প্রবীর সিকদারের রিমান্ড ও জামিন নিয়ে আইনমন্ত্রীর মন্তব্য
দেশের খবর: সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের রিমান্ড মঞ্জুরকে ‘ভুল রায়’ বলে অভিহিত করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একইসঙ্গে তার জামিন দেওয়াকে ভুল শুধরানো বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে মামলা ছাড়া আটক, এরপর মামলা করে রিমান্ড মঞ্জুর এবং রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জামিন পাওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে এ মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, কোনো ব্যক্তির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সমস্যার কারণে ওই ব্যক্তির নিজের কাজ সারতে সমস্যা হলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে জামিন দেয়া উচিত। ভুলবশত হোক বা যে কারণেই হোক তাকে প্রথম দিন জামিন দেয়া হয় নাই।’
অনেকেই সমালোচনা করছেন সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে হস্তক্ষেপের পর প্রবীর সিকদারকে জামিন দেয়া হয়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। এমনটা যদি হয়ে থাকে সেটা উত্তর দেয়ার ক্ষমতা আমার নাই। এটা বিচার বিভাগের বিষয়।’
তিনি বলেন, প্রবীর সিকদারের পক্ষে কোর্টে কোনো আইনজীবীর না দাঁড়ানোর বিষয়টা দুঃখজনক। এটা আইনজীবীদের বিবেচনা করা উচিত ছিল। আশা করি তারা বিষয়গুলো ভবিষ্যতে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এর আগে বুধবার রাজধানিতে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন, ‘প্রবীর সিকদারকে চোখ বেঁধে ইন্টারোগেট করা হয়েছে এটা খুবই লজ্জাজনক। এই বিষয়গুলো শত্রু পক্ষের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী আটক তিন আইনজীবীর বিষয় উল্লেখ করে বলেন, আমার মনে হয় এখানে কে আইনজীবী তার প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে তিনি কোনো দলের তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা দরকার। ব্যারিস্টার যে মহিলা গ্রেফতার হলেন তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেত্রী। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচীতে জনগণের কোনো সাপোর্ট না থাকার কারণে তারা গোপনে জঙ্গি অর্থায়ন করে দেশে একটা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, দলটির প্রথম স্তরের নেতাকর্মীরা যখন এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার কারণে জেলে আছেন বা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তখন দ্বিতীয় বা তার পরের স্তরের নেতাকর্মীরা এসব কাজে জড়াচ্ছে। এই ঘটনা তারই একটি প্রমাণ।
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মন্তব্য করেছেন, ক্রসফায়ারে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ‘ক্রসফায়ারে’ আওয়ামী লীগের দুই নেতা নিহত হওয়ায় তা হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ উঠেছে, আর তাই ল-বুক অনুযায়ী এসবের বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর