• ১১ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,25 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

১০০ কোটি টাকা চাঁদা তোলার ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর, টিআইবির নিন্দা

| মার্চ 10, 2014 | 0 Comments

দেশের খবর: চলতি মাসে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের জন্য সরকার ১০০ কোটি টাকা ‘চাঁদা’ তুলছে বলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত যে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

 

সোমবার এক বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ‘চাঁদা’ তোলার ব্যাপারে গণমাধ্যমের কাছে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় নৈতিক অবক্ষয়ের উদ্বেগজনক দৃষ্টান্ত। অর্থমন্ত্রীর এই জাতীয় বক্তব্যে সচেতন দেশবাসী মাত্রই বিচলিত বোধ না করে পারবেন না। এটি আরো উদ্বেগজনক যে অর্থমন্ত্রীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তিনি ‘মাঝে মাঝেই চাঁদাটাদা’ তুলে থাকেন। একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত অর্থমন্ত্রী যিনি তার ট্যাক্সের বিবরণী জন সম্মুখে উন্মুক্ত করেছিলেন, তার এ বক্তব্যে টিআইবি যারপরনাই বিস্মিত।”

 

ড. জামান বলেন, “নৈতিকতা বিবর্জিত এই অবস্থান ও বক্তব্যে পেশাদার চাঁদাবাজরাই শুধু উৎসাহিত হবেন না বরং এই জাতীয় চাঁদা প্রদানে বাধ্য ব্যবসায়ী মহল ক্ষমতার সঙ্গে যোগসাজসে অধিকতর দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে উঠবে এবং চূড়ান্ত বিবেচনায় এর বোঝা পড়বে জনগণের ওপর।”

বিবৃতিতে আরো  বলা হয়, সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর এরূপ দুর্নীতি-সহায়ক অবস্থান একদিকে সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং অন্যদিকে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।

 

ড. ইফতেখারুজ্জামান তার বিবৃতিতে অবিলম্ব এরইমধ্যে চাঁদার মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থের পরিমাণ এবং তা ব্যয়ের তথ্য প্রকাশে অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।

 

গতকাল (রোববার) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, “টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া উপলক্ষে তাঁর লক্ষ্যমাত্রা ১০০ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করা। এর মধ্যে টি-টোয়েন্টির জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৩৫ কোটি টাকা, যার প্রায় পুরোটাই ব্যয় হয়ে গেছে। আর জাতীয় সংগীত গাওয়ার বিষয়ে বাজেটে কোনো বরাদ্দ ছিল না।”

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা তো জানেন, আমি মাঝে মাঝেই চাঁদাটাদা তুলি। গতবার এক বৈঠকেই ৬০ কোটি টাকা তুলেছিলাম। এবার মানুষ বেশি, ব্যয়ও বেশি। এবার তাই বিভিন্ন খাতের লোকদের সঙ্গে বৈঠক করলাম।’

দেশি-বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মোবাইল অপারেটর কোম্পানি, বিদ্যুত্ উত্পাদক কোম্পানি এবং বেসরকারি বড় বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর কাছ থেকে এবার অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর, শীর্ষ সংবাদ

About the Author ()

Leave a Reply