• ৮ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,22 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

আবার এল অধিকার অর্জনের দিন রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি।

| ফেব্রুয়ারী 21, 2015 | 0 Comments

PM1_0990-7দেশের খবর: যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি পেয়েছিল ভাষার অধিকার, সেই শহীদস্মরণে প্রথম প্রহরে জেগে উঠেছে সব শহীদ মিনার।

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ। ওই রক্তের দামে এসেছিল বাংলার স্বীকৃতি আর তার সিঁড়ি বেয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে বাঙালির এই আত্মত্যাগের দিনটি এখন আর বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়; রাষ্ট্রীয় সীমানার গণ্ডি ছাড়িয়ে তা এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে সারাবিশ্বে।

বাঙালির ভাষার সংগ্রামের একুশ এখন বিশ্বের সব ভাষাভাষীর অধিকার রক্ষার দিন।  

গর্ব আর শোকের এই দিনটি শনিবার বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালন করছে জাতি, তবে দিনের মূল কর্মসূচি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো।

একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রায় একইসময়ে তারা দুজন ফুল দেওয়ার পর শহীদ বেদিতে ফুল দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

এরপর শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সফররত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ হাউস অব লর্ডসের স্পিকার ব্যারোনেস ডি সুজা।

বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে সফরে আসা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাদের পরেই। এ সময় তার সঙ্গী হয়েছিলেন তার দুই মন্ত্রী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণ ও কয়েকজন সংস্কৃতকর্মী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও উপদেষ্টারা। এরপর আসেন আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা।

 

বিরোধীদলীয় প্রধান রওশন এরশাদ শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।

তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফুল নিয়ে আসেন পর্যায়ক্রমে তিনবাহিনী প্রধান, ইন্টারপার্লামেন্টারি ইউনিয়নের চেয়ারপারসন সাবের হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তা, অ্যাটর্নি জেনারেল, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও ভাষা সৈনিকরা।

এদিকে মধ্যরাতে ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছোঁয়ার আগেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সারি দেখা যায় শহীদ মিনারে।

তবে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া বিএনপি জোটের কোনো দল বা নেতাকে প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখা যায়নি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও যাননি শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে।

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর্ব শেষ হলে শহীদ মিনার সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়।

খালি পায়ে প্রভাতফেরির মিছিলে সবার কণ্ঠে থাকবে অমর সেই গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি..।’

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর এক ঘোষণায় ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি পায়।

Category: দেশের খবর, শীর্ষ সংবাদ

About the Author ()

Leave a Reply