ম্যার্কেল-সিপ্রাসের দীর্ঘ বৈঠক
ইউরো সংবাদ; ক্ষমতায় আসার পর জার্মানি সফরে এসেছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বামপন্থি সিপ্রাসের পরের বৈঠকটি জার্মানির বামপন্থি বিরোধী দলীয় নেতাদের সঙ্গে৷বৈঠক শেষেও যদি ‘বরফ’ একটু গলে!
সোমবারের পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে সে বরফ গলার উজ্বল কোনো সম্ভাবনা দেখা যায়নি৷ সিপ্রাস-ম্যার্কেলের সে বৈঠক চলেছে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত৷ গ্রিসের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠায় জার্মানির সহায়তা চাইতেই সিপ্রাসের এ সফর৷ কিন্তু জার্মান চ্যান্সেলর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে সংকটাপন্ন দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে ৫ ঘণ্টা সময় দিলেও প্রত্যাশিত ‘সহায়তা’র কোনো আশ্বাস দেননি৷ বৈঠক শেষে চ্যান্সেলরের মুখপাত্র স্টেফেন জাইবার্ট জানিয়েছেন, ‘‘গ্রিসের বর্তমান পরিস্থিতি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যবিধি এবং জার্মানি-গ্রিস সম্পর্কেরভবিষ্যৎ নিয়ে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল এবং গ্রিক প্রধানমন্ত্রী তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করেছেন৷”
আলেক্সিস সিপ্রাস প্রধানমন্ত্রী হবার পর থেকে ঋণগ্রস্থ দেশটির অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা চেয়ে আসছেন৷ এ ক্ষেত্রে জার্মানি অগ্রণী ভূমিকা রাখবে এটাই তাঁর এবং তাঁর সরকারের প্রত্যাশা৷ তবে জার্মানির কাছ থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে নাৎসিদের চালানো গণহত্যা এবং নিপীড়ন-নির্যাতনের জন্য সম্প্রতি ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন সিপ্রাস৷ ‘অস্বস্তিকর’ এই দাবির জবাবে জার্মানি বলছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ভূমিকার জন্য জার্মানির যা যা করণীয় তা করা হচ্ছে, আঙ্গেলা ম্যার্কেল সব সময়ই এ বিষয়ে সরব এবং সক্রিয়৷ তবে গ্রিসের ক্ষতিপূরণের দাবি মেনে নেয়া হবে কিনা এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি৷
জার্মানির বামপন্থি দলগুলো অবশ্য এ বিষয়ে গ্রিসের প্রতি সহানুভূতিশীল৷ গত সপ্তাহে বাম নেতারা বিষয়টি নিয়ে সরাসরিই তাঁদের বক্তব্য জানিয়েছেন৷ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির গেজিন শোয়ান বলেছেন, ‘‘যাঁরা (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের) শিকার, তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিষয়টি আমাদের বিবেচনা করে দেখা উচিত৷” গ্রিন পার্টির আন্টন হফরাইটার মনে করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টি ‘‘নীতিগত বা আইনগত- কোনোভাবেই শেষ করা হয়নি”, সুতরাং এখনো ক্ষতিপূরণ দেয়া যেতেই পারে৷
মঙ্গলবার তাই জার্মানির বামপন্থি নেতাদের সঙ্গেও বৈঠকে বসছেন আলেক্সিস সিপ্রাস৷ ম্যার্কেল সরকারের ওপর এই বৈঠক কী প্রভাব ফেলে, গ্রিসের দাবি পূরণে তা কোনো ভূমিকা রাখতে পারে কিনা- এটাই এখন দেখার বিষয়৷
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, ইউরো সংবাদ, ইউরো সংবাদ, ইউরো-সংবাদ - German, ইউরো-সংবাদ - Greece