বিএনপির মরা গঙ্গায় আর জোয়ার বইবে না: ওবায়দুল কাদের
দেশের খবর: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিজেরা নিজেদের ক্ষতি না করলে বাইরের কেউ আওয়ামী লীগের ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি অনেক আগেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াইয়ের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। দলটির মরা গঙ্গায় আর জোয়ার বইবে না। তাই আওয়ামী লীগের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে সাম্প্রদায়িক উগ্র জঙ্গীবাদ। দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উগ্র জঙ্গীবাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবল্পব্দু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১১ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা সফল করার লক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ এ বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করে।
সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক উগ্র জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীদের শপথ গ্রহণ করতে হবে। বিএনপির আন্দোলন নয়, সাম্প্রদায়িক উগ্র জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গত সাত বছরে বিএনপি আন্দোলন করার সক্ষমতা হারিয়েছে। আন্দোলনের শক্তি, সাহস এবং জনগণ তাদের সাথে নেই, এটি প্রমাণ হয়েছে।
সরকারে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাইরে থেকে কেউ আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকব এটাই আমাদের শপথ। আমরা আমাদের ক্ষতি না করলে বাইরের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ বিএনপির মরা গঙ্গায় আর জোয়ার বইবে না।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে কটুক্তি করেছেন, তার জন্য ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত দেশে তার রাজনীতি করার অধিকার নেই।
বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীদের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, পুরো জাতি যখন খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানের মুখপাত্র হিসেবে ধিক্কার জানাচ্ছে। তখন বিএনপি মার্কা কতিপয় বুদ্ধিজীবী তার পক্ষে সাফাই গাইছে। যা পুরো জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, ড. আব্দুর রাজ্জাক, হাবিবুর রহমান সিরাজ, ফরিদুন নাহার লাইলী, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সুজিত রায় নন্দী ও এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসোন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর