• ১৭ কার্তিক ,১৪৩১,01 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

অচিরেই জামায়াত নিষিদ্ধ করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

| জানুয়ারী 9, 2016 | 0 Comments

edu-minister_samakal_185135 দেশের খবর: অচিরেই বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

শনিবার হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ দীঘলবাক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭০ বছর পূর্তি উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ত্রিশ লাখ প্রাণের বিনিময়ে এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। সবাই স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হলেও কেবল জামায়াত ও তার প্রভুরা এখনও এদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। তাই অচিরেই জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত দিনে স্বাধীনতার ইতিহাস উল্টো পড়ানো হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পেছনে ঠেলে দিয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। স্বাধীনতা বিরোধীদের নেতা শাহ আজিজ ও আব্দুল আলীমকে জিয়া মন্ত্রী করেছিলেন। তার স্ত্রী খালেদা আরেক রাজাকার আল বদর নেতা নিজামী ও মুজাহিদকে মন্ত্রী করে স্বাধীনতার প্রতি অবমাননা করেছে। এ জন্য তার বিচার হওয়া উচিৎ।’
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘যারা আমাদের জাতীয় পতাকাকে পা দিয়ে মাড়িয়ে আগুনে পুড়িয়েছিল সেই কুলাঙ্গারদের বিএনপি মন্ত্রী বানিয়েছিল। এখন আর সেই দিন নাই। স্বাধীনতার চেতনায় আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে এখন রোল মডেল।’
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন-২০২১ এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে- একথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। বাংলাদেশকে আর কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। এদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে গড়তে সরকার কাজ করছে।
হবিগঞ্জের শিক্ষার উন্নয়নে ইতোমধ্যে সরকার ৫০ কোটিরও বেশি টাকার কেবল ভবন নির্মাণে ব্যয় করেছে- একথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তবে শুধু ভবন নির্মাণ করলেই হবে না, শিক্ষার্থীদেরকে ভালো ও আধুনিক শিক্ষাদানের মাধ্যমে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’
এ সময় মন্ত্রী দীঘলবাক উচ্চ বিদ্যালয়কে একটি পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে  এই প্রতিষ্ঠানকে কলেজ পর্যায়ে উন্নীত করার আশ্বাস দেন।
বিদ্যালয়ের ৭০ বছর পূর্তি উৎসব কমিটির আহ্বায়ক, লেখক ও কলামিস্ট অ্যাডভোকেট আনছার খাঁনের সভাপতিত্বে উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট আবু জহির এমপি, আব্দুল মুনিম চৌধুরী বাবু এমপি, অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি, সায়রা মহসিন এমপি, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এমপি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক সদস্য ড. আতফুল হাই শিবলী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়লের অতিরিক্ত সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র বনমালী ভৌমিক, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক ডা. মুশফিক আহমদ চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাই জামী, রাজনীতিবিদ শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শফিউল আলম, নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী, জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকমল হোসেন, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রক্টর অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব আজিজুল হক শিবলী। স্কুল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজামুল ইসলাম। কোরআন তেলাওয়াত করেন নওশের খান শাহপরাণ ও গীতা পাঠ করেন ননী গোপাল।
বিকেলে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন। পরে সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনব্যাপী পুনর্মিলনী উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর

About the Author ()

Leave a Reply