচিত হওয়া। নতুন পরিবারের সঙ্গে নিজেকে খাপখাইয়ে চলা। শুধু তাই নয়, পরিবার-পরিজনকে ম্যানেজ করে চলার নামই বিয়ে। বিয়ের এই অধ্যায়টা প্রতিটি মেয়ের কাছেই অন্যতম অধ্যায়।
বর-কনের সমন্বয়ে যদিও বিয়ে আয়োজন করা হয়, তবুও বিয়েতে মধ্যমণি হিসেবে কনেই থাকে। কনের সাজ-পোশাক নিয়ে আগে থেকেই আলোড়ন হয়ে থাকে। যেহেতু মধ্যমণি কনে তাই সবার চেয়ে তাকে থাকতে হয় আলাদা।
বিয়ের প্রস্তুতিতে শুধু রূপ নয় ব্যক্তিত্বেরও যেন প্রতিফলন ঘটে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। তাই কনের সামনে থাকতে হবে একটি গাইডলাইন। ত্বক এবং চুলের বাড়তি যত এ সময় অতি জরুরি। ত্বক পরিষ্কার, টান টান ভাব বজায় এবং উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ফেসিয়ালের কোনও বিকল্প নেই। ত্বকের ধরন অনুযায়ী এর পরিচর্যায় ফেসিয়াল এক কার্যকর উপায়।
তাই বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হলে ভালো পার্লারে গিয়ে দক্ষ হাতে ফেসিয়াল করে নিন। ফেসিয়াল করতে হবে অন্তত ১ মাস আগে। তারপর ১৫ দিন পর আবার ম্যাসাজ করে নিন। ব্লিচ করে নিন। কারণ বিয়ের আগে স্বাভাবিকভাবেই নানা টেনশনের কারণে ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায়। এ কারণেই ত্বকের নিয়মিত যত্ন নিতে হবে। আর ফেসিয়ালসহ নানা ধরনের ম্যাসাজ ত্বকের আর্দ্র্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। তবে শুধু পার্লারে গিয়ে ত্বকের যত্ন নিলেই হবে না, অবসর সময়ে ঘরে বসে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বক পরিচর্যা করতে হবে। ত্বকের যত্নে আলু এবং শসার রস খুব উপকারী। আলু এবং শসার রস একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত সেটা ব্যবহার করতে পারেন। আবার দিনের যেকোনও সময় তুলায় গোলাপজল ভিজিয়ে মুখ, গলা এবং ঘাড় মুছে নিন। গোলাপজল খুব ভালো একটি কিনজারের কাজ করে। মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে মসুর ডাল বাটা ব্যবহার করতে পারেন। যাদের মুখে ব্রণ আছে তারা নিম এবং তুলসী পাতার রসের সঙ্গে সামান্য চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট করে ব্রণের ওপরে লাগিয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ দূর হবে। আবার অনেকের মুখেই রোদে পোড়া ভাব দেখা যায়। এ সমস্যা দূর করতে চালের গুঁড়ো, মসুর ডাল বাটা, এক টেবিল চামচ টকদই, এক টেবিল চামচ কাঁচা দুধ এবং সামান্য মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। এবার ভালো ব্র্যান্ডের ক্রিম মেখে নিন।
শুধু মুখের যত্ন নিলেই হয় না, কনের হাত-পায়েরও পরিচর্যা করা জরুরি। হাত-পা পরিচর্যায় মেনিকিউর পেডিকিউর অত্যন্ত উপকারী। এ ছাড়াও ঘরেই নিতে পারেন যত্ন। একটি বড় বোলে কুসুম কুসুম গরম পানিতে শ্যাম্পু গুলিয়ে হাত-পা ভিজিয়ে বসে থাকুন ১০ মিনিট। এবার পিউমিস স্টোন দিয়ে পায়ের তালু ঘসে নিন। নেইল কাটার দিয়ে নখ সেইপ মতো কেটে আবার গরম পানিতে ২ মিনিট হাত-পা ভিজিয়ে কিছুক্ষণ পর পানি থেকে তুলে সুতি কাপড় দিয়ে মুছে ভালো লোশন লাগিয়ে নিন।
Category: লাইফ স্টাইল