সার্বিকভাবে পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি-সুজন
দেশের খবর: সদ্য সমাপ্ত পৌরসভা নির্বাচনে যে সকল নেতিবাচক কর্মকান্ড হয়েছে, সেগুলো না শুধরালে ভবিষ্যতে গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়া ধ্বংসের আশঙ্কা করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সুজন প্রকাশিত ‘পৌরসভা নির্বাচন: কেমন মেয়র পেলাম’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা প্রকাশ করা হয়েছে। আজ রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
গত ৩০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ১৮১ জন, বিএনপি ২৪ জন, জাতীয় পার্টির ১ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ২৭ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া এবার পৌরসভায় ৫ নারী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
তবে সুজন দাবি করছে “সার্বিকভাবে নির্বাচনটি সুষ্ঠু হয়নি।’
সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলিপ কুমার সরকার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘পৌরসভা নির্বাচনে অনেকগুলো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ ও অসমাপ্ত ভোটার তালিকা দিয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রেফতার, ভয়ভীতি ও বিভিন্ন চাপের কারণে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ থাকার পরও অনেকে প্রার্থী হতে পারেন নি। এছাড়া ভয়ভীতির কারণে অনেক ভোটার ভোট দিতে কেন্দ্রে যান নি।’
অতীতে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচন প্রক্রিয়ার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সংবাদ সম্মলনে জানান, দুর্ভাগ্যবশত নিরপেক্ষতার বিচারে ৩০ ডিসেম্বরের পৌর ভোট আগের নির্বাচনের ধারে কাছেও পৌঁছাতে পারেনি।’
এবারের পৌর নির্বাচনে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভার পরাজিত মেয়র প্রার্থী সৈয়দ সাইফুল ইসলাম সুজনের প্রতিবেদনের সমর্থন করে রেডিও তেহরানকে বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীক নিয়ে দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবার কারণে নির্বচনটি সুষ্ঠ হবার সুযোগ থাকেনি।
পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল সিপিবি’র কেন্দ্রীয় নেতা রুহীন হেসেন প্রিন্স এ প্রসঙ্গে রেডিও তেহরানকে বলেন, দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে হলে বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতি আমূল সংস্কার করতে হবে।
এদিকে পৌর নির্বাচনে বিজয়ীদের হলফনামা পর্যালোচনা করে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আজকের সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২৩৩ জন নব নির্বাচিত মেয়রদের মধ্যে ৯৫ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের ১৮১ জনের মধ্যে ৭৩ জন, বিএনপি’র ২৪ জনের মধ্যে ১৩ জন এবং স্বতন্ত্র ২৭ জনের মধ্যে ৮ জন রয়েছে। জাতীয় পার্টির একমাত্র বিজয়ী মেয়র মাত্র এসএসসি পাশ।
তিনি বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষিত প্রার্থীদের ভোটাররা বেশি ভোট দিয়েছেন। তুলনামূলকভাবে কম শিক্ষিত প্রার্থীদের ভোটাররা কম ভোট দিয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষিতের হার ৪০ দশমিক ৭৭ শতাংশ ও স্বশিক্ষিত ১৭ দশমিক ১৬ শতাংশ।
২০১১ সালের পৌর নির্বাচনে নির্বাচিত মেয়রদের মধ্যে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীর হার ছিল ৩৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, স্বশিক্ষিত ছিল ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর, শীর্ষ সংবাদ